House Demolition : কাটোয়া শহরের ঐতিহ্য হারানোর পথে, প্রাণ বাঁচাতে হাতুড়ির ঘা ইতিহাসে! মালিকদের অনীহাতেই কী শেষ হয়ে যাবে সব?
- Published by:Nayan Ghosh
- hyperlocal
- Reported by:Bonoarilal Chowdhury
Last Updated:
House Demolition : ভাগীরথীর তীরে কাটোয়া শহর ছিল সমৃদ্ধ জনপদ। এই পরিস্থিতিতে উদ্যোগ নিয়েছে কাটোয়া পুরসভা। বিপজ্জনক অংশগুলি চিহ্নিত করে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
advertisement
1/7

“কাটোয়া নগরী যেন সুরপুরী সর্বসুখ প্রমোদে।” প্রায় ৪৭৫ বছর আগে ‘চৈতন্যমঙ্গল’ কাব্যে জয়ানন্দ এইভাবেই কাটোয়ার গরিমা বর্ণনা করেছিলেন। প্রাচীন যুগ থেকেই ভাগীরথীর তীরে এই শহর ছিল সমৃদ্ধ জনপদ। কলকাতা গড়ে ওঠারও বহু আগে জীবনের স্পন্দনে মুখর ছিল এই শহর। <strong>(ছবি ও তথ্য - বনোয়ারীলাল চৌধুরী)</strong>
advertisement
2/7
কাটোয়ার অলিতে গলিতে এখনও লুকিয়ে আছে সেই ইতিহাসের নিদর্শন। প্রাচীন স্থাপত্যগুলি আজও বহন করে শহরের বনেদিয়ানার ঐতিহ্য। খিলান, খড়খড়ি জানালা, চুন-সুরকির দেওয়াল যেন অতীতকে ছুঁয়ে দেয়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেগুলির অবস্থা এখন শোচনীয়।
advertisement
3/7
পুরনো এই বাড়িগুলির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী নয় কেউই। ফলে ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছে অতীতের সাক্ষী। অরক্ষিত স্থাপত্যে জন্ম নিচ্ছে ঝুঁকি, শহরের জনজীবনে দেখা দিচ্ছে আতঙ্ক। সম্প্রতি কাটোয়ার বড়বাজারে একটি পুরনো বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে।
advertisement
4/7
এই পরিস্থিতিতে উদ্যোগ নিয়েছে কাটোয়া পুরসভা। বিপজ্জনক অংশগুলি চিহ্নিত করে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুরসভার সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার শুভম চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বাড়ির মালিকদের বারবার অনুরোধ করা হলেও তাঁরা ব্যবস্থা নেননি। তাই নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য আমরাই বিপজ্জনক অংশ ভেঙে ফেলছি।
advertisement
5/7
গত কয়েক দিনে শহরের বিভিন্ন স্থানে অন্তত দুটি পুরনো বাড়ির একাংশ ভেঙে ফেলে পুরসভা। সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ২০টি বাড়ি বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত হয়েছে এবং পোস্টার টাঙানো হয়েছে। তবুও মালিকরা এখনও নীরব, ফলে পুরসভাকেই পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।
advertisement
6/7
প্রাচীন স্থাপত্যগুলির এই অবস্থা দেখে হতাশ ইতিহাস ও সংস্কৃতি গবেষকরা। গবেষক ড. তুষার পণ্ডিতের মতে, “বাঙালি ঐতিহ্য রক্ষায় সচেতন নয়। তাই বাধ্য হয়েই পুরসভাকে পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।”
advertisement
7/7
পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর কুমার সাহা জানান, “পুরনো নয়টি বাড়িতে বিপজ্জনক এলাকা চিহ্নিত করে পোস্টার দেওয়া হয়েছে। বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে। মালিকদের স্বেচ্ছায় ভাঙার অনুরোধ করা হলেও অনেকে সাড়া দেননি।” <strong>(ছবি ও তথ্য - বনোয়ারীলাল চৌধুরী)</strong>
বাংলা খবর/ছবি/দক্ষিণবঙ্গ/
House Demolition : কাটোয়া শহরের ঐতিহ্য হারানোর পথে, প্রাণ বাঁচাতে হাতুড়ির ঘা ইতিহাসে! মালিকদের অনীহাতেই কী শেষ হয়ে যাবে সব?