চমকাচ্ছে বিশ্বকর্মা! আলো ঝলমলে সাইকেলে চেপেই মুম্বইয়ে পাড়ি? প্রিয় বলি তারকার সঙ্গে জমবে আলাপ

<strong>বাঁকুড়া, নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়:</strong> সাইকেলে আলো লাগিয়ে মানুষকে 'সত্যযুগ' দেখাতে চান বাঁকুড়ার এই ব্যক্তি। আলো আর আলো। দেখে মনে হবে এ কোন মহাজাগতিক বস্তু হাজির হয়েছে। একটি সাধারন সাইকেলে লাগানো রয়েছে শতাধিক লাইট।

রাতের অন্ধকারে মায়াবী দেখতে লাগে। পুজো কিংবা কোন অনুষ্ঠানের কারণে সাইকেলটাকে সাজানো হয়েছে? আদতে তা নয়! এই সাইকেলটি এরকমই দেখতে লাগে ৩৬৫ দিনই। (ছবি ও তথ্য নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)

বাঁকুড়ার বাসিন্দা হৃদয়রঞ্জন কর্মকার অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে দেখা করার জন্য যেতে চান মুম্বই। সেই কারণেই দুটি ব্যাটারি সম্বলিত এই সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়ান বাঁকুড়ার রাস্তায় রাস্তায়। মুখে লেগে রয়েছে হাসি। কেউ প্রশ্ন করলে উত্তর দেন খোলা মনে। (ছবি ও তথ্য: নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)।

বাঁকুড়ার দোলতলার বাসিন্দা অবিবাহিত হৃদয়রঞ্জন কর্মকার জানিয়েছেন, তিনি কোনও কাজ করেন না। তার পুরো জীবনটা কাটছে এই সাইকেলটিকে আঁকড়ে ধরে। এলাকায় রয়েছে তাঁর পরিচিতি। হঠাৎ হঠাৎ গেয়ে ফেলেন গান! (ছবি ও তথ্য: নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)

সেই গান শুনে মুগ্ধ এবং হতচকিত বাঁকুড়া। কি নেই সেই গানে? এলন মাস্ক থেকে শুরু করে ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক সূত্রে গাঁথা সকলেই। হৃদয়রঞ্জন কর্মকার বলেন, 'বিগত তিন বছর ধরে সাইকেল সাজিয়ে রেখেছি। প্রতিদিন চালাই আমার সাইকেল। আমি মানুষকে সত্যযুগ দেখাতে চাই'। (ছবি ও তথ্য: নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়) 

কথায় আছে নিজের খুশি নিজেকে খুঁজে নিতে হয়। আপনি দুঃখে রয়েছেন তার কারণ আপনি নিজেই। হৃদয়রঞ্জন বাবু হাসিখুশি একজন মানুষ। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, কোনও কিছুই তাঁকে আটকে রাখতে পারেনা। হাসিমুখ আর বুক ভরা আনন্দ নিয়ে তিনি বেরিয়ে পড়েন প্রতিদিন। (ছবি ও তথ্য: নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)