Karwa Chauth: স্বামীর মঙ্গল কামনায় নির্জলা উপোস! কীভাবে করতে হয় করবা চৌথ? এই ব্রতের মাহাত্ম্য, রীতিনীতি জানুন

নতুন শাড়ি, নতুন লেহেঙ্গা পরে নিজেদের সুন্দর করে সাজিয়ে করবা চৌথ পালন করেন কালচিনির মহিলারা। সারাদিনের উপোসের ক্লান্তি তাঁদের চোখে-মুখে দেখা যায় না। বরং তাঁদের মুখের হাসি বুঝিয়ে দেয় ব্রতের উৎসাহ। এই করবা চৌথ ব্রত কালচিনিতে উৎসবের রূপ নেয়। (ছবি ও তথ্যঃ অনন্যা দে)

কালচিনি ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় শ্রদ্ধার সঙ্গে অবাঙালিদের করবা চৌথ অনুষ্ঠান পালিত হল। কালচিনি, জয়গাঁ, দলসিংপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় করবা চৌথের দিন দেখা যায় উৎসবের এই ছবি। এলাকার মন্দিরগুলিতে অবাঙালি মহিলাদের এই ব্রত পালন করতে দেখা যায়। অনেকে আবার নিজের বাড়িতেও এই ব্রত পালন করেন।

কার্তিকের চতুর্থী তিথিতে পালিত হয় করবা চৌথ উৎসব। এই উৎসবে চন্দ্র দেবতার পুজো করা হয়। দেবতার উদ্দেশে জল অর্ঘ্য দিয়ে তারপর স্বামীর মুখ দেখে ভাঙতে হয় উপোস। স্বামীরা তাঁদের স্ত্রীদের জল পান করিয়ে উপোস ভাঙান।

বিবাহিত মহিলারা করবা চৌথ পালন করেন। এদিন মহিলারা বিয়ের শাড়ি, লেহেঙ্গা ও গয়নায় সেজে ওঠেন। ১৬ শৃঙ্গার করে এই উৎসবে যোগদান করেন তাঁরা। ভোরে উঠে সারগি খাওয়ার পর সারাদিন নির্জলা উপোস থেকে রাতে চাঁদ দেখে পুজো করে ব্রত ভাঙেন অবাঙালি মহিলারা। বিবাহিত মহিলাদের শাশুড়িরা এই সারগি দিয়ে থাকেন।

ব্রতীরা জানান, এই ব্রত অন‍্যতম কঠিন ব্রত। পাশাপাশি ব্রতে ব্যবহৃত জিনিসের দাম এদিন হয় আকাশছোঁয়া। তবুও স্বামীর মঙ্গলকামনায় এই ব্রত পালন করেন স্ত্রী-রা। মিনা গুপ্তা নামের এক করবা চৌথ ব্রতী জানান, "শাশুড়ি মা এই ব্রত করতে বলেছিলেন। তারপর থেকে একবারের জন্য বাদ যায়নি। সারাদিন জলটুকু গ্রহণ করি না। রাতে চাঁদ কখন দেখা যাবে তা নিয়ে আলাদা রকমের উত্তেজনা কাজ করে। চাঁদ দেখে নিলেই পুজো শুরু হয়। চালুনি দিয়ে স্বামীর মুখ দেখার পর তাঁর কপালে টিকা পড়িয়ে পুজো শেষ করি। এরপর স্বামী জল খাইয়ে, মিষ্টিমুখ করানোর পর ব্রত ভঙ্গ হয়।" (ছবি ও তথ্যঃ অনন্যা দে)