TRENDING:

Mushroom: চিকেন-মটন ফেল! জঙ্গলমহলের বিখ্যাত 'এই' ছাতু, পাবেন আর মাত্র কয়েকটা দিন, দাম শুনলে চমকে যাবেন

Last Updated:
Mushroom: জঙ্গলমহলের পরিচিত খাবার, নাম ডাক বেশ, টেস্ট অসাধারণ, দাম দিয়ে কিনছেন গ্রাহকরা, জানুন কী খাবার?
advertisement
1/7
চিকেন-মটন ফেল! জঙ্গলমহলের বিখ্যাত 'এই' ছাতু, পাবেন আর মাত্র কয়েকটা দিন
জঙ্গলমহলের এক অন্যতম খাবারের উপকরণ। একবার কষিয়ে রান্না করলে চিকেন কিংবা মটনের স্বাদ ভুলে যাবেন। বাজারে দাম এখন মটনের থেকেও বেশি। তবুও যেন হুড়মুড়িয়ে কিনছেন সাধারণ মানুষ। কারণ খুব কমই পাওয়া যায় জঙ্গলমহলের এই বিশেষ খাবারের উপকরণ। দেখতে খানিকটা সাদা ও হলুদে আভা রয়েছে। ব্যাঙের ছাতার মতোই পাওয়া যায় এদিক ওদিক। নাম কাড়ান ছাতু। বিভিন্ন ছাতু অনেক জায়গায় পাওয়া যায়, তবে এটা অনেকের কাছে নতুন হলেও জঙ্গলমহলের এক অতি পরিচিত খাবার। ঝাল ঝাল করে রান্না করলেই অন্যান্য খাবারের স্বাদ নিমেষেই ভুলে যাওয়া যায়।(তথ্য ও ছবি: রঞ্জন চন্দ)
advertisement
2/7
মেদিনীপুর শহরের কলেজ রোড জুড়ে এখন বিক্রেতাদের ভিড়। শুধু বিক্রেতা নয়, কাতারে কাতারে ক্রেতাদেরও ভিড় লেগে রয়েছে এই বাজারে। জঙ্গলমহল থেকে কেজি কেজি ছাতু তুলে নিয়ে এসে বিক্রি করছেন মেদিনীপুর গ্রামীণ, শালবনি, গড়বেতা, গোয়ালতোড় প্রভৃতি এলাকার বাসিন্দারা।যদিও দাম শুনে অনেকেই ‘ছ্যাঁকা’ খেলেও ব্যাগবন্দি করে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা। শনিবার পর্যন্ত কেজি প্রতি ৭০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এই ছাতু। রবিবার, থেকে একটু কমেই বিকোচ্ছে এই ছাতু। সকাল থেকে ৭০০-৮০০ টাকা করে বিক্রি হলেও, দুপুরে কেজি প্রতি ৫০০-৬০০ টাকায় মিলেছে মেদিনীপুরবাসীর অন্যতম প্রিয় এই কাড়ান ছাতু বা দুর্গা ছাতু বা অষ্টমী ছাতু।
advertisement
3/7
জঙ্গলমহলের বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় সামন্ত বলেন, ‘এই ছাতুর জন্ম জঙ্গলে, তবে খ্যাতি কিন্তু শহরেও মোটেই কম নয়। দাম যেমনই হাঁকাক, এই ছাতু তাঁর অত্যন্ত প্রিয়। চার-পাঁচ দিন আগে থেকেই কেনা শুরু করেছি।' স্বাভাবিকভাবে জঙ্গলমহলের এক পরিচিত এই ছাতু কেনার ভিড় বাজারে।
advertisement
4/7
প্রসঙ্গত, স্থানভেদে এই কাড়ান ছাতুর নানা নাম। দুর্গাপুজোর আগে পাওয়া যায় বলে অনেকে একে দুর্গা ছাতুও বলে থাকেন। আবার জন্মাষ্টমীর পর থেকেই এর আমদানি শুরু হয় এবং রাধাষ্টমীর সময়ে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় বলে অনেকে একে অষ্টমী ছাতুও বলে। এই ক’দিন মেদিনীপুর শহরবাসীর পাতে মাছ মাংসের আগে জায়গা পায় এই ছাতু।
advertisement
5/7
কেউ এই ছাতুর ভাজা খেতে পছন্দ করেন, কেউ আবার মাংসের মতো করেই কষিয়ে রান্না করেন। আবার অনেকে পোস্ত দিয়েও রান্না করেন। তবে, মেদিনীপুর শহরে এর দাম একটু বেশি হলেও জঙ্গলমহলে অর্থাৎ শালবনি, পিড়াকাটা, চাঁদড়া, গুড়গুড়িপাল প্রভৃতি এলাকায় ৪০০-৫০০ টাকাতেও (প্রতি কেজি) এই ছাতু পাওয়া যায়। কখনও আবার দাম আরও কমে যায়। এর স্বাদ অনেক ভালো বলে কেজি প্রতি ৮০০-১০০০ টাকা দিয়েও খাদ্যরসিকরা তা কেনেন।
advertisement
6/7
শিক্ষক, পরিবেশবিদ ও বন্যপ্রাণী গবেষক রাকেশ সিংহদেব জানান, 'জঙ্গলমহলের পর্ণমোচী শাল জঙ্গল ও তার পাশ্ববর্তী এলাকার ঝোপ, জমির আল বা জঙ্গল সংলগ্ন এলাকার মানুষের কাঁচা বাড়িতেও মাটি ফুঁড়ে বর্ষাকালের শেষের দিকে, বিশেষ করে জন্মাষ্টমী তিথির পাশাপাশি সময় থেকেই কাড়ান ছাতুর (Termitomyces Heimii) রমরমা দেখা যায়।ভাদ্র-আশ্বিন মাসেই এই ছাতু সর্বাধিক পাওয়া যায়। উইঢিবি এবং তার আশেপাশের ল্যাটেরাইট মাটির উপরে বেশির ভাগ সময়ে বেশ অনেকটা জায়গা জুড়ে মাটি ভেদ করে সাদা হয়ে ফুটে থাকে এই ছাতু। জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের কাছে এই সময়ে এই ছাতু বিশেষ অর্থকরী বা বাণিজ্যিক উপাদানও হয়ে ওঠে। শুধু পশ্চিম মেদিনীপুরই নয়, এই সময়ে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামেও এই ছাতু পাওয়া যায়।'
advertisement
7/7
তবে কলেজ রোড জুড়ে এখন শুধুই ক্রেতা বিক্রেতাদের ভিড়। দাম যতই হোক না কেন, মেদিনীপুরবাসীর পাতে পড়ছে এখন শুধুই এই ছাতু।(তথ্য ও ছবি: রঞ্জন চন্দ)
বাংলা খবর/ছবি/দক্ষিণবঙ্গ/
Mushroom: চিকেন-মটন ফেল! জঙ্গলমহলের বিখ্যাত 'এই' ছাতু, পাবেন আর মাত্র কয়েকটা দিন, দাম শুনলে চমকে যাবেন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল