বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের গাছতলায় রাতের ‘অতিথি’! আঁধারে ধরা পড়ল ওটা কী?

রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে চাঞ্চল্য ছড়াল বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে। জি.এম. বিল্ডিংয়ের পাশের গাছের নিচে আচমকাই দেখা মিলল এক বিশাল অজগরের। প্রায় সাড়ে পাঁচ ফুট দীর্ঘ এই সাপ দেখে ভয়ে ত্রস্ত হয়ে পড়েন কর্মীরা।

খবর পেয়ে মুহূর্তের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান দুবরাজপুরের পরিবেশপ্রেমী ও সর্পরক্ষায় বিশেষ অভিজ্ঞ অমিত শর্মা। তাঁর উপস্থিতি যেন খানিকটা আশ্বস্ত করে পরিস্থিতিকে। দক্ষ হাতে ও নিপুণভাবে অজগরটিকে উদ্ধার করেন তিনি। অজগরটির বয়স তুলনামূলকভাবে কম হলেও দৈর্ঘ্যে তা প্রায় সাড়ে পাঁচ ফুট।

উদ্ধার হওয়ার পরেই শুরু হয় বনদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ। দ্রুত বনদফতরের সহযোগিতায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অজগরটিকে তার অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশে ফিরিয়ে দেওয়ার। এদিন সকালে নির্দিষ্ট এলাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়, যেখানে সে নির্বিঘ্নে নিজের মতো করে বাঁচতে পারবে।

সাধারণ মানুষ এখনও সাপ দেখলেই আতঙ্কিত হন, কখনও কখনও মেরে ফেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রকৃতিতে সাপের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, ইঁদুর ও অন্যান্য ছোট প্রাণীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে তারা।

এই ঘটনাটি কেবল একটি সাপ উদ্ধারের গল্প নয়, এটি পরিবেশ রক্ষার প্রতি মানবিক দায়িত্বের প্রতীক। অমিত শর্মার মতো মানুষদের কারণেই আজও বন্যপ্রাণী পাচ্ছে নতুন করে বাঁচার সুযোগ। বনদফতরের সচেতনতাও এই কাজে বড় ভূমিকা নিচ্ছে।