জাতীয় সড়ক তিস্তার গ্রাসে! পাহাড়ের একাধিক রাস্তায় ব্যাপক ধস, ৩ দিন বন্ধ মূল সড়ক! স্তব্ধ পাহাড়ি জীবন
- Published by:Shubhagata Dey
- hyperlocal
- Reported by:Ricktik Bhattacharjee
Last Updated:
North Bengal Landslide: টানা বৃষ্টিতে তোলপাড় উত্তরবঙ্গ। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। কোথাও কোথাও জাতীয় সড়কের একাংশ চলে গিয়েছে তিস্তা গর্ভে। চলছে সংস্কারের কাজ, তাই বন্ধ মূল সড়ক। বন্ধ বাংলা-সিকিম লাইফলাইন।
advertisement
1/5

*টানা বৃষ্টিতে তোলপাড় উত্তরবঙ্গ। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। কোথাও কোথাও জাতীয় সড়কের একাংশ চলে গিয়েছে তিস্তা গর্ভে। চলছে সংস্কারের কাজ, তাই বন্ধ মূল সড়ক। বন্ধ বাংলা-সিকিম লাইফলাইন। বন্ধের নির্দেশিকা NHIDCL এর। ফলে সমস্যা পড়েছেন পর্যটকরা।
advertisement
2/5
*আগামিকাল বুধবার সন্ধ্যা ছ'টা পর্যন্ত রাস্তা বন্ধের নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। বিকল্প রুটে চলছে ছোটো গাড়ি। ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি। মূল সড়ক বন্ধ থাকায় বিকল্প রুটে গাড়ি চালানো হচ্ছে। একদিকে, শিলিগুড়ি-জোরবাংলো-তিস্তাবাজার-রংপো-গ্যাংটক পর্যন্ত চলছে গাড়ি। অন্যদিকে, শিলিগুড়ি-সেবক-ডামডিম-গরুবাথান-লাভা-আলগাড়া-কালিম্পং-মঙসঙ-রংপো-গ্যাংটক রুটে গাড়ি চালানো যাচ্ছে। এছাড়াও শিলিগুড়ি-সেবক-বাগরাকোট-লাভা-আলগাড়া-মঙসঙ-রংপো-গ্যাংটক (NH 717A) রুটে গাড়ি চলাচল করছে।
advertisement
3/5
*লাগাতার বৃষ্টিতে রবিবার ভয়াবহ ধস নামে সেতিঝোড়ায়। রবিবার জাতীয় সড়ক ১০-এর একটি বড় অংশ ভেঙে পড়ে তিস্তা নদীতে। ফলে শিলিগুড়ি ও সিকিমের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘক্ষণ ধরে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ের মাটি আলগা হয়ে গিয়েছে।
advertisement
4/5
*রবিবার আচমকাই জাতীয় সড়কের একটি অংশ ধসে পড়ে। সেই সময় রাস্তায় থাকা কয়েকটি যানবাহন অল্পের জন্য রক্ষা পায়। যদিও এই ঘটনার ফলে রাস্তায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয় এবং বহু পর্যটক ও পণ্যবাহী গাড়ি আটকে পড়ে। পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বিপজ্জনক এলাকাগুলিকে ঘিরে দেওয়া হয়েছে এবং বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যাত্রীদের। তিস্তার জলস্তর এখনও বিপদসীমার কাছাকাছি রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
advertisement
5/5
*এনএইচএআই-এর এক আধিকারিক জানান, “ধস কবলিত এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিশাল। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য কাজ চলছে।” জেলা প্রশাসনের তরফেও জানানো হয়েছে, স্থানীয়দের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, বর্ষার সময়ে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায় ধস নতুন নয়। তবে এবারের ধসের ব্যাপ্তি যথেষ্ট গুরুতর বলে মনে করছে প্রশাসন।