Hooghly news: এসেছিলেন স্বয়ং চৈতন্যদেব! পুরীর পরেই সবচেয়ে জনপ্রিয় মাহেশের রথ, ৬২৯ বছররে অজানা ইতিহাস জানলে চমকে যাবেন
- Published by:Ankita Tripathi
- hyperlocal
- Reported by:Rahi Haldar
Last Updated:
Mahesh Jagannath Dev Ratha Yatra: মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হল জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা বিগ্রহ। ৬২৯ বছর ধরেই এই একই নিম কাঠের বিগ্রহ পূজিত হয়ে আসছে মন্দিরের গর্ভগৃহে।
advertisement
1/6

হুগলি জেলার শ্রীরামপুর মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরকে চেনেন না এমন বাঙালি খুব কমই। পুরীর পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম রথযাত্রা হয় মহেশ জগন্নাথ মন্দিরে।৬২৯ তম বছরে পদার্পণ করেছে এই বছর মাহেশের রথযাত্রা। প্রতিবছরই কয়েক লক্ষ মানুষের ভিড় হয় এই রথযাত্রা উপলক্ষে। যে রথযাত্রা চাহিদা মানুষের মধ্যে এত বেশি তা নিয়ে কিছু অজানা তথ্য জেনে নেওয়া যাক এক নজরে।
advertisement
2/6
মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হল জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা বিগ্রহ। ৬২৯ বছর ধরেই এই একই নিম কাঠের বিগ্রহ পূজিত হয়ে আসছে মন্দিরের গর্ভগৃহে। এখনও পর্যন্ত বিগ্রহ কোনওরকম নবনির্মাণের কাজ করা হয়নি। কারণ তার প্রয়োজনই পড়েনি। দীর্ঘ ৬২৯ বছর ধরে ডিম কাটের এই বিগ্রহ রয়েছে একই রকম ভাবে।
advertisement
3/6
মন্দিরের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো পুরীতে যেমন বলা হয় শ্রীপাঠ নীলাচল, তেমনই স্বয়ং মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্যদেব মাহেশকে বলেছিলেন নব নীলাচল। তার কারণ মহেশ জগন্নাথ মন্দিরে পদধূলি পড়েছিল স্বয়ং চৈতন্যদেবের। পুরীর জগন্নাথ মন্দির থেকে প্রত্যাখিত হয়ে মাহেশ মন্দিরে স্থাপন করেছিলেন ধ্রুবানন্দ নামে এক জগন্নাথ ভক্ত।
advertisement
4/6
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ধ্রুবানন্দ রান্না করে জগন্নাথ দেবের ভোগ নিবেদন করতে গেলে সেখানে তাকে বাধা দেওয়া হয়। মনের দুঃখে উপবাসে তিনি জীবন কাটাচ্ছিলেন এমন সময় স্বয়ং জগন্নাথ দেব, নাকি তাকে জানিয়েছিলে মাহেশের কথা। সেই থেকে ছোট্ট একটি মন্দির গড়ে সেখানেই জগন্নাথের নিত্য সেবা করতেন ধ্রুবানন্দ।
advertisement
5/6
পরবর্তীতে মৃত্যু কালীন সময়ে ধ্রুবানন্দ তার সমস্ত দায়িত্বভার দিয়ে যান কমলাকর পিপ্লাই নামক আরেক ভক্তের দায়িত্বে। সেই থেকেই জগন্নাথ দেবের নিত্য সেবা ও পূজা আলোচনা করে আসছে তারই পরিবারের বর্তমান প্রজন্মরা। বর্তমানে তাদের সকলের উপাধি অধিকারী। তাই অধিকারীরাই ঠাকুর পূজোর দায়িত্ব সামনে আসছেন আজও।
advertisement
6/6
সর্বশেষ হল রথের কথা, ব্রিটিশ কোম্পানি মার্টিন বার্ন লোহার স্ট্রাকচারের এই রথ তৈরি করে দিয়েছিলেন আজ থেকে প্রায় দেড়শ বছর আগে। রথের সামলে থাকে একটি সাদা ও একটি কালো রংয়ের পিতলের ঘোড়া। বড় বড় লোহার চাকা বেষ্টিত ত্রিস্তরীয় এই রথের মধ্যেই অধিষ্ঠান করেন জগন্নাথ বলভদ্র এবং সুভদ্রা। দীর্ঘ দেড়শ বছর ধরে ও এই রথ রোদ জল ঝড়বৃষ্টি সবের মধ্যেই দাঁড়িয়ে রয়েছে মাথা উঁচু করে।
বাংলা খবর/ছবি/দক্ষিণবঙ্গ/
Hooghly news: এসেছিলেন স্বয়ং চৈতন্যদেব! পুরীর পরেই সবচেয়ে জনপ্রিয় মাহেশের রথ, ৬২৯ বছররে অজানা ইতিহাস জানলে চমকে যাবেন