Drinking Water : জারের জল কিনে খান লাখ লাখ মানুষ! সেই জলে বিশুদ্ধতা এক মিনিটে বাড়িতেই পরীক্ষা করা যায়! শিখে নিন কায়দা

জলের আর এক নাম জীবন। তবুও জলই কিন্তু অনেক সময় প্রাণঘাতী হতে পারে! জলের সমস্যার কারণেই নানা শারীরিক সমস্যা তৈরি হয় মানবদেহে। তাই বর্তমানে টিউবওয়েল বা কলের জল ছেড়ে, ওয়াটার ফিল্টারের জল ব্যবহার করে থাকেন অধিকাংশ মানুষ।

জেলায় জার বন্দি ২০, ৩০ টাকার জলের ব্যবসা রমরমিয়ে বেড়ে উঠেছে। তার মধ্যে অনেকেরই বৈধ কাগজপত্র না থাকলেও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই জলের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবার। তবে অনেকেই জলের মান বিচার না করেই পান করছেন দিনের পর দিন। তাতে শরীরের কী ক্ষতি হচ্ছে, সে সম্পর্কে অনেকেরই কোনও আন্দাজ নেই।

এখনও জেলার নানা প্রান্তে দেখা মিলছে কোম্পানির নামবিহীন পানীয় জলের জার বিক্রি হতে। কোনওরকম লেভেল বা সঠিক নামকরণ ছাড়াই, জারের গায়ে শুধুমাত্র চিহ্ন একে বা শর্ট লেটার ব্যবহার করে এই ধরনের ২০ লিটারের জার পৌঁছে যাচ্ছে বাড়ি বাড়ি। তবে জলের বিশুদ্ধতা কিন্তু আপনি বাড়িতে বসে পরীক্ষা করতে পারেন।

সবার আগে জলের রঙ দেখে পরীক্ষা করে নিন। একটি গ্লাসে জল নিন। আর সেই গ্লাস স্বচ্ছ আলোতে রেখে দেখুন। যদি জলের রঙ হলুদ, বাদামী দেখায়, অথবা তাতে কোনও কণা ভাসতে দেখেন, তা হলে সেটি পান করার উপযুক্ত নয়। জল পরিষ্কার হলে তা সর্বদা স্বচ্ছ হবে।

এবার জলের গন্ধ পরীক্ষা করুন। জল থেকে কোনওরকম দুর্গন্ধ পেলে তা দূষণের ইঙ্গিত দেয়। জলের ট্যাঙ্ক বা পাইপলাইনে জমে থাকা ময়লার কারণে এমন দুর্গন্ধ হতে পারে। আবার অতিরিক্ত জিওলিন রাসায়নিক ব্যবহারের কারণেও জল থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে।

জলের pH স্তর পরীক্ষা করেও বিশুদ্ধতা যাচাই করা যায়। এক গ্লাস জলে একটি লিটমাস পেপার ডুবিয়ে রাখুন। যদি pH মান ৭ থেকে ৮-এর মধ্যে থাকে, তা হলে সেই জল পান করা নিরাপদ। এর চেয়ে বেশি বা কম মানের জল পানযোগ্য নয়। টিডিএস (TDS) মিটার ব্যবহার করেও আপনি জলের বিশুদ্ধতা যাচাই করতে পারেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) নির্দেশিকা অনুযায়ী, বিশুদ্ধ জলের টিডিএস মান ১০০ থেকে ২৫০ ppm হতে হবে। এছাড়া জল ফুটিয়ে দেখতে পারেন। ফোটানো জলে তেলের মতো আস্তরণ পড়লে সেটি বিশুদ্ধ নয়। এমনকী অনেক সময় ফোটানো জল থেকে দুর্গন্ধও ছড়াতে পারে। জল ঠান্ডা হলে তাতে সাদা আস্তরণ পড়লে বুঝতে হবে সেই জল বিশুদ্ধ নয়।