Mango Cultivation: ডিসেম্বরের যত্নেই লুকিয়ে গাছ ভর্তি আমের রহস্য! একলাফে বাড়বে ফলন, শুধু জানতে হবে সঠিক পদ্ধতি
- Published by:Sneha Paul
- hyperlocal
- Reported by:JULFIKAR MOLLA
Last Updated:
Mango Cultivation: শীতের মরসুমেই আম গাছকে প্রস্তুত করার কাজ শুরু হয়ে যায়। সঠিক ব্যবস্থাপনা করলে আগামী মৌসুমে মুকুলের সংখ্যা যেমন বাড়বে, তেমনই বাড়বে ফলনের পরিমাণ।
advertisement
1/6

ডিসেম্বর মাস আম গাছের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। কারণ জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতেই গাছে মুকুল আসে, আর সেই মুকুলের গুণগত মান অনেকটাই নির্ভর করে ডিসেম্বরে কী ধরনের পরিচর্যা করা হল তার উপর। তাই এই শীতের মরসুমেই আম গাছকে প্রস্তুত করার কাজ শুরু হয়ে যায়। সঠিক ব্যবস্থাপনা করলে আগামী মৌসুমে মুকুলের সংখ্যা যেমন বাড়বে, তেমনই বাড়বে ফলনের পরিমাণ। (ছবি ও তথ্যঃ জুলফিকার মোল্যা)
advertisement
2/6
প্রথমেই রয়েছে সেচ নিয়ন্ত্রণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিসেম্বর মাসে আম গাছে জল কম দিলে হালকা ‘স্ট্রেস’ তৈরি হয়, যা মুকুল আনতে অত্যন্ত কার্যকর। তাই এই সময় সম্পূর্ণ সেচ বন্ধ রাখা বা ১৫-২০ দিনের ব্যবধানে অল্প জল দেওয়া উচিত। তবে গাছের গোড়ায় কোথাও জল দাঁড়িয়ে থাকা একেবারেই অনুচিত, এতে মুকুলের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
advertisement
3/6
কৃষি বিশেষজ্ঞ দিব্যেন্দু বিশ্বাস জানান, এই সময় গাছে হালকা ডাল ছাঁটাই করাও জরুরি। শুকনো, রোগাক্রান্ত ও ভিতরের দিকে বাড়া ডাল কেটে দিলে নতুন কচি ডগা বের হয়, যা পরবর্তীতে মুকুল ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে অতিরিক্ত ছাঁটাই নয়, মাত্র ১০-১৫ শতাংশ হালকা প্রুনিংই যথেষ্ট। ফলে গাছের ভিতর বাতাস চলাচল বাড়ে ও রোদ প্রবেশ করে।
advertisement
4/6
ডিসেম্বরে ভারী রাসায়নিক সার না দিয়ে হালকা জৈব সার প্রয়োগ করার পরামর্শ দেন কৃষিবিদরা। বয়স অনুযায়ী ৫-২০ কেজি গোবর বা কম্পোস্ট সার ২-৩ ফুট দূরত্বে বৃত্তাকারে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিলে গাছ শক্তি পায়। ভারী নাইট্রোজেন সার এড়িয়ে চলাই ভাল, কারণ এতে পাতার বৃদ্ধি বাড়ে, কিন্তু মুকুল কম ধরে।
advertisement
5/6
শীত ও কুয়াশা থেকে সুরক্ষা দেওয়াও জরুরি। কুয়াশার ক্ষতি এড়াতে গাছের গোড়ায় শুকনো পাতা বা খড় দিয়ে মালচিং করলে ভাল হয়। ভোরে হালকা ধোঁয়া দিলে ঠান্ডার প্রভাব কিছুটা কমে। কচি ডগাকে বিশেষভাবে রক্ষা করতে হয়, কারণ সেখান থেকেই মূলত মুকুল বের হয়।
advertisement
6/6
এই সময় রোগ-পোকা মনিটরিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হপার, মিলিবাগ, ছত্রাকজনিত দাগ ও ডাইব্যাক রোগ ডিসেম্বরেই বেশি দেখা যায়। আক্রান্ত শাখা কেটে ফেলা, আগাছা পরিষ্কার রাখা এবং প্রয়োজনে নিম নির্যাস বা বায়োপেস্টিসাইড ব্যবহার করলে সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। রাসায়নিক প্রয়োগ করতে হলে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। (ছবি ও তথ্যঃ জুলফিকার মোল্যা)
বাংলা খবর/ছবি/দক্ষিণবঙ্গ/
Mango Cultivation: ডিসেম্বরের যত্নেই লুকিয়ে গাছ ভর্তি আমের রহস্য! একলাফে বাড়বে ফলন, শুধু জানতে হবে সঠিক পদ্ধতি