দার্জিলিং, সিটং যেতে হবে না...! সমতলের মাটিতেই কাঁপাচ্ছে ঘরের কাছের 'কমলালেবু' বাগান, দলে দলে টিকিট কাটছেন মানুষ!
- Published by:Sanjukta Sarkar
- hyperlocal
- Reported by:Rudra Narayan Roy
Last Updated:
Orange: গাদা গাদা টাকা খরচ করে আর দার্জিলিং বা সিটং যেতে হবে না। সমতলেই এখন গাছভর্তি কমলালেবুর দর্শন। অশোকনগরের সুধীর নার্সারির আট বিঘা জমিতে ফুটে উঠেছে এমনই এক কমলালেবুর বাগান, যা ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক জনপ্রিয়।
advertisement
1/9

গাদা গাদা টাকা খরচ করে আর দার্জিলিং বা সিটং যেতে হবে না। সমতলেই এখন গাছভর্তি কমলালেবুর দর্শন। অশোকনগরের সুধীর নার্সারির আট বিঘা জমিতে ফুটে উঠেছে এমনই এক কমলালেবুর বাগান, যা ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক জনপ্রিয়।
advertisement
2/9
কলকাতা থেকে মালদহ- দূরদূরান্তের মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন এই ‘মিনি সিটং’ দেখতে। প্রায় ১৩ বছরের চেষ্টা এবং পরিশ্রমে কমলালেবু চাষে সাফল্য পেয়েছেন অশোকনগরের বাসিন্দা নারায়ণ মণ্ডল।
advertisement
3/9
বহু মানুষ ছাদবাগানে বা শখের জমিতে কমলালেবু ফলালেও সেই লেবু সাধারণত স্বাদে দার্জিলিংয়ের মতো হয় না। কিন্তু নারায়নবাবুর বাগানের লেবু শুধু মিষ্টিই নয়, রয়েছে বিশেষ সুগন্ধ।
advertisement
4/9
বাগানে ঢুকতেই নাকে আসে কমলালেবুর সেই মিষ্টি সুবাস। কমলালেবুর পাশাপাশি বাগানে রয়েছে সবেদা, মিষ্টি বড় মোসাম্বি (যা খোসাসহ খাওয়া যায়), কাঁটা-ছাড়া বেল, মিষ্টি তেঁতুল, ‘ঘট বাতাবি’, সুইট লেমন, ইউনিক জাতের পেয়ারা ও বাহারি আম গাছ। রয়েছে ক্যানসার বিরোধী ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয় এমন কোরোসল গাছ, এমনকি রয়েছে বৃহৎ আকৃতির জাম্বুরা গাছ। যার এক একটি ফল প্রায় এক কেজি ওজনের হয় বলেও জানান বাগান মালিক।
advertisement
5/9
বাগান দেখতে গেলে, নারায়ন মণ্ডল নিজেই গাইডের ভূমিকায় থাকেন। প্রবেশের জন্য মাত্র ১০ টাকা টিকিট দিতে হয়। সারি সারি গাছে ঝুলছে কমলা রঙের লেবু- দুপুরের পর থেকেই বাড়তে থাকে দর্শনার্থীর সংখ্যা। ছুটির দিনে ভিড় হয় দ্বিগুণ।
advertisement
6/9
কিন্তু কী ভাবে সমতল মাটিতে এভাবে কমলালেবু ফলাচ্ছেন! তার কথায়, সেপ্টেম্বর মাসে গাছের গোড়ায় খুঁড়ে ভার্মিকম্পোস্ট, তার উপর ভাত এবং আবার ভার্মিকম্পোস্ট দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ফুল আসার পরে ও লেবুর কুসি ধরলে আবার একই নিয়মে দিতে হবে। ফলে ভাত আর ভার্মিকম্পোস্টের যাদু খুব দ্রুতই বোঝা যাবে গাছে, বলছেন নারায়ণবাবু।
advertisement
7/9
যদিও এই বাগানের কমলালেবু বাজারে বিক্রির পরিকল্পনা ছিল, তবে গত দু’বছর ধরে বেড়ে চলা দর্শনার্থীর ভিড় দেখে সেই সিদ্ধান্ত আপাতত বাতিল করেছেন তিনি। দূরদূরান্ত থেকে আসা দর্শকদের হাতে দু’একটি লেবু তুলে দিলেই বেশি খুশি নারায়ন মণ্ডল।
advertisement
8/9
জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত পাওয়া যাবে লেবু। জানুয়ারি ১০ তারিখের পরে পরিস্থিতি দেখে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেবেন নারায়ণবাবু, কারণ তখন গাছ থেকে লেবু ঝরতে শুরু করবে। শীতকালে এই কমলালেবুর বাগান এখন অশোকনগরের অন্যতম আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান।
advertisement
9/9
পরিবার নিয়ে, বিশেষ করে ছোটদের সঙ্গে অনেকে ছুটে আসছেন ছবি তুলতে, সেলফি নিতে এবং প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে। সুযোগ পেলে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন অশোকনগরের এই ‘মিনি সিটং’ থেকে।
বাংলা খবর/ছবি/দক্ষিণবঙ্গ/
দার্জিলিং, সিটং যেতে হবে না...! সমতলের মাটিতেই কাঁপাচ্ছে ঘরের কাছের 'কমলালেবু' বাগান, দলে দলে টিকিট কাটছেন মানুষ!