Sikkim Flash Flood: কাদামাটির জলের তোড়ে দু’টুকরো সেতু, প্রাণ ভয়ে গাছের উপরে মানুষ! সিকিমের এইসব ছবি দেখলে শিউরে উঠবেন
- Published by:Satabdi Adhikary
- news18 bangla
Last Updated:
বর্তমান দুর্যোগের পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বৈঠকে কালিম্পংয়ে সেনা নামানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মুখ্যমন্ত্রী এদিন বৈঠকে জানিয়েছেন, পাহাড়ি জেলায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনার সাহায্য নিতে হবে৷ সেই মতো প্রেক্ষিতে মুখ্যসচিব সাংবাদিকদের জানান, আপাতত কালিম্পংয়ে এক কলাম সেনাকে কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে৷
advertisement
1/12

উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ বিপর্যয়ের কথা ফের মনে করিয়ে দিল বুধবারের সিকিমের এই বিপর্যয়৷ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে উত্তর সিকিম৷ বুধবার ভোরে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে লোনক হ্রদ ফেটে হুহু করে জল নেমে আসে তিস্তায়। আচমকা হড়পা বানে তিস্তার জলস্তর বেড়ে যায় ১৫-২০ ফুট। সূত্রের খবর, সিকিমের বাঁধ ভেঙে যাওয়ার জেরে তিস্তায় জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। আরও জল বাড়তে পারার আশঙ্কাও করছে প্রশাসন। এমনকি, তিস্তার স্রোতে একাধিক মৃতদেহ ভেসে আসতেও দেখা গিয়েছে৷
advertisement
2/12
মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানে সিকিমে নিখোঁজ ২৩ সেনা জওয়ান। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদে আকস্মিক মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানে তিস্তা নদী প্লাবিত হয়েছে। সেনা জওয়ানদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে গজলডোবা ব্যারেজে ভেসে এসেছে মৃতদেহ। এখনও পর্যন্ত ২টি মৃতদেহ দেখা গিয়েছে বলে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি।
advertisement
3/12
ভয়াবহ বিপর্যয়ের কারণে ইতিমধ্যেই উত্তর সিকিমের বিভিন্ন জায়গায় লাল সতর্কতা জারি করেছে সিকিম সরকার। তিস্তা নদী সংলগ্ন সিকিমের বেশ কয়েকটি গ্রাম সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সিকিমের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের তিস্তা সংলগ্ন এলাকার মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
advertisement
4/12
তিস্তার জল ছাপিয়ে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে উত্তরবঙ্গের গজলডোবা, দোমোহনি, মেখলিগঞ্জ, ঘিস এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায়।
advertisement
5/12
সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে তিস্তায় ক্ষতিগ্রস্ত গাইড বাঁধ। ইতিমধ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামতির কাজ শুরু করে দিয়েছে সেচ দফতর। বাঁশ,বালির বস্তা দিয়ে মেরামতির কাজ চলছে। মেরামতির কাজে হাত লাগিয়েছেন নদীর পাড়ের বাসিন্দারাও। জলস্তর বেড়ে সেতুর কাছাকাছি চলে আসায় তিস্তা সেতুর উপর যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করেছে পুলিশ।
advertisement
6/12
নতুন করে ধস দেখা দিয়েছে শিলিগুড়ি- কালিম্পং-সিকিমের বিকল্প পথেও। কাটারাতেও নেমেছে ধস। এই পথ ধরেই রেনক হয়ে সিকিম যাওয়া হয়। সেই পথও ধসে বিপর্যস্ত।
advertisement
7/12
সিকিমে এনডিআরএফের দল পাঠানো হচ্ছে। শিলিগুড়ি, দার্জিলিং ও কোচবিহার থেকে এনডিআরএফ টিম যাচ্ছে তিস্তা সংলগ্ন একাধিক এলাকায়। তিন জেলার জেলাশাসক কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এলাকা মনিটরিংয়ের। জলপাইগুড়িতে আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত নবান্ন।
advertisement
8/12
বর্তমান দুর্যোগের পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বৈঠকে কালিম্পংয়ে সেনা নামানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মুখ্যমন্ত্রী এদিন বৈঠকে জানিয়েছেন, পাহাড়ি জেলায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনার সাহায্য নিতে হবে৷ সেই মতো প্রেক্ষিতে মুখ্যসচিব সাংবাদিকদের জানান, আপাতত কালিম্পংয়ে এক কলাম সেনাকে কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে৷
advertisement
9/12
মেখলিগঞ্জের তিস্তার ফকতের চর, ৭২ নিজতরফ চর এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধার কার্য শুরু হয়েছে। চরের বাসিন্দারা বাড়িঘর ছেড়ে গৃহপালিত পশু, ধান পাট সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে চর থেকে উচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় শতাধিক পরিবার। অপর দিকে, মাথাভাঙা ১ ব্লকের কেদারহাট এলাকায় জল বাড়ার আশঙ্কায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
advertisement
10/12
পুজোর মরশুমে উত্তরবঙ্গে বেড়াতে গিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়েছেন একাধিক পর্যটক। অনেকেই হোটেল-লজে আটকে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে পর্যটকদের সুবিধার্থে অতিরিক্ত বাস চালু করছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা।
advertisement
11/12
শিলিগুড়ি- কলকাতা রুটে এই বাড়তি বাস পরিষেবা চালু করছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন। সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় জানান, শিলিগুড়ি তেনজিং নোরগে বাসস্ট্যান্ড থেকে স্পেশাল বাস শিলিগুড়ি -কলকাতা রুটে চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ নিয়মিত বাস চলার পাশাপাশি বাড়তি বাস চালানো হবে শিলিগুড়ি ডিপো থেকে।
advertisement
12/12
একদিকে পাহাড়ের হ্রদ ফেটে যাওয়ায় বিপদসীমার উপর দিয়ে বইয়ে তিস্তা নদী, সিকিমের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগে সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ খবর মিলেছে, এখনও পর্যন্ত তিনটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ না হয়, তার ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার৷