কাজ করেও কোন্দলের শিকার! বীতশ্রদ্ধ হয়েই 'অবসর' লক্ষ্মীর?
- Published by:Debamoy Ghosh
- news18 bangla
Last Updated:
advertisement
1/7

মাত্র বছর পাঁচেক আগে রাজনীতিতে এসেছিলেন৷ ক্রিকেটের মতোই রাজনীতিতেও অল্প সময়েই যথেষ্ট সফল হয়েছিলেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা৷ মন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি দলের জেলা সভাপতির দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল লক্ষ্মীকে৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলের মধ্যে কোন্দলের কারণেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক৷ শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ পেয়েছে তৃণমূল৷ কিন্তু দলকে সেই সুযোগই দিলেন না লক্ষ্মীরতন শুক্লা৷
advertisement
2/7
কিন্তু কেন দল ছাড়লেন লক্ষ্মী? সূত্রের খবর, জেলা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর আরও ঝাঁপিয়ে পড়েই দলের কাজ করছিলেন লক্ষ্মী৷ কিন্তু রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই দলের জেলা নেতাদের একাংশের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় লক্ষ্মীর৷ ঘনিষ্ঠ মহলে তাঁর অভিযোগ, তিনি দলের জেলা সভাপতি হলেও হাওড়ায় দলের প্রায় কোনও অনুষ্ঠানেই তাঁকে ডাকা হচ্ছিল না৷ এমন কি, নিজের এলাকার অনুষ্ঠানেও ডাকা হচ্ছিল না লক্ষ্মীকে৷
advertisement
3/7
লাগাতার এই উপেক্ষা এবং অপমান মেনে না নিতে পেরেই শেষ পর্যন্ত মন্ত্রিত্ব এবং দলের জেলা সভাপতির পদ ছাড়লেন লক্ষ্মী৷ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই লক্ষ্মীর ক্ষেত্রেও অভিযোগের তির সেই হাওড়া জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান এবং মন্ত্রী অরূপ রায়ের দিকেই৷ যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অরূপ৷
advertisement
4/7
নিজের জেলায় যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন লক্ষ্মী৷ কাজ করেই মানুষের মধ্যে মিশে গিয়েছিলেন তিনি৷ করোনা অতিমারি এবং লকডাউনের সময়ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁর ভূমিকা প্রশংসা কুড়িয়েছিল৷ দলের শীর্ষ নেতৃত্বেরও সুনজরে ছিলেন লক্ষ্মী৷ কিন্তু জেলার রাজনীতির কোন্দলের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না লক্ষ্মী৷ ঘনিষ্ঠ মহলে এমনই দাবি করেছেন তিনি৷ তবে তিনি যে এতবড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন, তা কাউকে ঘুণাক্ষরেও টের পেতে দেননি প্রাক্তন ক্রিকেটার৷
advertisement
5/7
হাওড়া জেলায় দলীয় কোন্দল তৃণমূলের দীর্ঘদিনের মাথাব্যথার কারণ৷ এই কোন্দলের কারণেই দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে হাওড়ার আর এক বিধায়ক এবং মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ বার বার হাওড়ার জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে রাজ্য নেতৃত্ব৷ সূত্রের খবর, লক্ষ্মীর সঙ্গেও বেশ কয়েক বার কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছিল৷ দ্বন্দ্ব মেটাতে অরূপ রায়কে সরিয়ে লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল৷ তার পরেও তাঁকে বা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাজ করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ৷
advertisement
6/7
লক্ষ্মী নিজে জানিয়েছেন, কয়েকদিন তিনি বিশ্রাম নেবেন৷ পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবেন৷ যেহেতু মানুষের ভোটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন, তাই এখনই সেই পদ ছাড়ছেন না৷ তবে অন্য কোনও দলে এখন তাঁর যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা জানিয়েছেন বলেই দাবি লক্ষ্মীর৷ নির্বাচনে লড়ারও পরিকল্পনা নেই তাঁর৷ বীতশ্রদ্ধ লক্ষ্মী আপাতত রাজনীতি থেকেই অবসর নিতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর৷ তবে পদত্যাগের পিছনে কী কারণ, কয়েকদিনের মধেই বিস্তারিত ভাবে তা জানাবেন লক্ষ্মী৷
advertisement
7/7
মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠানোর পাশাপাশি দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর কাছে জেলা সভাপতি হিসেবে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন লক্ষ্মী৷ তাঁর পদত্যাগ যে দলের ক্ষতি করবে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়৷