Shakuntala Kali Puja: কীভাবে শুরু হয়েছিল জাগ্রত শকুন্তলা কালীমায়ের পুজো? জানুন সেই প্রাচীন ইতিহাস!
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
- news18 bangla
- Written by:Bangla Digital Desk
Last Updated:
Shakuntala Kali Puja: কোন্নগর তথা হুগলি জেলার অন্যতম একটি ঐতিহ্যপূর্ণ রক্ষা কালীপূজো শ্রী শ্রী শকুন্তলা কালীমাতার পূজা। ১৩৫ বছরের এই পুজোকে ঘিরে জেলা ও জেলার বাইরের বহু মানুষের সমাগম হতে দেখা যায়। প্রতি বছর বাংলার বৈশাখমাসের কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় শনিবার এই পূজার আয়োজন করা হয়।
advertisement
1/8

কোন্নগর তথা হুগলি জেলার অন্যতম একটি ঐতিহ্যপূর্ণ রক্ষা কালীপূজো শ্রী শ্রী শকুন্তলা কালীমাতার পূজা। ১৩৫ বছরের এই পুজোকে ঘিরে জেলা ও জেলার বাইরের বহু মানুষের সমাগম হতে দেখা যায়। প্রতি বছর বাংলার বৈশাখমাসের কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় শনিবার এই পূজার আয়োজন করা হয়।
advertisement
2/8
পুজো উপলক্ষে একদিন আগে থেকেই ভক্তদের সমাগম শুরু হয়ে যায়। রাতভর চলে ভক্তদের গঙ্গাস্নানের পর দণ্ডী কাটা ও জল ঢালার পালা। এক দিনের সারা রাতের পুজোর মধ্যে দিয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন মানুষজন
advertisement
3/8
প্রায় এক শতক আগে কোন্নগর তথা তৎকালীন নাম কনেনগরের এক পূজারী ইন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তিনি দেবীর স্বপ্ন দেশ পান। এমনটাও কথিত ইতিহাস রয়েছে পূজারী ইন্দ্রনাথ পুজো করে বাড়ি ফিরবার সময় এক রাতে তিনি দেখতে পান সাদা কাপড় পড়ে খোলা চুলে কোন এক রমণী রাতের অন্ধকারে হেঁটে আসছিলেন। তাকে অনুসরণ করে পূজারী আসতেই দেখতে পান সুন্দরী রমণী এক ভাগাড়ের মধ্যে থাকা অশ্বত্থ গাছের নিচে এসে বিলীন হয়ে গেলেন।
advertisement
4/8
ঐদিন রাতেই ওই পূজারীকে দেবী স্বপ্নাদেশ দেন ভাগাড়ের সেই অশ্বত্থ গাছের নিচে যেখানে শকুনের বাসা রয়েছে তার তলায় দেবীর ঘট স্থাপন করে পুজো করার জন্য। এবং দেবীর কাছে কেউ যদি খোলা মনে কোন প্রার্থনা করেন দেবী তা পূর্ণ করবেন। সেই থেকেই শুরু হয় দেবী শকুন্তলার মাতার পুজো।
advertisement
5/8
অশ্বত্থ গাছের শকুনের বাসার নিচে হোগলা পাতা তালপাতার মণ্ডপ সাজিয়ে শুরু হয় দেবীর আরাধনা। ভাগাড়ের মধ্যে শকুনের বাসার নিচে দেবী প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন স্বপ্নাদেশ দিয়ে। সেই থেকেই ঠাকুরের নাম হয় শকুন্তলা কালী। পুজো শুরু হবার সময় থেকেই দেবীর প্রতিমা গড়ে আসছেন কোন্নগর হুগলির মৃৎ শিল্পী পাল পরিবার।
advertisement
6/8
পাঁচ প্রজন্ম পেরিয়ে বর্তমানে বাদল পাল তৈরি করেন দেবীর মূর্তি। ১৩৪ বছরের এই পুজো দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পুজোর একাধিক বৈশিষ্ট্যর মধ্যে অন্যতম একটি হলো ছাগ বলি। এক সময় হাজারে হাজারে ছাগল বলি হতো। তবে বর্তমানে সীমিত সংখ্যায় বলি হয় দেবীর কাছে।
advertisement
7/8
পুজো উপলক্ষে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে ওই এলাকায়। লক্ষাধিক মানুষ সামাল দেওয়ার জন্য পুলিশ ও প্রশাসনের নিরাপত্তা থাকে নিশ্চিদ্র। গোটা এলাকার সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে ইতিমধ্যেই। বিপর্যয় মোকাবিলা দল স্বেচ্ছাসেবী সদস্য ও পুলিশের তৎপরতায় যে কোনো রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রস্তুত। একই সঙ্গে মেডিকেল টিম এম্বুলেন্স ও একাধিক পরিষেবা রাখা রয়েছে ভক্তদের সুরক্ষার তাগিদে।
advertisement
8/8
এই বিষয়ে পুজোর সম্পাদক পাঁচু গোপাল ঘরাই তিনি বলেন, লক্ষাধিক আরো বেশি ভক্তের সমাগম হবে পুজোর দিনেই। সূর্য অস্ত যাওয়ার পরে কাঁধে করে দেবীকে নিয়ে আসা হবে তার বেদীতে। আবারো সূর্য ওঠার আগেই শকুন্তলা রক্ষা কালী মায়ের বিসর্জন হয়। তারপরে পূজো উপলক্ষে মেলা বসে। সাত দিনব্যাপী এই মেলায় তৈরি হয় এক মিলনমেলার প্রাঙ্গণে।
বাংলা খবর/ছবি/দক্ষিণবঙ্গ/
Shakuntala Kali Puja: কীভাবে শুরু হয়েছিল জাগ্রত শকুন্তলা কালীমায়ের পুজো? জানুন সেই প্রাচীন ইতিহাস!