দিঘা গেলেই দেখেন এই 'রহস্যজনক' জিনিস! এই 'ঘর' আসলে কী? সত্যিটা অবাক করে দেবে

দিঘা, পুরী, দার্জিলিং। বাঙালির চিরন্তন ঘোরার জায়গা। এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া মুশকিল যিনি একবারও দিঘা যাননি! তবে দিঘায় গিয়ে এই জিনিসটা দেখেননি, এমন মানুষও খুব কমই আছেন হয়তো!

ওল্ড দিঘা সমুদ্র সৈকতে এই জিনিসটি আপনি দিঘায় এসে অনেকবারই দেখেছেন। কিন্তু এই জিনিসটির সঙ্গে এখনও আপনার পরিচয় হয়নি। বা আপনি জানেন না, আসলে জলের উপর দাঁড়িয়ে থাকা এই ঘরের মতো জিনিসটি আসলে কী!

দিঘার সমুদ্র সৈকতে জোয়ারের সময় ডুবে যায় আবার ভাটার সময় ভেসে ওঠে এই বস্তুটি। অনেকে দেখেন, কিন্তু বুঝতে পারেন না এই জিনিসটি এত বছর ধরে দিঘার সমুদ্রের পাড়ে কেন রয়েছে! কী এটি!

আসলে জিনিসটি আর কিছুই নয় একটি ভগ্নস্তুপ। যা দিঘার সমুদ্রে জোয়ারের সময় জলের তলায় চলে যায় আবার ভাটার সময় ভেসে ওঠে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন কোনও সময় সেটি একটি ঘর ছিল। তবে এখনও ধ্বংসস্তূপ হিসেবে রয়েছে ওল্ড দিঘার সমুদ্র সৈকতে।

আসলে জিনিসটি আর কিছুই নয় একটি ভগ্নস্তুপ। যা সমুদ্রে জোয়ারের সময় জলের তলায় চলে যায় আবার ভাটার সময় ভেসে ওঠে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন কোনও সময় সেটি একটি ঘর ছিল। তবে এখনও ধ্বংসস্তূপ হিসেবে রয়েছে ওল্ড দিঘার সমুদ্র সৈকতে। ভাইসরয় ওয়ারেন হেস্টিংস এর লেখা একটি চিঠিতে এটিকে 'প্রাচ্যের ব্রাইটন' বলে উল্লিখিত দেখা যায়।১৯২৩ সালে জন ফ্রাঙ্ক স্মিথ নামে এক ব্রিটিশ ভ্রমণকারী এখানকার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে দিঘায় বসবাস শুরু করেন। তাঁর লেখালেখির ফলে দিঘা সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি পায়।

ওল্ড দিঘা সমুদ্র সৈকতের কাছেই প্রাচীন এই ভগ্নস্তুপ টি লক্ষ্য করা যায়। এই ভগ্নস্তুপটি আসলে আর কিছুই নয় একটি ওয়াচ টাওয়ার ছিল একটা সময়। আবহাওয়া বিষয়ক বিভিন্ন নজরদারিও চালানো হত। আর এই স্তম্ভটি গড়ে উঠেছিল ওয়ারেন হেস্টিংয়ের সময়কালেই। এখন সেটির ভগ্নপ্রায় অবস্থা।