'যতদিন বাঁচবেন...', লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে কৃষ্ণনগর থেকে বড় ঘোষণা মমতার, বাংলার মা-বোনদের মুখে মুখে চওড়া হাসি!

রাজ্য সরকারের অন্যতম জনপ্রিয় প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডার। এই প্রকল্প নিয়ে সরকার তথা বিরোধী শিবিরে আলোচনার শেষ নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলির মধ্যে সবচেয়ে চর্চিত এই প্রকল্প নিয়েই এবার কৃষ্ণনগরের সভা থেকে বড় ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প চালু করে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই লক্ষ্মীর ভান্ডারই তৃণমূল সরকারের তুরুপের তাস। আবার বিরোধীরাও ছাব্বিশের ভোটের আবহে এই লক্ষ্মীর ভান্ডারের পাল্টা প্রস্তাব দিতে ছাড়ছেন না।

তৃণমূলের তরফে দাবি, বাংলাকে অনুসরণ করে একাধিক রাজ্যে চালু হয়েছে মহিলাদের জন্য একইরকম প্রকল্প তাই এবার ভোটের আগে লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে নতুন কোনও ঘোষণা হয় কিনা, সেই দিকে ইতিমধ্যেই নজর রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের।

এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণনগর গভর্মেন্ট কলেজ গ্রাউন্ডের সভা থেকে মমতা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, "৬০ বছরের পর বিধবা ভাতার জন্য আলাদা ভাবে আবেদন আর করতে হবে না, যতদিন বেঁচে থাকবেন, লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাবেন মা বোনেরা"।

একইসঙ্গে মমতা এদিনের সভা থেকে বলেন, "আজ কত পরিযায়ী শ্রমিক ফিরে এসেছে, তাদের আমরা কর্মশ্রীতে কাজ দিয়েছি।" পাশাপাশি কন্যাশ্রী, যুবশ্রী প্রকল্পগুলি নিয়েও এদিন সোচ্চার হন মমতা।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কেন্দ্রীয় বঞ্চনার পাল্টা বাংলার কর্মশ্রী প্রকল্প। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কাজ পাবেন বহু মানুষ। নদিয়ার কৃষ্ণনগরে জনসভা থেকে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করা নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দাগেন মমতা। এদিনও তিনি সাফ জানান, "ভিক্ষা চাই না। কেন্দ্রের টাকা রাজ্যের লাগবে না। আগামী দিনে রাজ্য নিজের অর্থে ১০০ দিনের কাজ চালিয়ে নিয়ে যাবে।"