North Bengal Travel: পাহাড়ের ধাপে সবুজ চায়ের গালিচা, এর মাঝে আপনার ছোট্ট ঘর! শীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন মকাইবাড়িতে

উত্তরবঙ্গে সর্বপ্রথম এই গ্রাম থেকেই শুরু হয়েছিল হোমস্টের প্রচলন। উত্তরের চা পর্যটনে এই হোমস্টে তৈরি করে তার থেকে নতুন করে আয়ের দিসা দেখিয়েছিল এই চা বাগান, জানলে অবাক হবেন আপনিও।

উত্তরবঙ্গের কথা মাথায় আসলেই সবার প্রথমে মাথায় আসে উত্তরবঙ্গের মন মুগ্ধ করা চা বাগান। বর্তমানে চা শিল্প উত্তরবঙ্গের পর্যটনে নতুন করে আয়ের দিশা দেখাচ্ছে। উত্তরবঙ্গের পাহাড় জঙ্গল নদী এবং এই চা বাগানের টানে প্রতিনিয়ত দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসে পর্যটকেরা।

উত্তরবঙ্গের এই চা শুধু দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বিদেশের মাটিতেও এর চাহিদা প্রচুর। সেই অর্থেই উত্তরবঙ্গের চা পর্যটনের গুরুত্ব দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে।

বর্তমানে পর্যটকেরা বিলাসবহুল হোটেল ছেড়ে পাহাড়ের নিরিবিলি গ্রামে হোমস্টেতে থাকতে বেশি পছন্দ করে সেই অর্থেই বর্তমানে উত্তরবঙ্গ জুড়ে তৈরি হয়েছে একাধিক হোমস্টে। তবে জানলে অবাক হবেন উত্তরবঙ্গের চা পর্যটনে প্রথম হোমস্টে শুরু হয়েছিল এই মকাইবাড়ি চা বাগানের হাত ধরে। বিশ্বের সবথেকে পুরনো ১৮৫৯ সালে পথ চলা শুরু করেছিল এই চা বাগান।

সেই গ্রামেরই স্থানীয় বাসিন্দা প্রথমে এই হোমস্টে শুরু করেছিল। তখন গ্রামে মোট হোমস্টের সংখ্যা ছিল মাত্র দুইটি তবে বর্তমানে দিনের সঙ্গে সঙ্গে চা পর্যটনের গুরুত্ব বাড়ায় দেশ-বিদেশ থেকে চা বাগানে ঘেরায় গ্রামে ছুটে আসছে পর্যটকেরা। সেই অর্থেই বর্তমানে এই গ্রামের যুবক যুবতীরাও তাঁদের বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন চিন্তা ভাবনায় এই হোমস্টে তৈরি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।

এ প্রসঙ্গেই গ্রামের এক বাসিন্দা প্রণয় ভুজেল বলেন উত্তরবঙ্গের চা বাগানের মধ্যে সর্বপ্রথম হোমস্টে তৈরি হয়েছিল এই গ্রামেই। এই মকাইবাড়ি চা বাগানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে বর্তমানে ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, আমেরিকা থেকে ছুটে আসে পর্যটকেরা। বর্তমানে এই গ্রামে হোমস্টের সংখ্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ২৩টি।

আগামী নতুন প্রজন্মকে নতুন করে আয়ের দিশা দেখাচ্ছে এই মকাইবাড়ি চা বাগান। বর্তমানে এই গ্রামের যুবক যুবতীরা নিজেদের চিন্তা ভাবনায় উত্তরের চা পর্যটনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে গ্রামের মধ্যেই হোমস্টে তৈরি করে রোজগার করছে। আপনিও যদি দার্জিলিং ঘুরে থাকেন অথচ বিশ্বের সবথেকে পুরনো এই চা বাগান এখনও ভ্রমণ করেননি তাহলে বড় মিস করছেন। (সুজয় ঘোষ)