Cyclone Mocha || Digha: ফুঁসছে ঘূর্ণিঝড় মোকা! দিঘায় শুরু জোর প্রস্তূতি, নেওয়া হল বিশেষ পদক্ষেপ

দিঘা: ইয়াস, আমফানের ভয়াবহ স্মৃতি এখনও মুছে যায়নি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলবর্তী অঞ্চলের মানুষজনের মনে। কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছিল দিঘা সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলীয় অঞ্চলের জনজীবন। এখন নতুন করে ঘূর্ণিঝড় মোকা নিয়ে নতুন করে চিন্তা বাড়ছে।

তাই এবার আগে থেকে প্রস্তুত জেলা প্রশাসন। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রতিটি ব্লকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার বিশেষ মহড়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি।

বিগত বছর গুলিতে মে মাসে আমফান, ইয়াস ঝড়ের প্রভাবে দিঘা, তাজপুর, মন্দারমণি, খেজুরি, নন্দীগ্রাম, হলদিয়া সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন জায়গা ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছিল।

আবারও বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় মোকার উৎপত্তি। মোকা ঠিক কোথায় আছড়ে পড়বে, বাংলায় এর পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়তে চলেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

কিন্তু, যদি কোনও ঘূর্ণিঝড় আসে সেক্ষেত্রে যাতে মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত সেরে রাখতে উদ্যোগী প্রশাসন। জেলায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা মহড়া সেরে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জেলা শাসক।

ঘূর্ণিঝড় মোকার প্রভাব পড়লে কী কী পদক্ষেপ করতে হবে তা আগে থেকে জানার জন্য জেলার ব্লকে ব্লকে বিশেষ মহড়া করা হচ্ছে শনিবার।

পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক পূর্ণেন্দু মাজি জানান, বছরের বিভিন্ন সময় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার মহড়া হয়ে থাকে। ঘূর্ণিঝড় মোকার প্রভাব পড়ার সম্ভবনার কথা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু, মানুষজনের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।

তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় এলে সাধারণ মানুষ, প্রশাসনের করণীয় প্রসঙ্গে ব্লকে ব্লকে মহড়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সৈকত এলাকাগুলিতে আজ মক ড্রিল হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, মক ড্রিলে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষিত জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে পদ্ধতি তাও ঝালিয়ে নেওয়া হবে। পাশাপাশি গাছ কাটার যে যন্ত্রপাতি রয়েছে সেগুলি আরও একবার পরীক্ষা করে নেওয়া হবে।

সম্প্রতি পর পর ঘূর্ণিঝড়ে রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র দিঘা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে। দিঘাকে নতুন করে সাজিয়ে তুলেছে রাজ্য সরকার।

পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে, বাড়ছে ব্যবসা। ছন্দে ফিরছিল দিঘা। কিন্তু আবারও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় বাড়ছে প্রস্তূতি নেওয়া হয়েছে। Saikat Shee