দিঘার নতুন আকর্ষণ গণপতি বাপ্পা! চোখ ধাঁধানো ছবিগুলো দেখুন

মঙ্গলবার রাত থেকে নিউ দিঘা ও ওল্ড দিঘার রাস্তাঘাটে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। সমুদ্রের ধারে থাকা বিভিন্ন মণ্ডপ আলোক-সজ্জায় উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা পরিবার নিয়ে মণ্ডপ পরিদর্শনে বেরিয়েছেন। পর্যটকরা সমুদ্র দর্শনের পাশাপাশি এই আয়োজন উপভোগ করছেন। সন্ধে নামতেই আলো ঝলমল পরিবেশে উৎসবের আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে উঠেছে। হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোতেও ভিড় বেড়েছে। ফলে এলাকার চেনা রূপ এখন আর‌ও উৎসবমুখর।

দিঘা ও আশেপাশের এলাকায় এবার নানা থিমের গণেশ মণ্ডপ নজর কেড়েছে। কোথাও পুরাণভিত্তিক থিম, কোথাও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, আবার কোথাও পাহাড়সম বিশাল মূর্তি সাজানো হয়েছে। শিল্পীরা মাসের পর মাস পরিশ্রম করে এই মণ্ডপগুলি তৈরি করেছেন। দর্শকরা প্রতিটি মণ্ডপে গিয়ে ছবি তুলছেন, ভিডিও করছেন এবং স্মৃতি ধরে রাখছেন। মণ্ডপের পাশে স্থানীয় খাবারের দোকানগুলোও জমজমাট হয়ে উঠেছে, যা উৎসবের আমেজ আরও বাড়িয়ে তুলছে।

শুধু দিঘাতেই নয়, উপকূলীয় এলাকা রামনগর ও কাঁথিতেও গণেশ পুজোয় সমান উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। ছোট-বড় মণ্ডপে শোভা পাচ্ছে নানা রঙের আলোয় সজ্জিত গণেশ মূর্তি। স্থানীয় ক্লাব ও সংগঠনগুলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গান-বাজনা ও নাচের আয়োজন করেছে। সন্ধে নামতেই গ্রামীণ পরিবেশ আলোয় ভরে উঠছে। স্থানীয়রা বলছেন, সমুদ্রপাড়ের উৎসবের আবহ এখানে এসে আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। ভিড় জমাচ্ছেন বাইরের দর্শনার্থীরাও।

গণেশ পুজোকে ঘিরে দিঘা ও শঙ্করপুরে পর্যটকের চাপ স্পষ্ট। হোটেলগুলোতে আগাম বুকিং বেড়েছে। অনেক পরিবার ঘুরতে এসে এখানকার পুজো উপভোগ করছেন। ব্যবসায়ীদের মতে, এই উৎসবের ফলে হোটেল-রেস্তোরাঁ ও স্থানীয় বাজারে বিশেষ সুবিধা হচ্ছে। পর্যটকদের ঢল বাড়ার ফলে অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। উৎসব আর পর্যটনের মিলনে দিঘা সহ আশেপাশের অঞ্চল এখন উৎসবের আনন্দে মুখরিত।

দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুশান্ত পাত্র বলেন, নিউ দিঘা ও ওল্ড দিঘা মিলিয়ে অন্তত ১৫টির'ও বেশি জায়গায় এবার গণেশ পুজো হচ্ছে। এর মাধ্যমে পুজোর মরশুম শুরু হয়ে গেল। এই উৎসবে স্থানীয় মানুষ যেমন আনন্দ উপভোগ করছেন, তেমন‌ই পর্যটকেরাও সমান ভিড় জমিয়েছেন। ফলে পর্যটনের উন্নতির পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতিও চাঙ্গা হচ্ছে। আশাকরি, আগামী দিনেও এই ধারা বজায় থাকবে।