Viral: দুই সতীনের ভাগাভাগি! স্বামীকে 'শেয়ার' করে নিলেন দুই স্ত্রী! কে কী পেলেন? শুনলে চমকে যাবেন

পারিবারিক বিবাদে জমি, সম্পত্তি ও বাড়ি ভাগের কথা নিশ্চয়ই শুনেছেন, কিন্তু কখনও স্বামীর বিভাজনের কথা শুনেছেন? এমনই এক চমকপ্রদ ঘটনা সামনে এসেছে বিহারের পূর্ণিয়া থেকে। যেখানে দুই স্ত্রীর সম্মতিতে এক স্বামীকে ভাগ করা হয়েছে। স্বামীর দুই স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদের চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে আসার পর মানুষ তো হতবাক!

স্বামী দুই স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ দৈনিক জাগরণ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বামীর এমন এক অনন্য বিভাজনের ঘটনা সামনে এসেছে পূর্ণিয়া পুলিশ ফ্যামিলি কাউন্সেলিং সেন্টারে। যা এলাকায় বিশেষ ভাবে শিরোনামে উঠে এসেছে।

পারিবারিক কাউন্সেলিং সেন্টার স্বামীকে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ১৫ দিন এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে ১৫ দিন থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

পারিবারিক বিবাদ মীমাংসার জন্য পূর্ণিয়ায় একটি পুলিশ ফ্যামিলি কাউন্সেলিং সেন্টার রয়েছে। শুক্রবার ওই পারিবারিক পরামর্শ কেন্দ্রটি স্বামীকে দুই স্ত্রীর মধ্যে সমানভাবে ভাগ করার এক অনন্য নির্দেশ দিয়েছে। যা একইসঙ্গে নজিরবিহীন।

সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ণিয়া জেলার ভবানীপুর থানার গোদিয়ারির বাসিন্দা ওই মহিলা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্রে পৌঁছেছিলেন।

মহিলার অভিযোগ, তার স্বামী আগেই বিবাহিত। তারও ৬টি সন্তান ছিল, তা সত্ত্বেও মহিলাকে প্রতারণা করে তিনি আবার বিয়ে করেন, কিন্তু এখন স্বামী তাঁকে আর নিজের কাছে রাখতে চান না। অন্যদিকে এই প্রথম স্ত্রীও স্বামীর সঙ্গে থাকার জেদে অনড়।

পারস্পরিক সম্মতির পর বন্ড স্বাক্ষর প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত হয় বোঝাপড়া অভিযোগ নিয়ে দুই স্ত্রীর কথা শোনার পর ফ্যামিলি কাউন্সেলিং সেন্টারও বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে।

উভয় পক্ষের কথা শুনে পারিবারিক কাউন্সেলিং সেন্টার সিদ্ধান্ত নেয় যে স্বামীকে তার উভয় স্ত্রীকেই মর্যাদা দিয়ে রাখতে হবে। স্বামীকে উভয় স্ত্রীর যত্নও নিতে হবে। পারিবারিক পরামর্শ কেন্দ্র উভয় স্ত্রীকে আলাদা বাড়িতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

নির্দেশ দেওয়া হয় যে মাসের প্রথম ১৫ দিন স্বামীকে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে এবং স্বামীকে মাসের শেষ ১৫ দিন দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে। পারিবারিক কাউন্সেলিং সেন্টারের এই সিদ্ধান্তে স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই সম্মত হন।

এর পরে, স্বামী এবং উভয় স্ত্রীর কাছ থেকে একটি মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হয় তাঁদের সম্মতির পরিপ্রেক্ষিতে। পারিবারিক পরামর্শ কেন্দ্র তিনজনকেই মুচলেকা লিখিয়ে নেয় যাতে পরবর্তীতে কেউ এই ব্যবস্থা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে না পারেন।