ফুচকাকে আর কী বলা হয়? ১০টি না হোক ৮টি নাম বলতে পারলে আপনার general knowledge তুখোড়

ফুচকার মতো জিভে জল আনা লোভনীয় খাবার বোধহয় পৃথিবীতে খুব কম আছে। এই একটি খাবার যা মনে করলেও জিভে চলে আসে। আর তার সঙ্গে আলুর পুর আর তেঁতুল জলে ডুবিয়ে ফটাফট মুখ চালান করে দেন আপামর ফুচকা প্রেমীরা। যা একেবারে অমৃতের স্বাদ দেয়!

এখন তো ফুচকা আর শুধুমাত্র আলুর পুর আর তেঁতুল জলে থেমে নেই৷ ৷রয়েছে নানা ভ্যারাইটি৷ মিষ্টি জল আগেই ছিল৷ এখন এসে গেছে চকোলেট ফুচকা, আমিষ অর্থাৎ মাছ-মাংস ফুচকাসহ আরও কত কী!

বর্তমানে নামের সঙ্গে ফুচকারও নানান ধরন বেরিয়েছে। এখন খাদ‍্যরসিকদের চাহিদা অনুযায়ী শুধু মাত্র আলুর পুরে থেমে নেই ফুচকা। যুগের সঙ্গে তালমিলিয়ে বেরিয়েছে এর নানান পুর।এখন চকলেট ফুচকা থেকে চিকেন ফুচকা,আধুনিক ফুচকাতে মজেছে জনসাধারণ।

এহেন ফুচকা তো খান নিয়মিত, তবে ফুচকার আর অন্য নাম গুলো জানা আছে? বা ফুচকা এল কোথা থেকে, সেটার সঠিক তথ্য রয়েছে আপনার কাছে?

ওই বিবরণে এ খাবারের উৎপত্তিস্থল হিসেবে অবশ্য বেনারসের কথা বলা হয়েছে।

ফুচকার আর এক জনপ্রিয় ও প্রচলিত নাম হল পানিপুরি, যার উদ্ভব হয়েছিল দক্ষিণ বিহারের মগধে। প্রথম দিকে ফুলকি নামে পরিচিত এই খাবার সম্পর্কে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক জার্নাল অব ইন্ডিয়া বিশদ বিবরণ রয়েছে।

জনপ্রিয় খাবার লুচির ক্ষুদ্র সংস্করণকে শক্ত কুড়মুড়ে করে খাওয়ার প্রচলন শুরু হয়েছিল।পরবর্তীকালে মোগলাই খানার সংস্পর্শে এসে এর গাঠন আঙ্গিকে পরিবর্তন আনেন ভারতীয়রা।

সাধারণ শক্ত লুচি পরিণত হয় মসলাদার-রসাল গোলগাপ্পা তথা পানিপুরিতে, যা আমাদের দেশে ফুচকা নামে পরিচিত।

গোলগাপ্পার নামকরণ গোল একটা ফুচকাকে এক গাপ্পায় অর্থাৎ একেবারে মুখে পুরে নেওয়ার কারণে হয়েছে। আবার পানিপুরি বলা হয় ফুলন্ত মচমচে পুরির ভেতর টক-ঝাল-মিষ্টি পানি দিয়ে খাবার কারণে।

এবার আসা যাক ফুচকার বিভিন্ন নামের বিষয়ে৷ ফুচকা, গোলগাপ্পা, পানিপুরি নামগুলো সকলের প্রায় জানা৷ কিন্তু ফুচকা ১০ রকম নামে পরিচিত৷ কী কী মাথায় আসছে কি?

গোলগাপ্পা, ফুলকি, টিক্কি, পানি কে বাতাসে, ফুচকা, গুপচুপ, বাতাসি, পাকাডা, পানিপুরি কিংবা পাকোরি নামগুলিতে ফুচকাকে চেনা যায় বিভিন্ন জায়গায়৷