Sebakeshwari Kali Temple: দীপাবলির রাতে জেগে ওঠে পাহাড়! সেবকেশ্বরী মন্দিরে হাজারো ভক্তের ঢল, রাতভর ঢাক আর মন্ত্রোচ্চারণে মা কালীর আরাধনা

পাহাড়ের পাদদেশে, তিস্তা নদীর গর্জনের পাশে, শিলিগুড়ি থেকে সামান্য দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছে এক প্রাচীন বিশ্বাসের প্রতীক - সেবকেশ্বরী কালী মন্দির। ১৯৫০ সালে নির্মিত এই মন্দিরে গত সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে দীপাবলির রাতে জেগে থাকে হাজার হাজার ভক্ত। রাতভর ধূপধুনো, ঢাক আর মন্ত্রোচ্চারণে মুখরিত হয় গোটা এলাকা। (ছবি ও তথ্য: ঋত্বিক ভট্টাচার্য)

তবে সময় বদলেছে। একসময় এখানে বলি প্রথা ছিল এই পুজোর অন্যতম আচার, কিন্তু ২০২৩ সাল থেকে সেই প্রথা বন্ধ করে দিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এখন মায়ের চরণে অর্পিত হয় চালকুমড়ো, ফল, ও শাকসবজি—ভক্তির রূপ বদলেছে, কিন্তু আস্থা আজও অটুট।

মন্দিরের পুরোহিত নন্দকুমার গোস্বামী জানান, 'সেবকেশ্বরীর সঙ্গে মানুষের গভীর ভরসা ও আস্থা জড়িয়ে আছে। প্রতি বছরের মতো এ বছরও পুজোর প্রস্তুতি জোরকদমে চলছে'।

রাত আটটা থেকে শুরু হবে এবারের পুজো, চলবে সারারাত। ভোরবেলায় মায়ের প্রসাদ পেয়ে বাড়ি ফিরবেন ভক্তরা। পরের দিনও থাকছে আরতি ও নানা আয়োজন।

পুজোকে ঘিরে এলাকায় এখন উৎসবের আমেজ— ফুল, ধূপ, প্রসাদের দোকানে লেগেছে ব্যস্ততা। ভক্ত বিশাল গোস্বামী বলেন, “এখানে নিয়ম-নিষ্ঠার সঙ্গে এমন পুজো হয়, যে না গিয়ে থাকা যায় না। পাহাড়ে এখন বিপর্যয়, তাই এবারে ভিড় কিছুটা কম হতে পারে, কিন্তু মায়ের আরাধনা পূর্ণ ভক্তিতেই হবে।”

মন্দিরের চারপাশে চলছে শেষ মুহূর্তের সাজসজ্জা ও সংস্কার। ৭৫ বছরের ঐতিহ্য বহন করা এই মন্দির আজও উত্তরবঙ্গের ভক্তমনে এক অনন্য আস্থার প্রতীক। বলি বন্ধ হয়েছে, কিন্তু ভক্তির আলো এখনও উজ্জ্বল - সেবকেশ্বরীর দ্বারে আজও বাজে মায়ের ডাক।(ছবি ও তথ্য : ঋত্বিক ভট্টাচার্য)