সমুদ্রের তাণ্ডব ঠেকাতে ব্ল্যাকস্টোনের ঢাল! বাঁধ শক্ত করতে মরিয়া সেচ দফতর
- Published by:Nayan Ghosh
- hyperlocal
- Reported by:Madan Maity
Last Updated:
জলোচ্ছ্বাস রুখতে বাঁকিপুটে ফেলা হল ব্ল্যাকস্টোন, ষাঁড়াষাড়ি কোটালের আগে বাড়তি সতর্কতা।
advertisement
1/6

ষাঁড়াষাড়ি কোটালের আগে কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের বাঁকিপুট এলাকায় দুর্বল সমুদ্রবাঁধ মেরামত হল । ইতিমধ্যেই সেচদফতরের উদ্যোগে ভাঙনপ্রবণ অংশে ব্ল্যাকস্টোন ফেলা হয়েছে। জেসিবি মেশিনের সাহায্যে শত শত ব্ল্যাকস্টোন ফেলে বাঁধকে শক্তিশালী করা হল। অতীত অভিজ্ঞতায় যশ ঘূর্ণিঝড়ের দাপট এখনও মানুষের মনে তাজা। তাই আগেভাগেই অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। (তথ্য ও ছবি: মদন মাইতি)
advertisement
2/6
২০২১ সালের মে মাসে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’-এর জেরে বাঁকিপুটসহ একাধিক উপকূলীয় অঞ্চলের সমুদ্রবাঁধ ভেঙে গিয়েছিল। প্রবল জলোচ্ছ্বাসের ফলে গ্রামগুলিতে ব্যাপক জল ঢুকে পড়ে। ঘরবাড়ি থেকে ফসল, সবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বহু মানুষকে ভেসে আসা জলে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে হয়েছিল। তখনই স্পষ্ট হয়েছিল দুর্বল বাঁধের ভয়াবহতা। ফলে আজও আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেননি স্থানীয়রা।
advertisement
3/6
যশের পর প্রশাসনের তরফে ভাঙা বাঁধে মাটি ও বোল্ডার ফেলে সাময়িকভাবে পরিস্থিতি সামলানো হয়েছিল। তবে স্থায়ী মেরামত না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে বাঁধটি অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে ছিল। ঝাউগাছ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ায় প্রাকৃতিক প্রতিরোধ শক্তিও অনেকটাই ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে। উপকূলবাসীর দাবি ছিল বাঁধকে কংক্রিট দিয়ে শক্তিশালী করতে হবে। কিন্তু এতদিনে সে উদ্যোগ না হওয়ায় তারা উদ্বেগের মধ্যে ছিলেন।
advertisement
4/6
বর্তমানে ভাঙনপ্রবণ অংশে জেসিবি দিয়ে ব্ল্যাকস্টোন ফেলা হচ্ছে। সেচদফতরের মতে, ব্ল্যাকস্টোন জলোচ্ছ্বাসের প্রবল দাপট আটকাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। আপাতত বাঁধকে সুরক্ষিত রাখতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে আরও উন্নত পরিকল্পনা করে বাঁধ মেরামতের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণ সুরক্ষা মেলেনি বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকেই।
advertisement
5/6
ষাঁড়াষাড়ি কোটালকে সামনে রেখে প্রশাসন বিশেষভাবে সতর্ক রয়েছে। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এখনই আগেভাগে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বিপদ এড়াতে সব রকম ব্যবস্থা রাখতে চাইছে দফতর। স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে সেচদফতর, সবাই মিলে নজরদারি চালাচ্ছে। সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাসের সময় বাঁধ রক্ষায় যাতে বড় বিপর্যয় না ঘটে, তার জন্য আগাম সতর্কবার্তাও দেওয়া হচ্ছে।
advertisement
6/6
স্থানীয় এক বাসিন্দা মানিক গারু বলেন, “বড় জলোচ্ছ্বাস হলে ভাঙা অংশ দিয়ে জল ঢুকে আবারও বিপদ হতে পারে। আমরা চাই বাঁধ কংক্রিট দিয়ে বাঁধান হোক। ব্ল্যাকস্টোন ফেলা হয়েছে বলে কিছুটা স্বস্তি পেলাম ঠিকই, কিন্তু স্থায়ী সুরক্ষা এখনও পাইনি।” তিনি আরও জানান, সামনে ষাঁড়াষাড়ি কোটাল রয়েছে। তাই আগেভাগেই প্রশাসন উদ্যোগী হওয়ায় অন্তত ভয় কিছুটা কমেছে।