শত শত বছরের পুরনো এক সুড়ঙ্গ; ভিতরে ঢুকতেই এ কী দেখলেন ভূবিজ্ঞানী !
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
ইতালির সুপ্রাচীন শহর ম্যাপলস। সেখানে প্রতিটি ধুলো কণাও বুঝি শোনায় ইতিহাসের কাহিনী। এই এলাকার বাসিন্দারা প্রতিনিয়ত তাঁদের বাড়ির নিচে গুপ্তধনের সন্ধান করেন।
advertisement
1/7

পৃথিবীর গর্ভে লুকিয়ে অপার রহস্য। কখনও কখনও মানুষ পায় সেই রহস্যের সন্ধান; অবাক হয়ে যায় পূর্বপুরুষের ইতিহাস জেনে। এমনই এক ঘটনার কথা জানা গিয়েছে ইতালিতে। মাটির ১৫০ মিটার গভীরে এক বিশাল সুড়ঙ্গ, শত শত বছরের ইতিহাস লুকিয়ে রেখেছে। ইতালির সুপ্রাচীন শহর ম্যাপলস। সেখানে প্রতিটি ধুলো কণাও বুঝি শোনায় ইতিহাসের কাহিনী। এই এলাকার বাসিন্দারা প্রতিনিয়ত তাঁদের বাড়ির নিচে গুপ্তধনের সন্ধান করেন।
advertisement
2/7
তেমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল ২০১২ সালে। চোখের খুলে গেছিল শত শত বছরের পুরনো ইতিহাস। সরকারি ভূতাত্ত্বিকরা সেই সময় আশপাশের এলাকায় কিছু সুড়ঙ্গের অনুসন্ধান করছিলেন। ঠিক তখনই একটি সুড়ঙ্গের খোঁজ মেলে। বন্ধ দরজা ঠেলে সেই প্রচীন ইতিহাস বের করতে কম বেগ পেতে হয়নি। কিন্তু একবার সেই সুড়ঙ্গের মধ্যে গিয়ে পড়তেই চক্ষু চড়কগাছ।
advertisement
3/7
গত কয়েক দশক ধরে বন্ধ থাকা এই সুড়ঙ্গটিতে জমা রয়েছে রাশি রাশি ‘ভিনটেজ’ গাড়ি। তারই সঙ্গে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত নানা জিনিসপত্র। পুরনো টিভি সেট, ফ্রিজ, ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি, মোটরবাইক, কী নেই!
advertisement
4/7
কিন্তু এই সুড়ঙ্গ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমকালীন নয়। জানা গিয়েছে, ১৮৫৩ সালে সিসিলির তৎকালীন রাজা বোরবনের দ্বিতীয় ফার্দিনান্দ নির্মাণ করেছিলেন এই সুড়ঙ্গ। তাই আবিষ্কারের পর এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘গ্যালেরিয়া বোরবোনিকা’। জানা যায়, দ্বিতীয় ফার্দিনান্দের আমলে বোরবন সাম্রাজ্য এতটাই ভীত ছিল যে, তারা মাটির ১৫০ মিটার গভীরে সুড়ঙ্গ খনন করেছিল। এর সাহায্যেই তারা নিরাপদে পালিয়ে যেতে চেলেছিল। এর কারণও ছিল। ১৮১৬ থেকে বোরবন বংশের বিরুদ্ধে তিনটি বিপ্লব হয়েছে। ১৮৪৮ সালে প্রায় ১৬ মাস রাজ্য দখল করে রেখেছিল বিদ্রোহীরা।
advertisement
5/7
১৮৪৯ সালে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর, দ্বিতীয় ফার্দিনান্দ দ্রুত নতুন সংবিধান রচনা করেন এবং নতুন বিদ্রোহের বীজ বপন করেন। সেই সময়ই এই রয়্যাল প্যালেস থেকে সামরিক ঘাঁটি পর্যন্ত সুড়ঙ্গের পরিকল্পনা করা হয় যাতে, রাজপ্রাসাদ থেকে নিরাপদে পালাতে পারেন রাজা। ১৯৩০-এর দশকে, এই সুড়ঙ্গে রাখা হত গাড়ি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আবার নিরাপদ ব্যারাক হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল। বিমান হামলা এড়াতে মানুষ এখানে আশ্রয় নিতেন।
advertisement
6/7
২০১২ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ দেখা এক ব্যক্তি টোনিনো পারসিকো এই সুড়ঙ্গের কথা বলেন ভূতাত্ত্বিক জিয়ানলুকা মিনিনকে। পারসিকো আসলে নিজেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ওই সুড়ঙ্গে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
advertisement
7/7
এই সব সুড়ঙ্গে অনেক সময়ই পরিত্যক্ত বোমা পাওয়া যায়। জিয়ানলুকার নেতৃত্বে সেই খোঁজ চলছিল। সুড়ঙ্গের ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতে জিয়ানলুকা এবং তাঁর দলের তিন বছর লেগেছিল। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এই সুড়ঙ্গকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়।