Jagadhatri Puja 2025 : কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে যাবেন? যে ঠাকুর একদমই মিস করা যাবে না, জেনে নিন রুট ম্যাপ

বাংলার পুজো সংস্কৃতির ইতিহাসে কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো এক অনন্য অধ্যায়। দেবী দুর্গার পর জগদ্ধাত্রী পুজো কৃষ্ণনগরে মানুষের কাছে এক অপরিহার্য আবেগ ও সামাজিক মিলনের উৎসব। ছবি ও তথ্য: মৈনাক দেবনাথ

শতবর্ষ প্রাচীন এই ঐতিহ্য আজও শহরের প্রাণে বয়ে আনে ধর্মীয় ভক্তি সাংস্কৃতিক ঐক্য ও সামাজিক সম্প্রীতির বার্তা। কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এর ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রা 'সাঙ'। যা দেবী বিসর্জনের সময় প্রতিমাকে বহন করে নিয়ে যাওয়া হয় নদীর ঘাটে।

অসংখ্য ভক্ত নাগরিক ও দর্শনার্থীর সমাগমে শহর জেগে ওঠে এক অনন্য উৎসবমুখর আবহে। জগদ্ধাত্রী পুজো নদীয়ার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। এবছর কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার কোতোয়ালি থানার অধীনে মোট ১৯৮ টি পুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এ বছর কৃষ্ণনগর জগদ্ধাত্রী পুজোয় ঘুরতে এলে কোন কোন বিখ্যাত ঠাকুর দেখবেন জেনে নিন : চাষাপাড়া বারোয়ারির বুড়িমা। কৃষ্ণনগরের অন্যতম প্রাচীন ও জাগ্রত ঠাকুর এটি। কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে এসে বুড়িমা ঠাকুর দেখেন না এমন মানুষ বোধ হয় নেই।

এর পরেই চলে যাবেন কাঁঠালপোতা বারোয়ারির ছোট মাকে দেখতে। বুড়িমার পরে অন্যতম শ্রেষ্ঠ জাগ্রত পুজো এটি। সেখান থেকে চলে যেতে হবে কৃষ্ণনগর রাজবাড়ী। কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরেই জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা হয়।

এরপর আপনাকে চলে আসতে হবে সোজা মালোপাড়া বারোয়ারীতে। যেখানে জগদ্ধাত্রী দেবী মা জলেশ্বরী রূপে পূজিত হন। এখানকার বিশেষত্ব হলো পুজোর দিন ধুনো পোড়ানো। এরপর সেখান থেকে আপনাকে চলে যেতে হবে বাঘাডাঙ্গা বারোয়ারীতে, এখানে জগদ্ধাত্রী দেবীর বাহন সিংহের পাশাপাশি থাকে বাঘও সেই কারণেই এই দেবীর নাম বাঘা মা।

এরপর আপনাকে চলে আসতে হবে কৃষ্ণনগর কদমতলা ঘাটের কাছে গোলাপট্টি বারোয়ারীতে। সেখানকার প্রতিমার পাশাপাশি প্যান্ডেল প্রতি বছর দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে।

এছাড়াও পাত্র বাজার স্বীকৃতি ক্লাব, আমিনবাজার বারোয়ারী, বউবাজার বারোয়ারি, রাধানগর অন্নপূর্ণা বারোয়ারী, ইত্যাদি একাধিক পুজো গুলি আপনাকে মুগ্ধ করতে বাধ্য!