বিয়ার, ভদকা, রাম, হুইস্কি...! মিলছিল হস্টেলের ঘরেই! কোন মেডিক্যাল কলেজে জানেন?

রীতিমতো হস্টেলের ঘরে বিক্রি হচ্ছে মদ। বিয়ার, ভদকা, রাম, হুইস্কি, কী নেই। যা চাইবেন মিলছে তাই। পেমেন্ট করা যাচ্ছে কিউ আর কোডে। ক্রেতা কারা জানেন? শুনলে অবাক হবেন। ক্রেতা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা। অভিযোগ এমনটাই। সেই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ।

অভিযোগ, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সাত নম্বর বয়েজ হস্টেলে চলেছে এই দেদার মদ বিক্রি। তবে এই অভিযোগ আদৌ সত্য কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ পত্রের সঙ্গে কিছু স্টিল ছবি ও ভিডিও ক্লিপ জমা দিয়েছে পড়ুয়াদের একাংশ। সেসব ছবি, ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, থার্মোকলের পেটিতে বরফে ডোবানো মদের বোতল। তা রাখা রয়েছে হস্টেলের ঘরে চৌকির তলায়। মদ বিক্রেতা নিজে হাজির কিউ আর কোড নিয়ে। তাতেই নেওয়া হচ্ছে পেমেন্ট। এক এক করে পড়ুয়ারা পছন্দের মদ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

সেই ছবি ভিডিও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয় পড়ুয়াদের একাংশ। তাদের দাবি এই ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। সেই বিষয়ে আজ বৈঠকে বসে কলেজ কাউন্সিল। তবে তারা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি। গোটা বিষয়টি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনে। এখন স্বাস্থ্য ভবন কি সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার।

বৈঠকের পর বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এ ব্যাপারে স্টিল ছবি ও ভিডিও-সহ অভিযোগ পত্র জমা পড়েছিল। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তবে কিছু টেকনিক্যাল কারণে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়নি।

সত্যিই এই ভিডিও বা ছবি হস্টেলের কোনও ঘরের কিনা বা অন্যান্য কিছু বিষয় এখনও প্রমাণিত নয়। সেগুলি ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর প্রয়োজন থাকতে পারে। তাই আমরা পুরো বিষয়টি স্বাস্থ্য ভবনে পাঠাচ্ছি। তারা এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।