মহান গুরুর অনুপ্রেরণায় যে শিষ্যরা হয়েছেন কালজয়ী-বিশ্বজয়ী

গুরুপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে জীবনের গুরুদের বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ তাঁদের শিষ্যদের ৷ এমন কিছু গুরু শিষ্যকে দেখা যাক যাঁরা সত্যি গুরু ভক্তিতেই পেয়েছেন সাফল্য, হয়েছেন সবার থেকে আলাদা ৷

ঠাকুর শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণকে নিজের গুরুর থেকে বেশি মনে করতে স্বামী বিবেককান্দ ৷ জীবনের পথ চলার ক্ষেত্রে প্রতিটি সমস্যার সমাধান ঠাকুর ৷

অর্জুনের অস্ত্রগুরু দ্রোণাচার্য অস্ত্রশিক্ষা দিয়েছিলেন তৃতীয় পাণ্ডবকে ৷ গুরুর প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা ভক্তি রেখেই বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বীর হয়েছিলেন ৷ অর্জুনের শৌর্যের কথা সবারই জানা রয়েছে ৷

মহাভারতের অন্যতম ট্র্যাজিক চরিত্র কর্ণ, পরশুরামের কাছে অস্ত্রশিক্ষায় পারদর্শী হয়েছিলেন তবে জীবনের একটি অভিশাপই তাঁর সব পরিশ্রম জলে দিয়েছে ৷ কথিত আছে একবার পরশুরাম কর্ণের কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়েছিলেন ৷ সেই সময় একটি বিছে কামড়াছিল কর্ণকে কর্ণ গুরুর ঘুমে ব্যাঘাত ঘটবে বলেই ৷ কামড় সহ্য করেছিলেন, রক্তে ভেসে যাচ্ছিল ক্রমেই সারা শরীর ৷ ঘুম ভাঙে পরশুরামের তিনি ঘুম থেকে উঠে কর্ণকে জিজ্ঞালা করেছিলেন কোনও সূত পুত্রের এত সহ্য শক্তি হতে পারেনা ৷ তুমি পরিতয় গোপন করেছো ৷ সেই সময়েই অভিশাপ প্রাপ্ত হয়েছিলেন কর্ণ যে মৃত্যুকালে রথের চাকা মাটিতে বলে যাবে ৷ প্রকৃত পক্ষে তাই হয়েছিল ৷ তবুও গুরুর প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা কখনই কমেনি শিষ্য কর্ণের ৷

সচিন রমেশ তেন্ডুলকর অর্থাৎ ক্রিকেটের ভগবান তিনি সব সময়েই বলেন তাঁর ক্রিকেট কোচ রমাকান্ত আচরেকর না থাকলে তিনি ও তাঁর বাল্যবন্ধু বিনোদ কাম্বলি কখনই ক্রিকেটিয় শিক্ষা পেতেন না ৷ শিষ্য হিসাবে সচিন তাঁর গুরুকে দক্ষিণা দিয়েছেন ৷

কিংবদন্তি শিল্পী কিশোর কুমার তাঁর দীর্ঘ চলার পথে গুরু হিসাবে মেনে এসেছেন কেএল সায়গলকে ৷ তাঁর গানের প্রেরণাই সাইগল সাহেব ৷