পাততাড়ি গুটিয়ে সবাই যখন পাড়ি দিচ্ছেন অন্যত্র, তখনই শুরু আসল খেলা! নিজেদের জাত চেনালেন এইসব তাঁতিরা
- Reported by:Bonoarilal Chowdhury
- hyperlocal
- Published by:Madhab Das
Last Updated:
শাড়ি ও কাপড় বিদেশেও পৌঁছে যাচ্ছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের হাত ধরে। গুণমান ও নকশার কারণে এখানকার তাঁতের কাপড়ের আলাদা পরিচিতি তৈরি হয়েছে।
advertisement
1/5

একসময় বাংলার তাঁত শিল্পের আলাদা কদর ছিল গোটা দেশে। সেই সুনাম থেকে বাদ যায়নি পূর্ব বর্ধমানও। জেলার তামাঘাটা, পূর্বস্থলী, ধাত্রিগ্রাম সহ অসংখ্য গ্রামজুড়ে তখন তাঁতের শাড়ি তৈরির ধুম। প্রতিটি ঘরে ঘরে তাঁতের কাজ হত, গ্রামীণ অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ ছিল এই শিল্প। তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
2/5
তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই চিত্র অনেকটাই বদলে গেছে। বছর খানেক ধরেই তাঁতের ব্যবসা একপ্রকার মন্দার মুখে। বাজারে চাহিদা কমে যাওয়া, সস্তা মেশিনে তৈরি কাপড়ের দাপট, সব মিলিয়ে অনেক তাঁতি জীবিকা নির্বাহের জন্য পাড়ি জমিয়েছেন ভিন রাজ্যে। একসময়ের রমরমা আজ অনেকটাই ফিকে।তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
3/5
কিন্তু এর মধ্যেও ভিন্ন ছবি ধরা দেয় কাটোয়ার ঘোরানাশ এবং মুস্থুলী গ্রামে। এখানকার মানুষ আজও জড়িয়ে আছেন ঐতিহ্যের কাজের সঙ্গেই। প্রায় শতাধিক তাঁতি এখনও নিয়মিতভাবে তাঁতের কাজ করছেন। তাঁত ছেড়ে অন্য রোজগারের পথে হাঁটেননি তাঁরা, বরং একনিষ্ঠ থেকে গড়ে তুলেছেন এক আলাদা দৃষ্টান্ত। তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
4/5
সারাবছরই এই গ্রামগুলিতে তাঁতিরা কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকেন। এখানে বড় বড় তাঁত ব্যবসায়ীরা রয়েছেন, যারা নিয়মিতভাবে তাঁদের কাজে উৎসাহ দেন এবং অর্ডার জোগান। ফলে অন্যত্র যখন কাজের অভাবে তাঁতিদের অনিশ্চয়তা, সেখানে এই গ্রামগুলিতে স্থায়িত্ব বজায় রয়েছে। তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
5/5
শুধু দেশেই নয়, এই তাঁতিদের তৈরি শাড়ি ও কাপড় বিদেশেও পৌঁছে যাচ্ছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের হাত ধরে। গুণমান ও নকশার কারণে এখানকার তাঁতের কাপড়ের আলাদা পরিচিতি তৈরি হয়েছে। ফলে বহু সমস্যার মধ্যেও পূর্ব বর্ধমানের ঘোরানাশ ও মুস্থুলী গ্রাম আজও ধরে রেখেছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্পের আসল কদর। তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী
বাংলা খবর/ছবি/দক্ষিণবঙ্গ/
পাততাড়ি গুটিয়ে সবাই যখন পাড়ি দিচ্ছেন অন্যত্র, তখনই শুরু আসল খেলা! নিজেদের জাত চেনালেন এইসব তাঁতিরা