Sundarban: জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ...সুন্দরবনে প্রাণসংশয় উপেক্ষা করেই মধু সংগ্রহ! মৌলিদের পরিবারকে পালন করতে হয় এই কঠোর নিয়ম
- Published by:Ankita Tripathi
- hyperlocal
- Reported by:Suman Saha
Last Updated:
মধু সংগ্রহ করতে যাওয়া পরিবারের অজানা তথ্য। অনেকেই আজও বেঁচে ফিরে আসে
advertisement
1/6

প্রতি বছরের মতো এ বছরও মধু সংগ্রহ করতে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে রওনা দিলেন মৌলিরা। সাধারণত, ফি বছর ২ এপ্রিল থেকে শুরু হয় সুন্দরবনে মধু সংগ্রহের কাজ। তা চলে প্রায় একমাস।
advertisement
2/6
ফাল্গুন-চৈত্র মাসে তেমন ঝড়বৃষ্টি না হওয়ায় মৌচাকের কোনও ক্ষতি হয় না। আবার বৃষ্টি না হওয়ায় মধুতে জলের পরিমাণ কম থাকে ফলে মধু গাঢ় হয়। তাই ফাল্গুন-চৈত্র মাসই হল মৌলি মধু সংগ্রহের উপযুক্ত সময়।
advertisement
3/6
জলে কুমির, ডাঙায় রয়‍্যাল বেঙ্গল ও বিষধর সাপের ভয় উপেক্ষা করেই জঙ্গলে রওনা দেন মৌলিরা। কুলতলির বিট অফিস থেকে ৫৫টি দলকে জঙ্গলে মধু সংগ্রহের পাস দেওয়া হয়।
advertisement
4/6
যারা মধু সংগ্রহ করতে যায় ৷ তাদের জঙ্গলে প্রাণ সংশয় থাকে৷ অনেক সময়ে বাঘের হানায় মৃত্যুও হয় মৌলেদের। অতীতে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে ৷ তাই আগে থেকেই নানান রীতি চালু আছে ৷ সেইসব রীতি আজও মেনে চলেন এলাকার বাসিন্দারা ৷
advertisement
5/6
জঙ্গলে মধু সংগ্রহে গিয়ে প্রায় এক মাস ছেলেমেয়ের মুখ দেখতে পারবেন না। জঙ্গলে নানা ধরনের জানা-অজানা আতঙ্ক। তার মধ্যে বিপদকে সঙ্গী করে মধু খুঁজতে চললেন তাঁরা। রওনা হওয়ার আগে চোখের জলে পরিবার থেকে বিদায় নেন। স্ত্রী বা মা দেবতার বরাভয় চিহ্ন স্বামীর কপালে ছুঁইয়ে প্রণাম করেন।
advertisement
6/6
আর এই মৌলেরা ফিরে না আসা পর্যন্ত তাদের পরিবার বাড়িতে কাউকে বসতে দেয় না৷ রান্না করা খাবার খায় না ৷ নতুন জামাকাপড় পরে না ৷ কার্যত বাড়িতে কেউ মারা গেলে যেভাবে অশৌচ পালন করা হয় ৷ তেমনটাই হয় এই ক্ষেত্রে তারা পালন করে আজও।
বাংলা খবর/ছবি/দক্ষিণবঙ্গ/
Sundarban: জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ...সুন্দরবনে প্রাণসংশয় উপেক্ষা করেই মধু সংগ্রহ! মৌলিদের পরিবারকে পালন করতে হয় এই কঠোর নিয়ম