South Dinajpur News : তীব্র অর্থকষ্ট, ৯০ বছর আগে এই গ্রামে প্রচলন হয়েছিল লক্ষ্মীপুজোর, আজও সেই প্রথা চলছে
- Published by:Suman Majumder
- hyperlocal
- Reported by:SUSMITA GOSWAMI
Last Updated:
নামে ধনলক্ষ্মী পুজো হলেও রাম লক্ষণ সীতার মূর্তি আর মূল মূর্তির দুপাশে লব, কুশ ও হনুমান প্রতিমা পূজিত হয়। আশ্বিন মাসের সংক্রান্তি তিথিতে বোল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের সরন গ্রামে। এই পুজোয় এখন গ্রামের সার্বজনীন পুজো হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
advertisement
1/6

তীব্র অর্থকষ্টের পাশাপাশি অন্ন কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে আজ থেকে প্রায় ৯০ বছর আগে গ্রামের বাসিন্দারা ধনলক্ষী পুজোর সূচনা করেন। দুর্গাপুজো কিংবা কালীপুজো নয়, এই ধনলক্ষ্মীপুজোকেই পাঁচ দিনের পুজো বানিয়ে গ্রামের সাধারণ বাসিন্দারা আনন্দে মাতেন।ছবি ও তথ্য- সুস্মিতা গোস্বামী।
advertisement
2/6
গ্রামের বাসিন্দারা পুজোর কদিন একসঙ্গে পংক্তি ভোজে মিলিত হন। এছাড়াও থাকে নিত্যদিন পুজো ও ভোগের ব্যবস্থা। প্রতিদিন রাতে লক্ষ্মী মঙ্গল গান অনুষ্ঠিত হয়। তাছাড়া থাকে গ্রামীণ বিভিন্ন লোক সংগীতের আসর লৌকিক এই দেবীর গঠন ও বিচিত্র।
advertisement
3/6
প্রতিবার আশ্বিন মাসে সংক্রান্তি তিথিতে পুজোর আয়োজন করা হয়। ফলে আলাদা করে দুর্গা পূজার প্রচলন গ্রামে সেভাবে নেই। গ্রামের মহিলারা নিজের নিজের বাড়ি থেকে চাল ভর্তি পূর্ণ ঘট নিয়ে আসেন মূল মণ্ডপে।
advertisement
4/6
সেখানেই ওই চাল জমা দিয়ে শূন্য ঘট নিয়ে চলে যান নদীতে। যেখান থেকে ঘট ভর্তি করে নিয়ে এসে দেবীর আবাহন শুরু হবে। এটাই রীতি। দুপুরে পুজোর সমাপন হবে, গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে পংক্তি ভজন করবেন।
advertisement
5/6
গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে জানা যায়, কৃষিভিত্তি এই গ্রামে এক সময় অনটন দুর্ভিক্ষ ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। সেখান থেকেই মুক্তি পেতে পূর্বপুরুষেরা কোনও এক সময় এই লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করেন। যে রীতি রেওয়াজ মেনে এই পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল সেই রীতি আজও মেনে চলা হয়।
advertisement
6/6
গ্রামবাসীরা বিশ্বাস করেন, ভগবানের আশীর্বাদে আর তাদের কোনও আর্থিক সমস্যা নেই। বরং আগের থেকে গ্রাম উন্নত হয়েছে জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে গ্রামবাসীদের। ফলে আস্থা ও বিশ্বাস বেড়েছে ধনলক্ষ্মী পুজোকে কেন্দ্র করে।
বাংলা খবর/ছবি/দক্ষিণবঙ্গ/
South Dinajpur News : তীব্র অর্থকষ্ট, ৯০ বছর আগে এই গ্রামে প্রচলন হয়েছিল লক্ষ্মীপুজোর, আজও সেই প্রথা চলছে