Kali Puja 2025: কালীপুজোর দিনই হয় জাদুয়া মাতার আরাধনা, মায়ের টানে ঘরে ফেরে সবাই, মায়ের ভোগে দেওয়া হয় গুগলি, শামুক, কাঁকড়া, মাছ, খাসির মাংসও
- Published by:Debalina Datta
- hyperlocal
- Reported by:Bonoarilal Chowdhury
Last Updated:
Kali Puja 2025: ঐতিহ্য, বিশ্বাস ও ভক্তির মেলবন্ধন, পূর্বস্থলীর মেরতলার জাদুয়া মায়ের পুজো আজও অনন্য
advertisement
1/6

পূর্বস্থলী দু'নম্বর ব্লকের মেরতলা এলাকার ভট্টাচার্য পরিবারের জাদুয়া মায়ের পুজোকে ঘিরে আজও উৎসবের আমেজে ভরে ওঠে গোটা গ্রাম। ৫০০ বছরেরও অধিক প্রাচীন এই পুজো স্থানীয় মানুষের কাছে শুধু ধর্মীয় আচার নয়, এক ঐতিহ্যের প্রতীক। দীপান্বিতা অমাবস্যার দিন অনুষ্ঠিত এই কালীপুজো উপলক্ষে গ্রামজুড়ে চলে সাজসজ্জা, আলোকসজ্জা ও আনন্দ উল্লাসের পরিবেশ।তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
2/6
প্রচলিত কথায় জানা যায়, কালিশংকর বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক পুরোহিত প্রথম এই অষ্টধাতুর দেবীমূর্তি প্রতিষ্ঠা করে পুজোর সূচনা করেন। তাঁর উদ্যোগেই ভট্টাচার্য পরিবারে শুরু হয় জাদুয়া মায়ের পূজা। সেই সময় থেকেই এই পূজা গ্রামবাসীর একত্রিত আনন্দ ও ভক্তির প্রতীক হয়ে ওঠে। তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
3/6
স্থানীয়দের মতে, একসময় বর্ধমান মহারাজারা এই দেবীমূর্তি নিয়ে গিয়ে নিজেদের বাড়িতে পূজা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সেই অনুযায়ী মূর্তি নিয়ে গেলেও, পরবর্তীতে তারা দেবীর স্বপ্নাদেশ পান দেবীকে যথাস্থানে ফিরিয়ে দিতে হবে। স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পর, রাজা দেবীমূর্তিকে গঙ্গার জলে বিসর্জন দেন। তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
4/6
এদিকে, ততদিনে ভট্টাচার্য পরিবার একইভাবে আরেকটি অষ্টধাতুর ছোট দেবীমূর্তি প্রতিষ্ঠা করে পূজো শুরু করেন। কিছুদিন পর স্থানীয় গঙ্গা থেকে জেলেদের জালে উঠে আসে সেই হারিয়ে যাওয়া জাদুয়া মায়ের মূল মূর্তি। এরপর থেকে একসঙ্গে দুই দেবীমূর্তির বড় মা ও ছোট মা পুজো শুরু হয় এই মণ্ডপে। তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
5/6
আগে এই পুজো অনুষ্ঠিত হত প্রাচীন পদ্ধতিতে, মশাল জ্বালিয়ে দেবীর আরাধনা করা হত। এখনও দেবীকে নিবেদন করা হয় লুচি, পায়েস, মিষ্টি, ফলের পাশাপাশি বিভিন্ন আঁশভোগ। ভোগে থাকত গুগলি, শামুক, কাঁকড়া, নানা রকম মাছ এবং খাসির মাংসও। পুজোর নিয়মকানুন আজও সযত্নে পালন করেন ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্যরা। তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
6/6
পুজো উপলক্ষে আজও জাকজমকপূর্ণ হয়ে ওঠে মেরতলা এলাকা। বাইরে থাকা পরিবারের সদস্যরাও এই সময়ে গ্রামে ফিরে আসেন। বড় মা ও ছোট মায়ের আরাধনাকে কেন্দ্র করে গ্রামে সৃষ্টি হয় মিলনমেলা ও ভক্তিভাব। ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও শ্রদ্ধার মেলবন্ধনে আজও মেতে ওঠে গোটা গ্রাম। তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী
বাংলা খবর/ছবি/দক্ষিণবঙ্গ/
Kali Puja 2025: কালীপুজোর দিনই হয় জাদুয়া মাতার আরাধনা, মায়ের টানে ঘরে ফেরে সবাই, মায়ের ভোগে দেওয়া হয় গুগলি, শামুক, কাঁকড়া, মাছ, খাসির মাংসও