ঠান্ডায় কেন শীতঘুমে যায় সাপ? কারণ জানলে চমকে যাবেন
- Published by:Siddhartha Sarkar
- local18
Last Updated:
শীতকালে সব সাপই যায় শীতঘুমে’। এই সময় সাপ শিকার করে না। খাবারের সন্ধানে বেরোয় না। নিরাপদ জায়গায় বাসা তৈরি করে ‘শীতঘুমে’ পড়ে থাকে।
advertisement
1/6

রূপাংশু চৌধুরী, হাজারিবাগ: ঝোপেঝাড়েই সাপের বাস। গর্তের মধ্যে থাকে। খাবারের সন্ধানে বাইরে বেরোয়। কখনও কখনও ঢুকে পড়ে গৃহস্থের বাড়িতেও। হুলস্থূল পড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশিরভাগ সাপই নির্বিষ। কিছু সাপ বিষধর। গ্রীষ্ম এবং বর্ষাকালেই সাপের উৎপাত বাড়ে। কিন্তু শীতকালে তারা কোথায় যায়?
advertisement
2/6
ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগের ‘সাপ বন্ধু’ নামে খ্যাত মুরারি সিং বলেন, ‘গ্রীষ্ম এবং বর্ষাকালেই সাপ বেরোয়। বনের আশপাশে দেখা যায়। হঠাৎ বসতিপূর্ণ এলাকাতেও চলে আসে। আর শীতকালে সব সাপই যায় শীতঘুমে’। এই সময় সাপ শিকার করে না। খাবারের সন্ধানে বেরোয় না। নিরাপদ জায়গায় বাসা তৈরি করে ‘শীতঘুমে’ পড়ে থাকে।
advertisement
3/6
সাপের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা তাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সামান্য ভূমিকা পালন করে, তাই তারা তাদের শরীরকে উষ্ণ রাখতে বাহ্যিক পরিবেশের উপর নির্ভরশীল। শীতকালে সাপ বেঁচে থাকার জন্য একটি ভিন্ন কৌশল নেয়। সেটাকেই হাইবারনেশন বা শীতঘুম বলা হয়।
advertisement
4/6
ক্যালোরি সঞ্চয়: মুরারি বলেন, সাপ তিন থেকে চার মাস একটানা হাইবারনেশনে থাকে। এই সময় সাপ লুকানোর জন্য নিরাপদ স্থান বেছে নেয়। বছরের বাকি সময় শিকার ধরে যে ক্যালোরি সঞ্চয় করেছে সেটাই তাকে শক্তি যোগায়। তাছাড়া এই সময় সাপের শরীরে জমে থাকা চর্বিও কমে যায়। শীতঘুম কাটানোর পর সাপের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
advertisement
5/6
শীতঘুমে রয়েছে মানে যে সাপ ঘুমিয়ে রয়েছে তা কিন্তু নয়। আবার জেগে থাকেও বলা যায় না। এটা আধো ঘুম, আধো জাগরণ অবস্থা। এই সময় সাপের বিপাকীয় হার খুব ধীর হয়ে যায়। মুরারি বলেন, হাইবারনেশনের সময় ডিহাইড্রেশন এড়াতে সাপ মাঝে মাঝে সূর্যের আলো নেওয়ার জন্য গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে। তবে তখনও মড়ার মতো পড়ে থাকে, খুব একটা তৎপরতা দেখা যায় না। সাপ কেন সূর্যের তাপ নেয়?
advertisement
6/6
সর্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠান্ডার সময় সাপ সূর্য থেকে উষ্ণতা পাওয়ার জন্যই গর্ত থেকে বেরোয়। কারণ সূর্যের আলোই ইক্টোথার্মিক প্রাণীদের বাহ্যিক তাপের একমাত্র উৎস। ইক্টোথার্মিক প্রাণীরা থার্মোরেগুলেশন করতে অক্ষম। অর্থাৎ শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য তাদের বাহ্যিক উৎস প্রয়োজন।