ঈশ্বরের অসীম কৃপা! এভাবে দুমড়ে মুছড়ে যাওয়া গাড়িতে থাকা যাত্রীও বেঁচে গেলেন, দেখুন
- Published by:Pooja Basu
- news18 bangla
Last Updated:
গাড়িটি যেভাবে দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছিল তাতে তার ভিতরে কেউ যে আর বেঁচে নাই, তাই ধরেই নিয়েছিলেন সকলে।
advertisement
1/7

•কথায় বলে,রাখে হরি মারে কে! সেই কথার কথা অক্ষরে অক্ষরে ফলে গেল অরুণ কুমার ঘোষের জীবনে। এক কথায় সাক্ষাৎ মৃত্যুকে দেখেও পুনর্জন্ম পেলেন তিনি। লোহা বোঝাই লরি উলটে যায় চারচাকা গাড়ির উপর। তার ভারে চিঁড়ে চ্যাপ্টা হয়ে যায় চারচাকা গাড়িটি। গাড়ির ভেতর আটকে ছিলেন চালক ও আরোহী। প্রাণভয় চোখ বুজে মুখ গুঁজে দেন সিটে। তাতেই প্রাণে বেঁচে গেলেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দারা তৎপর হয়ে কোনওরকমে গাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার করলেন তাঁদের।
advertisement
2/7
•অরুণকুমার ঘোষ হিমঘরের মালিক। বাড়ি হুগলির দশঘড়ায়। সেখান থেকে শুক্রবার বর্ধমান যাচ্ছিলেন চারচাকা গাড়িতে। সঙ্গে ছিলেন চালক প্রাণময় দাস। মেমারির কানাইডাঙার কাছে দু নম্বর জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তাঁরা। পাশ দিয়ে যাচ্ছিল লোহার সামগ্রী বোঝাই একটি লরি। বেসামরিক হয়ে সেই গাড়ি উলটে যায় অরুণবাবুর গাড়ির উপর। তারপর ধীরে ধীরে পিষে দিতে থাকে। চিঁড়ে চ্যাপ্টা হওয়ার উপক্রম। চালক ও গাড়ির আরোহী ভিতরে আটকে পড়েন। প্রাণ বাঁচাতে সিটের ওপর মুখ গুঁজে শুয়ে পড়েন। অনেকটা সময় কেটে যায়। চোখ মেলে অনুভব করেন, বেঁচে আছেন।
advertisement
3/7
•অরুণবাবু জানান,একটি লরি আচমকা ওভারটেক করতে গিয়ে তাদের গাড়ির পেটে ধাক্কা মারে লরি। তার পর দুলতে দুলতে ডিভাইডারে ধাক্কা খেয়ে তাদের গাড়ির ওপর উলটে যায়। লরিতে সম্ভবত রেলের লোহার সামগ্রী বোঝাই ছিল। বিকট শব্দে সব তাদের চারচাকার ওপর হুড়মুড়িয়ে নেমে আসে। অরুণবাবুর গাড়ি দুমড়ে ছোট হয়ে আসতে থাকে। এরপরও যে বাঁচব ভাবিনি।
advertisement
4/7
•প্রায় আধঘণ্টার চেষ্টায় স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের চেষ্টায় অরুণ বাবু ও তাঁর সঙ্গী গাড়িচালককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। অরুণবাবু বলেন, লরিটি গাড়ির ওপর পড়ার পর আমাদের বের হওয়ার কোনও উপায় ছিল না। চালক ও আমি আটকে পড়ি। লরিটি ধীরে ধীরে নীচের দিকে নেমে আসতে থাকে। প্রান বাঁচাতে সিটের উপর আমরা মুখ গুঁজে শুয়ে পড়ি। একদম চেপ্টে যাওয়ার অবস্থা। ঈশ্বরকে ডাকতে থাকি।
advertisement
5/7
•ঈশ্বর যে মানুষ রূপে দেখা দেবেন তা হয়তো কল্পনাতেও ছিল না তাঁদের। প্রচুর স্থানীয় মানুষ জড়ো হয়। লরি ও তার ভিতরে থাকা সামগ্রী তাঁদের উপর চেপে বসেছে। স্থানীয়রা তা সরানোর কাজ শুরু করেন। পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়াররা আসার পর গাড়ির ভেতর থেকে তাঁদের বের করা সম্ভব হয়। গাড়ির চালক গুরুতর আহত। তাঁকে অনাময় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
advertisement
6/7
•অরুণবাবু বলেন, প্রচুর মানুষ যেভাবে আমাদের বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিলেন তা কল্পনা করা যায় না। পুলিশ, সিভিক ভলেন্টিয়ার ও স্থানীয় বাসিন্দারা সবাই মিলে আমাদের পুনর্জন্ম দিয়েছেন। তাঁদের সকলকে অসংখ্য প্রণাম। সবার উপরে মানুষ সেটা প্রমাণ হল।
advertisement
7/7
•স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, লরির তলায় একটা চারচাকা গাড়ি চাপা পড়ে গেছে দেখে আমরা ছুটে আসি। চারচাকা গাড়িটি যেভাবে দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছিল তাতে তার ভেতরে কেউ যে আর বেঁচে নাই ধরেই নিয়েছিলাম। কিন্তু কাছে এসে দেখি দুজনেরই বেঁচে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তাতেই উৎসাহিত হয়ে সকলে মিলে উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়।
বাংলা খবর/ছবি/দক্ষিণবঙ্গ/
ঈশ্বরের অসীম কৃপা! এভাবে দুমড়ে মুছড়ে যাওয়া গাড়িতে থাকা যাত্রীও বেঁচে গেলেন, দেখুন