Durga Puja 2025: পুজো মণ্ডপ মানে শুধু উৎসব নয় স্থানীয় মানুষকে বিভিন্ন বিষয়ে অবগত করতে হাজির শিক্ষক শিক্ষিকা!

উৎসব হবে সমাজ সংস্কারের চাবিকাঠি থেকে জীবন জীবিকার উৎস! সেই বার্তা নিয়ে দুর্গাপুর উৎসবে শামিল স্থানীয় প্রাথমিক স্কুল। মাতৃ আরাধনার পাশাপাশি মণ্ডপে আয়োজিত হল হস্তশিল্পের প্রদর্শন, ভেষজ গাছ চেনার উপায় এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে মানুষকে সচেতন এবং স্বনির্ভর করার উদ্যোগ। (ছবি ও তথ্য: রাকেশ মাইতি)

মাধবপুর সার্বজনীন দুর্গোৎসব দশভূজা'র আরাধনা ও প্রকৃতি মায়ের আরাধনা একই সঙ্গে বর্তমান পরিবর্তিত পরিবেশ পরিস্থিতির নিরিখে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। জলাভূমি ও বন্য প্রাণ প্রকৃতি মায়ের এক অতীব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। সেই দিক থেকে জলাভূমি হাওড়া জেলার মানুষের জীবন ও জীবিকার অনবদ্য লীলাভূমি। বিভিন্ন ভেষজ গাছ প্রদর্শন করা হয় তাদের বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে মানুষকে অবগত এবং ব্যবহার কিভাবে করবে সে বিষয়ে জানান হয়।

দেবী দুর্গা ধরাধামে প্রতিটি প্রাণের রক্ষাকারী। অতি প্রাচীন কাল থেকেই প্রকৃতি মায়ের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির আরাধনা হয় আসছে। তাই মা দশভূজা আরাধনার সঙ্গে সঙ্গে মা দুর্গার বাহন সিংহ ,লক্ষীর বাহন পেঁচা,বিদ্যার দেবী মা সরস্বতীর বাহন এই হাঁস, শিবের বাহন সাপের আরাধনা এক সঙ্গে করে চলেছি। এটি পরিবেশ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দিক বলেই মনে করেন পরিবেশ কর্মীরা।

রক্ষাকারী দেবীর আরাধনার মধ্য দিয়ে উৎসবে মেতে ওঠার পাশাপাশি সচেতনতা। লতা পাতায় রোগমুক্তি আমাদের প্রাচীন সংস্কৃতি। ঔষধি গাছের সঙ্গে পরিচিত ঘটন একইসঙ্গে হস্তশিল্পের প্রদর্শনী। স্থানীয় পড়ুয়াদের হাতে তৈরি বিভিন্ন জিনিসের প্রদর্শনী। অঙ্কন প্রতিযোগিতার পাশাপাশি হাতে তৈরি জিনিসে শিল্পীদের প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে পুরস্কৃত করা হয়। একই সঙ্গে মহিলাদের রান্নায় উৎসাহিত করতে প্রতিযোগিতা এবং পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা পুজো মণ্ডপে।

এ প্রসঙ্গে শিক্ষক রাজদূত সামন্ত জানান, যথাযথ চর্চার অভাবে মূল্যবান ভেষজ উদ্ভিদের ব্যবহার ভুলতে বসেছি। যার ফল স্বরূপ বর্তমান অগ্নিমূল্য এলোপ্যাথি চিকিৎসার কাছে আমার অসহায় আত্মসমর্পণ করে চলেছি। বিদেশী ঔষধ কোম্পানীগুলো আমাদের প্রকৃতি মায়ের অবদান ভেষজ গুণ সম্পন্ন গাছ নিয়ে ঔষধ তৈরি করে আজ আমাদেরকেই বিক্রি করে লাভমান হচ্ছে।তাই আগামী প্রজন্ম এর স্বার্থে পরিবেশ সচেতনতা গড়ে তুলে সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতে বাড়মংরাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বঙ্গভূমি সাহিত্য পত্রিকা হাত ধরাধরি করে এগিয়ে চলেছে। (ছবি ও তথ্য: রাকেশ মাইতি)