এভাবেও ভালবাসা যায়...কথা বলতে বা শুনতে পান না দু’জনেই, বাঁকুড়ার দম্পতির ‘সাইলেন্ট লাভ’-এর কাহিনি
- Published by:Siddhartha Sarkar
- hyperlocal
- Reported by:Nilanjan Banerjee
Last Updated:
Story of Silent Love of a Couple: কথায় আছে ‘মানুষ মানুষেরই জন্যে...’। কথাটির সার্থকতা যেন এই দম্পতিকে দেখলেই বোঝা যায়।
advertisement
1/6

নীলাঞ্জন বন্দোপাধ্যায়, বাঁকুড়া: এক দম্পতি। কথা বলতে বা শুনতে পান না দু’জনেই। নিজেদের মধ্যে ইশারা করে কথা বলেন তাঁরা। রয়েছেন বৃদ্ধ বাবা, যাঁর চাকরি জীবন শেষ হয়েছে প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় আগে।
advertisement
2/6
বৃদ্ধ রিটায়ার্ড বাবা, এবং নিজের কন্যা সন্তানের দায়িত্ব তুলে নিতে মুক ও বধির এই দম্পতি বিগত ১০ বছর ধরে সেলাই করে সংসার সামলাচ্ছেন ৷
advertisement
3/6
বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন জুনবেদিয়ার জ্ঞানেন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দা দীপক কুমার বটব্যাল এবং ঝুমা বটব্যাল জন্মগতভাবেই কথা বলতে বা শুনতে পান না। দীপক কুমার বটব্যালের বছর ৮০ এর বাবা ষষ্ঠী চরণ বটব্যাল জানান, নানান প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও তাঁর ছেলে মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। পরে সংসারের হাল ধরতে কাপড় সেলাই করে থাকেন এবং সেই কাপড় ব্যাগে ভরে শহরে গিয়ে দিয়েও আসেন ছেলে দীপক কুমার বটব্যাল।
advertisement
4/6
অপরদিকে ঝুমা বটব্যালের অক্ষর জ্ঞান না থাকলেও অদম্য লড়াই করার ইচ্ছা রয়েছে। একজন সম্পূর্ণ সুস্থ গৃহবধূ যেভাবে সংসারের সব কাজ সামলে নেন, ঠিক একই ভাবে দশভুজার মতই বাড়ির রান্না বান্না এবং নিজের কন্যার সব কাজ সামলে করে থাকেন সেলাইয়ের কাজ।
advertisement
5/6
নিজের স্বামীকে সাহায্য করা থেকে শুরু করে পরিবারের সকলের খেয়াল রাখা, কোনও কিছুতেই খামতি নেই তাঁর। বৃদ্ধ শশুর, স্বামী এবং কন্যার সঙ্গে ইশারাতেই চলে নিস্তব্ধ বাক্যালাপ এবং হাসি-কান্না।
advertisement
6/6
কথায় আছে ‘মানুষ মানুষেরই জন্যে’। কথাটির সার্থকতা যেন এই দম্পতিকে দেখলেই বোঝা যায়। জীবন ধারণের মুখ্য দুই মাধ্যম বলা বা শোনা না পারা সত্ত্বেও কোনও অজুহাত ছাড়াই সংসারের হাল ধরেছেন দু’জনে।
বাংলা খবর/ছবি/দক্ষিণবঙ্গ/
এভাবেও ভালবাসা যায়...কথা বলতে বা শুনতে পান না দু’জনেই, বাঁকুড়ার দম্পতির ‘সাইলেন্ট লাভ’-এর কাহিনি