তাজপুরে বুলডোজার...! ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল একের পর এক দোকানপাট, শেষ হল ৫ দশকের লড়াই
- Published by:Madhab Das
- hyperlocal
- Reported by:Madan Maity
Last Updated:
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ২ ব্লকের তাজপুরে গড়ে ওঠা বেশ কিছু অবৈধ দোকান ঘর অবশেষে গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন।
advertisement
1/6

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ২ ব্লকের তাজপুরে গড়ে ওঠা বেশ কিছু অবৈধ দোকান ঘর অবশেষে গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন। প্রায় পাঁচ দশক ধরে জমির মালিকানা ও বৈধতার জটিলতায় এই দোকানগুলি নিয়ে চলছিল বিরোধ। আদালতের নির্দেশে পুলিশ ও প্রশাসন একযোগে অভিযান চালিয়ে অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলে।
advertisement
2/6
এই দোকানগুলি গড়ে ওঠে মূলত একটি ব্যক্তিগত জমির ওপর। জমির মালিক পক্ষ বহু বছর ধরেই দোকানদারদের বারবার অনুরোধ জানিয়ে আসছিল—অবৈধ দখল ছেড়ে জমি খালি করে দিতে। কিন্তু দোকানদাররা কারও কথায় কর্ণপাত করেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। অবশেষে মালিকপক্ষ আইনের দ্বারস্থ হন। বিষয়টি প্রথমে স্থানীয় স্তরে, তারপর একাধিকবার নিম্ন আদালতে ওঠার পর কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়।
advertisement
3/6
হাইকোর্টের নির্দেশেই সক্রিয় হয় প্রশাসন দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট নির্দেশ দেয়, বেআইনি নির্মাণ দ্রুত ভেঙে দিতে হবে। আদালতের এই নির্দেশ পাওয়ার পর প্রশাসন আর পিছিয়ে থাকেনি। এগরা থানার পুলিশ ও এগরা ২ নম্বর ব্লকের প্রশাসনিক আধিকারিকরা যৌথভাবে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা নেন। সবকিছু আইনি পথ মেনে, আদালতের আদেশ অনুযায়ী উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয় বৃহস্পতিবার।
advertisement
4/6
রাজ্য সড়কের ঠিক পাশেই, তাজপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত সাতটি দোকান প্রশাসনের নজরে ছিল অনেক দিন ধরেই। এবার কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে, কোনও অশান্তির সুযোগ না দিয়ে ওই সাতটি দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। দোকানগুলির মধ্যে ছিল মোবাইল, চায়ের দোকান, স্টেশনারি ইত্যাদি নানা ধরনের ব্যবসা। প্রশাসনের এই পদক্ষেপে এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। অনেক স্থানীয় বাসিন্দা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেন—কীভাবে দিনের পর দিন পরিচিত দোকানগুলি নিমেষে ধূলিসাৎ হয়ে গেল।
advertisement
5/6
দোকান ভাঙার সময় দোকানদার ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা ভীষণভাবে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন, কেউ কেউ চিৎকার করে প্রতিবাদ করেন। এই আবেগঘন মুহূর্তে স্থানীয়দের মধ্যেও ক্ষোভ দেখা দেয়। ফলে এলাকা কিছু সময়ের জন্য উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তবে বিশাল সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন থাকায় এবং প্রশাসনের ধৈর্যশীল ভূমিকার কারণে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসে। কোনও হিংসাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।
advertisement
6/6
পুনর্বাসনের দাবি তুললেন দোকানদারেরা উচ্ছেদের পর উচ্ছ্বাস নয়, চোখেমুখে হতাশা নিয়ে দোকানদারেরা প্রশাসনের কাছে একটি মাত্র অনুরোধ রাখেন—তাদের যেন দ্রুত কোনও বিকল্প ব্যবসার সুযোগ বা পুনর্বাসন দেওয়া হয়। অনেকেই জানান, এই দোকানই ছিল তাদের একমাত্র জীবিকা। কেউ ৩০ বছরের ব্যবসা হারিয়েছেন, কেউ সদ্য ঋণ নিয়ে দোকান সাজিয়েছিলেন। তাঁদের দাবি, যেহেতু আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ হয়েছে, সেহেতু প্রশাসনের উচিত মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিকল্প ব্যবস্থা করা।
বাংলা খবর/ছবি/দক্ষিণবঙ্গ/
তাজপুরে বুলডোজার...! ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল একের পর এক দোকানপাট, শেষ হল ৫ দশকের লড়াই