DadaThakur Sharat Chandra Pandit: সুরসিক কথার জালে বশ পাঠক! দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্র পণ্ডিতের প্রতিভার আলোয় আজও উদ্ভাসিত বঙ্গ সংস্কৃতি
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
- local18
- Reported by:Tanmoy Mondal
Last Updated:
DadaThakur Sharat Chandra Pandit: মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর মহকুমার দফরপুর গ্রামে বাস করতেন শরৎচন্দ্র পণ্ডিত। তবে জন্ম তাঁর বীরভূম জেলাতে মাতুলালয়ে। বীরভূমের নলহাটি থানার শিমলাদদি গ্রামে তাঁর জন্ম হয় দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে৷। শৈশবেই তিনি পিতা-মাতা দু’জনকেই হারান।
advertisement
1/11

মুর্শিদাবাদ জেলার অন্যতম সুসন্তান শরৎচন্দ্র পণ্ডিত। যিনি দাদাঠাকুর নামেই সমধিক পরিচিত। মাত্র ২১ বছর বয়সে ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে যিনি ‘ পন্ডিত প্রেস ‘ নামে একটি হস্তচালিত ছাপাখানা জঙ্গিপুর মহকুমার রঘুনাথগঞ্জে স্থাপন করেন ।
advertisement
2/11
ভাগীরথী নদীর তীরে অবস্থিত জঙ্গিপুর ও রঘুনাথগঞ্জ শহর। নদী তীরবর্তী শহর হিসেবেই পরিচিত জঙ্গিপুর। আর এই জঙ্গিপুরে ইতিহাস স্থাপন করেন শরৎচন্দ্র পণ্ডিত, যিনি দাদা ঠাকুর নামেই পরিচিত।
advertisement
3/11
তিনি তার একক প্রচেষ্টায় ‘ জঙ্গিপুর সংবাদ ‘ নামে একটি সাপ্তাহিক সংবাদপত্র প্রকাশ করতেন , যে পত্রিকাকে বাংলার বলিষ্ঠ মফস্বল সাংবাদিকতার প্রথম উদাহরণ ও বলা যেতে পারে । ‘ পন্ডিত প্রেস ‘ এ তিনি ছিলেন কম্পোজিটর , প্রুফ রিডার , মেশিনম্যান সবই । শুরুতেই যা বলা হয়েছে।
advertisement
4/11
দাদাঠাকুর অর্থাৎ শরৎচন্দ্রের প্রকৃত পদবি কিন্তু পণ্ডিত নয়। তাঁরা আদিতে ছিলেন কাঞ্জিলাল। দাদাঠাকুরের নামের সঙ্গে মুর্শিদাবাদ জুড়ে গেলেও তাঁর জন্ম কিন্তু বীরভূমে। ধরমপুর এলাকার সিমলান্ডি গ্রামে। ধরমপুর থেকে একসময়ে মুর্শিদাবাদের দফরপুরে চলে আসেন। দফরপুরে এখনও তাঁদের পৈতৃক ভিটে রয়েছে।
advertisement
5/11
মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর মহকুমার দফরপুর গ্রামে বাস করতেন শরৎচন্দ্র পণ্ডিত। তবে জন্ম তাঁর বীরভূম জেলাতে মাতুলালয়ে। বীরভূমের নলহাটি থানার শিমলাদদি গ্রামে তাঁর জন্ম হয় দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে৷। শৈশবেই তিনি পিতা-মাতা দু’জনকেই হারান।
advertisement
6/11
পিতৃব্য রসিকলালের স্নেহ ছায়া তে তিনি বড় হতে থাকেন এরপর। চলতে থাকে পড়াশোনা। জঙ্গিপুর হাই স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাস করে বর্ধমানের রাজ কলেজে এফ এ ক্লাসে ভর্তি হন শরচচন্দ্র। তবে আর্থিক কারণে তিনি পড়া শেষ করতে পারেননি।
advertisement
7/11
অত্যন্ত সাধারণ জীবন যাপন করতেন শরৎচন্দ্র পণ্ডিত । তবে অত্যন্ত তেজস্বী মানুষ ছিলেন তিনি। জঙ্গিপুর সংবাদ এর পাশাপাশি তাঁর প্রকাশিত ‘ বিদুষক ‘ পত্রিকা প্রকাশিত হতো। যে পত্রিকাতে থাকত তাঁর অর্থাৎ দাদা ঠাকুরের রচিত নানা হাসির গল্প হাস্যকৌতুক ।
advertisement
8/11
অল্পদিনেই বিদূষক পত্রিকা রসিকজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে৷। কলকাতার রাস্তায় রাস্তায় দাদা ঠাকুর নিজের হাতে এই পত্রিকা ফেরি করতেন । সঙ্গে মুখে থাকত চটজলদি বানিয়ে নেওয়া গান বা ছড়ার কলি যা শুনে রীতিমতো স্তম্ভিত হয়ে যেত শ্বেতাঙ্গ পুলিশ থেকে সাধারণ মানুষজন।
advertisement
9/11
দাদা ঠাকুরের কাব্য প্রতিভা , রসবোধ , চটজলদি ছড়া বাঁধার এক অসাধারণ সহজাত ক্ষমতা ছিল , যে ক্ষমতার কাছে নতি স্বীকার করেছেন বহু গুণীজন । দাদাঠাকুরের রসবোধ আর প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব ছিল সহজাত ।
advertisement
10/11
ইংরেজি ভাষাতে যে উভ মুখী শব্দ আছে , সেরকম তিনি বাংলাতেও শব্দ সৃষ্টি করেছেন । হিন্দি ইংরেজিতে লিখেছেন কাব্য । তাঁর ব্যঙ্গাত্মক কবিতা গুলি ছিল তীব্র প্রতিবাদ সমাজের নানা কুপ্রথার বিরুদ্ধে। দাদা ঠাকুরের জীবিত কালেই তাঁর জীবন নিয়ে একটি ছায়াছবি নির্মিত হয় । সময়কাল ছিল ষাটের দশক।
advertisement
11/11
দাদাঠাকুর নিজে কলকাতার রাস্তায় রাস্তায় গিয়ে বিক্রি করতেন এই পত্রিকা। দাদা ঠাকুরের মৃত্যু হয় মৃত্যু ২৭ এপ্রিল, ১৯৬৮ সালে।
বাংলা খবর/ছবি/দক্ষিণবঙ্গ/
DadaThakur Sharat Chandra Pandit: সুরসিক কথার জালে বশ পাঠক! দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্র পণ্ডিতের প্রতিভার আলোয় আজও উদ্ভাসিত বঙ্গ সংস্কৃতি