General Knowledge: ১ ফোঁটা চোখের জলেই নিষ্ক্রিয় ২৬ টি সাপের বিষ! বিশ্বের সবচেয়ে দামী অশ্রু কোন প্রাণীর বলুন তো? সবার চেনা, তবু ৯৯% ভুল উত্তর দিয়েছেন
- Published by:Ankita Tripathi
- news18 bangla
Last Updated:
World’s Costliest Tear: এই প্রাণীর চোখের জলের দাম এত বেশি কেন? কারণ হল চিকিত্সা শাস্ত্রে এর অদ্ভুত গুরুত্ব। এই প্রাণীর চোখের জল সাপের বিষ নিষ্ক্রিয় করতে সহায়তা করতে পারে।
advertisement
1/11

কষ্ট থেকে আসে চোখে জল, খুশিতেও চোখে আসে জল। বিজ্ঞানও বলে, কান্না বড়ই জটিল আবেগের প্রতিফলন। মানুষ তো কাঁদেই, তবে কেবল মানুষ নয়, অন‍্যান‍্য প্রাণীদেরও চোখেও আসে জল।
advertisement
2/11
গরু, কুকুর, বিড়াল, হাতি, বানর থেকে শুরু বহু প্রাণীরই কষ্টে, শোকে, ভয়ে, বিভিন্ন কারণে চোখের জল দেখা যায়। এমনকী সমুদ্রের প্রাণী ডলফিনও কাঁদে।
advertisement
3/11
কিন্তু প্রাণীজগতের ভিড়েই রয়েছে এমন একটি প্রাণী যার এক ফোঁটা চোখের জল দাম সবচেয়ে বেশি। এই প্রাণী কিন্তু আমাদের কারও অচেনা নয়। চেনা প্রাণীরই চোখের জলের দাম প্রচুর। কিন্তু প্রাণীজগতের ভিড়েই রয়েছে এমন একটি প্রাণী যার এক ফোঁটা চোখের জল দাম সবচেয়ে বেশি। এই প্রাণী কিন্তু আমাদের কারও অচেনা নয়। চেনা প্রাণীরই চোখের জলের দাম প্রচুর।
advertisement
4/11
কিন্তু এই প্রাণীর চোখের জলের দাম এত বেশি কেন? তার সবচেয়ে কারণ হল চিকিত্‍সা শাস্ত্রে এর অদ্ভুত গুরুত্ব। এই প্রাণীর চোখের জল সাপের বিষ নিষ্ক্রিয় করতে সহায়তা করতে পারে। সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে তেমনই এক চাঞ্চল‍্যকর তথ‍্য।
advertisement
5/11
এই প্রাণী হল মরুভূমির জাহাজ উট। উটের চোখের জলেরই এত দাম। রুক্ষ, শুষ্ক মরুভূমির বুকে হেঁটে বেড়ানো শান্ত, নিরীহ প্রাণীটির অশ্রু গুণাগুণের বিচার করে অবাক হয়ে গিয়েছেন খোদ বিজ্ঞানীরাও।
advertisement
6/11
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার অন ক্যামেল (NRCC)-এর বিজ্ঞানীরা বেশ কতকগুলি পরীক্ষা করেছেন উটের অশ্রু নিয়ে। এই পরীক্ষার ফলাফলেই জানা যায় উটের চোখের জলের অদ্ভুত ক্ষমতা।
advertisement
7/11
গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন যে উটের রক্তের সিরাম এবং অশ্রুতে উপস্থিত অ্যান্টিবডি বিষের প্রভাবকে কার্যকরভাবে নিষ্ক্রিয় করেছে। বিশেষভাবে, তারা বিষের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে, বিশেষত অভ্যন্তরীণ রক্তপাত (হেমোরেজ) এবং রক্ত জমাট বাঁধার ব্যাধি (কোয়াগুলোপ্যাথি) সৃষ্টি করে।
advertisement
8/11
অত্যন্ত বিষাক্ত সাপ প্রজাতি সো-স্কেলড ভাইপার (Echis carinatus sochureki)-এর বিষ ব্যবহার করে ড্রোমেডারি উট (Camelus dromedarius) কে ইমিউনাইজ করতে সক্ষম বিজ্ঞানীরা।
advertisement
9/11
উট থেকে প্রাপ্ত অ্যান্টিবডিগুলি শক্তিশালী প্রভাব দেখিয়েছে এবং ঘোড়ার ইমিউনোগ্লোবুলিন (IgG) থেকে তৈরি প্রচলিত অ্যান্টিভেনমের তুলনায় কম অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
advertisement
10/11
তাছাড়া, উট-ভিত্তিক অ্যান্টিভেনমগুলি আরও দক্ষ এবং উৎপাদনে কম ব্যয়বহুল, যা জটিল এবং ব্যয়বহুল ঘোড়া-উত্পাদিত বিকল্পগুলির জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল বিকল্প তৈরি করে।
advertisement
11/11
চিকিত্‍সাক্ষেত্রে এই আবিষ্কার যুগান্তকারী প্রভাব বিস্তার করবে বলেই বিশ্বাস বিজ্ঞানীদের। প্রতি বছর ভারতে কয়েক হাজার মানুষের মৃত‍্যুর কারণ সাপের কামড়। বিশেষত বর্ষায় প্রচুর মানুষ সাপের দংশনের শিকার হয়। উট-উত্পাদিত অ্যান্টিবডির NRCC-এর আবিষ্কার নিরাপদ, আরও সাশ্রয়ী এবং সহজে উৎপাদনযোগ্য। ফলে বিশেষত গ্রামের মানুষরা এই ওষুধে উপকৃত হবেন বলেই আশ্বাস বিজ্ঞানীদের।
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
General Knowledge: ১ ফোঁটা চোখের জলেই নিষ্ক্রিয় ২৬ টি সাপের বিষ! বিশ্বের সবচেয়ে দামী অশ্রু কোন প্রাণীর বলুন তো? সবার চেনা, তবু ৯৯% ভুল উত্তর দিয়েছেন