Snake News: কোন দেশে সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যু হয় না? রয়েছে পৌরানিক ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা

সাপ নিয়ে আতঙ্ক বা কৌতুহল নেই এমন মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা। বিশেষ করে আমাদের দেশে সাপকে যেমন পুজো করা হয়, কেমনই সাপ নিয়ে বেশির ভাগ মানুষের মনেই ভীতি কাজ করে। প্রতীকী ছবি

প্রতি বছর সাপের কামড়ে মৃত্যুর নিরিখে উপরের সারিতে ভারত। সাপ নিয়ে আতঙ্ক থাকলেও কিন্তু এই ঠাণ্ডা সরীসৃপ নিয়ে মানুষের জানার কৌতুহলের কোনও শেষ নেই। প্রতীকী ছবি

সাপ সম্পর্কে এমন নানা তথ্য রয়েছে যা অনেকেরই অজানা। তেমনই একটি বিষয় হল, পৃথিবীতে একটি দেশ রয়েছে যেখানে সাপের কামড়ে কারও মৃত্যু হয় না। শুনতে অবাক লাগলেও এটা সত্য। প্রতীকী ছবি

তবে এই দেশে সাপের কামড়ে মৃত্যু না হওয়ার কারণ কিন্তু অন্য। কারণ এই দেশে আজ পর্যন্ত কোনও দিন কোনও সাপের দেখাই মেলেনি। তাই যে দেশে সাপই নেই সেই দেশে সাপের কামড়ে মৃত্যুর প্রশ্মই ওঠে না। প্রতীকী ছবি

আর সেই দেশের নাম হল আয়ারল্যান্ড। উত্তর পশ্চিম ইউরোপে অবস্থিত এই দেশে কোনও সাপ নেই। আজ পর্যন্ত আয়ারল্যান্ডে কখনই কোনও সাপের দেখা মেলেনি। প্রতীকী ছবি

আয়ারল্যান্ডের জীবাশ্ম সংক্রান্ত সরকারি দফতরের রেকর্ডে এমন কোনও তথ্য নেই যেখান থেকে বলা যায় যে সেদেশে কখনও সাপ ছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, কখনওই আয়ারল্যান্ডে সাপ ছিল না। প্রতীকী ছবি

আয়ারল্যান্ডে সাপ না থাকার কারণের পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে। একটা পৌরানিক কারণ ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও রয়েছে। বেশ কিছু পৌরানিক কথা অনুযায়ী উঠে আসে সেন্ট প্যাট্রিকের নাম। প্রতীকী ছবি

বলা হয়, একবার খ্রিস্ট ধর্মকে রক্ষা করতে গিয়ে ৪০ দিন না খেয়ে, সেন্ট প্যাট্রিক একবার আয়ারল্যান্ডের সমস্ত সাপকে ছুঁড়ে ফেলে দেন সমুদ্রে। তারপর থেকে আর আয়ারল্যান্ডে সাপ নেই। প্রতীকী ছবি

বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হল, প্রায় ১০ হাজার বছর আগে তুষারযুগে বরফে ঢাকা ছিল আয়ারল্যান্ড। সাপ ঠান্ডা রক্তের প্রাণী হলেও, রক্তে হিমোগ্লোবিনের প্রয়োজনীয় মাত্রা বজায় রাখতে চারপাশের বস্তু থেকে তাপ গ্রহণ করতে হয় তাদের। বরফের চাদরে মোড়া আয়ারল্যান্ডে তা সম্ভব ছিল না। প্রতীকী ছবি

তুষারযুগের পর হিমবাহ গলতে শুরু করলে, মানসাগর দ্বারা ব্রিটেন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। ফলে ব্রিটেনে কয়েক প্রজাতির সাপ থাকলেও স্বভাবে কুঁড়ে হওয়ার কারণে সাপ আর আয়ারল্যান্জ মুখো হয়নি। আয়ারল্যান্ডের অতিরিক্ত ঠাণ্ডা এর অন্য তম কারণ। প্রতীকী ছবি