ব্রিটিশ আমলের বাংলো থেকে হাত বাড়ালেই কাঞ্চনজঙ্ঘা, চলুন পাহাড়ি নদী ও সবুজের ঠিকানা পুবং-এ
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
Last Updated:
Tourist Destination : Poobong: ব্যালকনিতে বসেই মিলবে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মোড়া দৃশ্য। হাতে তখন দার্জিলিংয়ের ব্ল্যাক টি উষ্ণতা ছড়াচ্ছে!
advertisement
1/5

পাহাড়ি ঢাল। সবুজে ঘেরা চা বাগান। আর চারপাশ ঘেরা নীলাভ পাহাড়ে। যাওয়ার পথে পড়বে সারি সারি পাইন গাছ। মূল রাস্তা থেকে চড়াই উতরাই পথ দিয়ে পাহাড়ী বাঁক বেয়ে সোজা গেস্ট হাউস। অদূরে পাহাড়ি ঝর্না। লনে বসেই শোনা যাবে পাহাড়ি বালাসন নদীর বয়ে যাওয়ার শব্দ। আকাশ পরিষ্কার থাকলে ভিউ পয়েন্ট থেকে শ্বেতশুভ্র কাঞ্চননঙ্ঘা হাতের মুঠোয়। ব্যালকনিতে বসেই মিলবে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মোড়া দৃশ্য। হাতে তখন দার্জিলিংয়ের ব্ল্যাক টি উষ্ণতা ছড়াচ্ছে! এমন মনোরম পরিবেশ মিলবে দার্জিলিংয়ে ওঠার আগে ঘুম বা লেপচাজগতের কাছে পুবংয়ে।
advertisement
2/5
পুবং চা বাগানের হেরিটেজ বাংলো নতুন সাজে সেজে উঠছে। ১৯৩৫ সালে ইংরেজ আমলে তৈরি চা বাগানের গেস্ট হাউসে বসেই প্রকৃতিকে উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকেরা। ঘুম ভাঙতেই মিলবে সুবাসিত দার্জিলিং টি! তারপর বাগানের গাড়িতে চেপে সোজা ফ্যাক্টরিতে। পাতা তোলা থেকে শুরু করে চা তৈরি, প্যাকেজিং, টি টেস্টিং শেষে আবার ফিরে আসা। ব্রেকফাস্ট সেরে অনায়াসে বেরিয়ে আসতে পারেন আধঘন্টার পথ ইন্দো-নেপাল সীমান্ত পশুপতি। পাশেই আর এক পাহাড়ি গ্রাম লেপচাজগৎ। সান্দাক ফু ট্রেকিংয়েও যেতে পারেন।
advertisement
3/5
নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাড়তি পাওনা তুষারপাত। ওই সময়ে সাদা বরফের পুরু চাদরে ঢাকা পড়ে থাকে। তারই মধ্য দিয়ে উঁকি মারে অপরূপ কাঞ্চনজঙ্ঘা! দার্জিলিংয়ের দূরত্ব দু'ঘন্টার। সন্ধ্যের পর দু'পাশে তাকালে শুধুই আলো। কার্শিয়ং ও দার্জিলিং পাহাড়ের আলো দেখে মনে হবে যেন দীপাবলি! যা আরও সুন্দর। মনে হবে যেন জোনাকির আলো ঘিরে ফেলেছে আপনাকে। সন্ধ্যেয় বন-ফায়ার করতে পারেন। সঙ্গে থাকবে চিকেন তন্দুর বা শিক কাবাব। রকমারি চাইনিজ ডিশ তো থাকছেই!
advertisement
4/5
চাইলে নেপালি ফুড বা বাঙালির পছন্দের খাবারও পাবেন। পুবংয়ে পর্যটকদের জন্যে নিজস্ব বাগানের দার্জিলিংয়ের ব্ল্যাক টি একেবারে ফ্রি। আপনি যদি চাপ্রেমী হন, তাহলে তো কথাই নেই। এই গেস্ট হাউসে রয়েছে পাঁচ ক্যাটেগরির রুম। কিংস রুম, ক্যুইন্স রুম, প্রিন্সেস রুম, রয়েল গেস্ট এবং প্ল্যান্টার্স রুম। ভাড়া ৭ থেকে ৯ হাজার টাকা। এই প্যাকেজেই থাকছে চা বাগান ঘুরে দেখা এবং ব্রেকফাস্ট। লাঞ্চ, ডিনারের জন্যে পছন্দসই খাবারের জন্যে আলাদা আলাদা পেমেন্ট করতে হবে।
advertisement
5/5
গেস্ট হাউসের পাশেই ২৫ নং ভিউ পয়েন্ট। যেখানে পৌঁছলে একদিকে সান্দাক ফু, ফালুট, ধোত্রে, অন্যদিকে ঘুমন্ত বুদ্ধ দর্শন। কীভাবে যাবেন? শিলিগুড়ি, এনজেপি স্টেশন বা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে সড়ক পথে কার্শিয়ং, ঘুম হয়ে সোজা পুবং গেস্ট হাউস অথবা মিরিক হয়ে সুখিয়াপোখরি ছুঁয়ে গেস্ট হাউস। দু'দিক দিয়েই সময় লাগবে ঘন্টা দু থেকে আড়াইয়ের মধ্যে।