Bijoya Dashami: ইছামতীর বাতাসে মেশে বিজয়ার সুর, নীলকণ্ঠের ডানায় বিজয়ার গোধূলি নামে টাকির মাটিতে
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
- local18
- Written by:Bangla Digital Desk
Last Updated:
Bijoya Dashami: ইছামতি নদীতে বিসর্জন ঘিরে সকাল থেকেই ছিল প্রশাসনিক তৎপরতা। ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী— বিএসএফ ও বিজিবি— জলের উপর নজরদারি চালায়। সীমানা বরাবর স্পিডবোটে চক্কর দিয়ে নিশ্চিত করা হয় যাতে নিরঞ্জন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। l
advertisement
1/6

উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার টাকিতে আজও চিরাচরিত প্রথা মেনে সম্পন্ন হল দুর্গা প্রতিমার নিরঞ্জন। শতাব্দী প্রাচীন এই ঐতিহ্য ঘিরে এক বিশেষ আবেগ কাজ করে দুই বাংলার মানুষের মনে। বিদায় উমা প্রথা মেনে ইছামতি নদীতে টাকি রাজবাড়ির প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়, যেখানে ভৌগলিক সীমানা ভুলিয়ে দুই দেশের মানুষ মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।
advertisement
2/6
দশমীর সকালে প্রথমে মাকে বরণ করা হয় রাজবাড়িতে। এরপর মহিলাদের সিঁদুর খেলা, ভোগ নিবেদন ও যাত্রামঙ্গল পাঠের মধ্য দিয়ে উমার বিদায় জানানোর প্রস্তুতি শুরু হয়। প্রথা মেনে কোনও যানবাহনের ব্যবহার না করে ২৪ জন বেয়ারার কাঁধে প্রতিমাকে ইছামতির ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। নিরঞ্জনের পর রাজবাড়ির প্রথা অনুযায়ী সকলে একসাথে বসে পান্তা ভাত, কচু শাক, আলু ভাজা ও মিষ্টি ভোগ করেন।
advertisement
3/6
রাজবাড়ির সদস্য শর্মিষ্ঠা ঘোষ জানান, “নিয়ম নিষ্ঠা এবং সমস্ত উপাচার মেনেই পুজো হয়ে আসছে টাকি রাজবাড়িতে। আজ দশমী, উমার বিদায়ের দিন। তাই সকালের বরণ থেকে শুরু করে বিসর্জন পর্যন্ত প্রতিটি আচার আমরা শতাব্দী প্রাচীন নিয়মে সম্পন্ন করি।” তিনি আরও জানান, ভোগে মাকে নিবেদন করা হয় পান্তা ভাত ও কচুশাক, এরপর উপাচার মেনে বিসর্জন সম্পন্ন হয়।
advertisement
4/6
ইছামতি নদীতে বিসর্জন ঘিরে সকাল থেকেই ছিল প্রশাসনিক তৎপরতা। ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী— বিএসএফ ও বিজিবি— জলের উপর নজরদারি চালায়। সীমানা বরাবর স্পিডবোটে চক্কর দিয়ে নিশ্চিত করা হয় যাতে নিরঞ্জন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।
advertisement
5/6
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এপারের প্রতিমা ভারতীয় সীমান্তের মধ্যে বিসর্জন হয়, অন্যদিকে ওপারের প্রতিমা বাংলাদেশ সীমান্তে ভাসান হয়। এই রীতি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বজায় রয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে গোটা টাকি শহরকে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং নজরদারির চাদরে মুড়ে ফেলা হয়। ফলে ভিড় সামলাতে কোনও সমস্যা হয়নি।
advertisement
6/6
এদিন ভক্ত ও দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ভৌগলিক বিভাজন ভুলিয়ে দুই বাংলার মানুষ একসাথে উমার বিদায়ে অংশ নেন। দেশ-বিদেশ থেকে আগত পর্যটকেরাও এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হন। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই হাজারো মানুষ ইছামতির তীরে জমায়েত হয়ে বিদায়ী উমাকে প্রণাম জানান, আর আবেগে ভাসেন দুই বাংলার মানুষ।
বাংলা খবর/ছবি/দক্ষিণবঙ্গ/
Bijoya Dashami: ইছামতীর বাতাসে মেশে বিজয়ার সুর, নীলকণ্ঠের ডানায় বিজয়ার গোধূলি নামে টাকির মাটিতে