Unknown Facts about Dead Sea: পৃথিবীতে এমন এক সাগর আছে, যেখানে কেউ ডোবে না! কেন এই সাগর মৃত? চমকে দেবে অজানা তথ্য!

জর্ডন নদীর একটি শাখা হ্রদই মৃত সাগর বা ডেড সি নামে পরিচিত। ইসরাইল এবং জর্ডানের মধ্যে অবস্থিত, দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার একটি লবণাক্ত হ্রদ।

বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লবণাক্ত জলের প্রাকৃতিক আধার। সাধারণ সাগরের জলের থেকে প্রায় ১০ গুণ বেশি লবণাক্ত।

মৃত সাগরের জলে লবনে আছে ৪% পটাশিয়াম ক্লোরাইড, ১৪% ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড। সেই সাগরের জলের লবনে আছে ৩০% সোডিয়াম ক্লোরাইড ও ৫০% ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড।

এখানে জলের ঘনত্ব ১.২৪ কিলোগ্রাম/লিটার। এর সর্বোচ্চ গভীরতা ৩০৪ মিটার। এই হৃদে কেউ কোনওদিন ডোবে না। সাঁতার না জানলেও আপনি ভেসে থাকতে পারবেন।

প্রায় দুই মিলিয়ন বছর আগে জর্ডান রিফ্ট ভ্যালি এবং ভূমধ্যসাগরের মধ্যবর্তী ভূমি এমনভাবে বেড়ে গিয়েছিল যে সমুদ্র আর এলাকাটিকে প্লাবিত করতে পারেনি। এভাবেই একটি স্থলবেষ্টিত হ্রদে পরিণত হয়।

এখানে উষ্ণ মরুভূমির জলবায়ু। সারা বছর রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ এবং শুষ্ক বায়ু। এটি ৫০ মিলিমিটারেরও কম বার্ষিক বৃষ্টিপাত এবং গ্রীষ্মের গড় তাপমাত্রা ৩২ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতকালীন গড় তাপমাত্রা ২০ থেকে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে।

এই সাগরকে ‘মৃত’ বলা হয় কারণ এর উচ্চ লবণাক্ততা মাছ এবং জলজ উদ্ভিদকে এতে বসবাসে বাধা দেয়। যদিও সামান্য পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া এবং মাইক্রোবায়াল ছত্রাক থাকে।

ডেড সি এখন পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের জায়গা। খনিজ দ্রব্যে ভরপুর এই হ্রদে স্নান করলে অনেক রোগ নিরাময় হতে পারে বলে ধারণা সাধারণ মানুষ থেকে পর্যটকদের।

স্নানের আগে মৃত সাগরের মাটি সারা গায়ে মেখে ত্বকের যত্ন নেন অনেকেই। অনেকে বলেন, শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগলে এই হ্রদে ঘুরে গেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ বেশি।

এই জলে কোনও স্রোত নেই। এই জলাশয়ে মোটরবোট, অন্যান্য জলযান কিছুই দেখা যায় না। কারণ ঢেউ নেই। অপূর্ব প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং শান্ত পরিবেশ মৃত সাগরকে অসামান্য করে তুলেছে পর্যটকদের কাছে। যেন পৃথিবীর অংশ নয় ওই হ্রদ।