একবার গেলে বারংবার মন টানবে! সমুদ্রের টানে আর দিঘা নয়! ঘুরে আসুন খেজুরির হিজলী শরীফে
- Published by:Soumendu Chakraborty
- hyperlocal
- Reported by:Madan Maity
Last Updated:
দিঘার ভিড়ে হাঁসফাঁস? শান্তির খোঁজে চলে আসুন হিজলীর সৈকতে।
advertisement
1/6

নদীর চরভূমি, বালির বিস্তার আর ঝাউবনের শীতল ছায়া, সব মিলিয়ে এক অনন্য পরিবেশ। লাল কাঁকড়ার দৌড়ঝাঁপ আর সূর্যাস্তের অপূর্ব দৃশ্য ভ্রমণপিপাসুদের মন ভরিয়ে দেয়। এই পরিবেশে এসে যে কেউ মনে করবেন যেন শহরের কোলাহল থেকে অনেক দূরে, প্রকৃতির কোলে আশ্রয় নিয়েছেন। এমন মনোরম সৌন্দর্যের আস্তানা হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরির হিজলী শরীফ, যা একদিনের ভ্রমণ বা পিকনিকের জন্য আদর্শ। (ছবি ও তথ্য : মদন মাইতি)
advertisement
2/6
হিজলী যেতে হলে হাওড়া বা কলকাতা থেকে দিঘাগামী ট্রেন কিংবা বাস ধরতে হবে। হেঁড়িয়া স্টেশনে এক্সপ্রেস ট্রেন দাঁড়ায় না, তাই লোকাল ট্রেনেই যাওয়া ভালো। এছাড়া ধর্মতলা, হাওড়া বা মেছেদা থেকেও বাসে সহজে পৌঁছনো যায় হেঁড়িয়ায়। হেঁড়িয়া থেকে ছোট গাড়ি, অটো বা স্থানীয় বাস ধরে হিজলী পৌঁছনো সম্ভব। আবার সরাসরি বোগাগামী বাস ধরলে কলকাতা বা হাওড়া থেকে হিজলী যাওয়া আরও সহজ হয়ে যায়।
advertisement
3/6
হিজলী গেলে চোখে পড়বে ঝাউবনের সবুজ বিস্তার। এর ফাঁকে ফাঁকে বালির চর, যেখানে লাল কাঁকড়ার আনাগোনা বেশ চমকপ্রদ। নদী ও সাগরের মিলিত আবহ এখানে প্রকৃতিপ্রেমীদের মন টানে। বিকেলের দিকে সূর্যাস্তের দৃশ্য সবচেয়ে আকর্ষণীয়। পর্যটকরা বলেন, এখানে দিঘার মতো আনন্দ মেলে, তবে ভিড় কম থাকায় শান্ত পরিবেশে প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হওয়া যায়।
advertisement
4/6
হিজলী মূলত একদিনের ভ্রমণের জায়গা হলেও আশেপাশে কিছু অতিথিশালা ও লজ রয়েছে। হেঁড়িয়া বা খেজুরি বাজার এলাকায় সাশ্রয়ী দামে থাকা যায়, প্রতিরাত ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে কক্ষ ভাড়া পাওয়া যায়। পরিবার নিয়ে গেলে আগে থেকে বুকিং করলে সুবিধা হয়। এছাড়া স্থানীয় হোমস্টেগুলো প্রকৃতির কাছাকাছি থাকার আলাদা অভিজ্ঞতা দেয়।
advertisement
5/6
খেজুরি ও হেঁড়িয়ার খাবারের দোকানগুলিই ভরসা। বিশেষত এখানকার সি-ফুড জনপ্রিয়—চিংড়ি, কাঁকড়া বা তাজা মাছের ঝোল ভ্রমণকারীদের টানে। নিরামিষ খাবারের ব্যবস্থাও রয়েছে। দিনের সফরে টিফিন বা স্ন্যাকস পাওয়া যায় সহজে। অনেকে পিকনিকের জন্য নিজেরাই রান্নার ব্যবস্থা করে নেন, যেটি এই জায়গার খোলা পরিবেশে অন্যরকম আনন্দ এনে দেয়।
advertisement
6/6
কলকাতা থেকে আসা পর্যটক এক পর্যটকের কথায় “দিঘার ভিড় এড়িয়ে এখানে এসে আমি যেন সত্যিই শান্তির ঠিকানা খুঁজে পেলাম। ঝাউবনের ফাঁক দিয়ে হেঁটে সূর্যাস্তের সময় নদীর পাড়ে দাঁড়ালে মনে হয়েছিল, চারপাশে শুধু প্রকৃতি আর আমি। লাল কাঁকড়ার আনাগোনা, বাতাসে সাগরের গন্ধ আর নদীর চরভূমির নীরবতা আমাকে এক অন্য অভিজ্ঞতা দিল। শহরের কোলাহল থেকে বেরিয়ে এখানে এসে মনে হচ্ছে যেন অন্য এক জগতে চলে এসেছি। একবার নয়, সুযোগ পেলেই আবার ফিরতে চাই এই জায়গায়।”
বাংলা খবর/ছবি/দক্ষিণবঙ্গ/
একবার গেলে বারংবার মন টানবে! সমুদ্রের টানে আর দিঘা নয়! ঘুরে আসুন খেজুরির হিজলী শরীফে