Knowledge Story: সূর্যের দিকে শুধুমাত্র এই সময়েই তাকান, অন্য সময় ভুল করলে চরম মূল্য চোকাতে হবে...

নিম্নচাপের বৃষ্টি শুরু হলেও এই গ্রীষ্মের মরশুমে শুরু থেকেই চলছে প্রচণ্ড রোদের দাপট। রাস্তায় বের হলেই চড়া রোদের মুখে গলদঘর্ম হতে হয় সকলকে। জানেন কি এই রোদেই যেমন আছে ভিটামিন ডি, তেমনই এই রোদই হতে পারে আপনার জন্য বিশাল ক্ষতির কারণ!

সূর্যের আলো যে চোখের রেটিনাটাই নষ্ট করে দিতে পারে, এ কথা অনেকেই হয়ত কল্পনাও করতে পারেন না। এই সময়ে চিকিৎসকরা বলেছেন, সূর্যের জ্যোতিই কেড়ে নিতে পারে অতি বেগুনি রশ্মি।

ঘর বা অফিসের বাইরে বের হলেই চোখে পড়ে রোদ আর অত্যন্ত কড়া রোদ সরাসরি চোখে পড়া মানে অতি বেগুনি রশ্মির বিকিরণের মুখোমুখি হওয়া। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গরমকালে অতি বেগুনি রশ্মির বিরিকণ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। আর তাতেই বড় ক্ষতি দেখছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞরা।

ডাক্তাররা বলছেন, “সব থেকে ভয় ছোটদের। শিশুদের চোখ ইউভি রশ্মি ছাঁকতে পারে না বলে তাদের রেটিনায় বেশি বিকিরণ পৌঁছয়। এই রশ্মির চোখে দীর্ঘকালীন প্রভাব আরও মারাত্মক। যার কারনে ক্যাটারাক্ট বাড়িয়ে রেটিনা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।”

বিপদের ভয় থেকে নিস্তার নেই বড়দেরও। অতি বেগুনি রশ্মির বিকিরণ তিন ধরনের- ইউভি-এ, ইউভি-বি এবং ইউভি-সি। এর মধ্যে ইউভি-এ ও ইউভি-বি চোখের উপরিতলের কোষ-সহ কর্নিয়া ও লেন্সের ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অল্প সময়ের মধ্যে বেশি মাত্রায় ইউভি রশ্মি চোখে পড়লে কর্নিয়া ফুলে গিয়ে ‘ফটোকেরাটাইটিস’ হতে পারে। একেই বলে চোখের সানবার্ন।

চোখের উপরিতলের কোষ-সহ কর্নিয়া ও লেন্সের অনেক বড় ক্ষতি করতে পারে ইউভি-এ ও ইউভি-বি। ফটোকেরাটাইটিস-এর লক্ষণ : * চোখ লাল হয়ে যাওয়া * চোখ ভারী লাগা * অনবরত চুলকনো * চোখে বালির মতো কিছু অনুভূতি হওয়া * আচমকাই চোখ থেকে জল পড়া এর লক্ষণ।

এ থেকে বাঁচার উপায় ও চিকিৎসকের পরামর্শ : * সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা এই সময়টায় এই অতি বেগুনি রশ্মির বিকিরণ সবচেয়ে বেশি হয়। এই সময়টায় রোদ এড়িয়ে যেতে পারলে ভাল।

* না এড়াতে পারলে চোখে বড় আকারের সানগ্লাস দিন। * দিনে তিন-চার বার চোখে জলের ঝাপটা দিন। * স্কুল যাওয়া ও ফেরার পথে শিশুও যেন সরাসরি রোদের মুখে না পড়ে, সেই বিষয়ে সতর্ক হন।