North Bengal Flood : ট্রাক্টরে চেপে পৌঁছে গেলেন ওঁরা! বন্যা দুর্গত গ্রামে একদল তরুণীর কাজ দেখে মাথা নোয়াতে বাধ্য হবেন
- Published by:Nayan Ghosh
- hyperlocal
- Reported by:SUROJIT DEY
Last Updated:
North Bengal Flood : বাগানের মেয়েদের মানবিক ছোঁয়া! নিজেদের অভাব ভুলে বন্যাদুর্গতদের পাশে নাগরাকাটায়। কারওর বাবা নেই, মা চা বাগানে দিনমজুর। সকলেই দাঁড়ালেন দুর্গতদের পাশে।
advertisement
1/5

চা বাগানের মেয়েদের মানবিক ছোঁয়া! নিজেদের অভাব ভুলে বন্যাদুর্গতদের পাশে নাগরাকাটায়। কারওর বাবা নেই, মা চা বাগানে দিনমজুর। কেউ আবার মা-বাবা দু’জনেরই ভরসা থেকে বঞ্চিত। কলেজ পাশ করে কেউ সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি পেয়েছেন, কেউ পড়াশোনার পাশাপাশি চালান মোমো-চাউমিনের দোকান। তবুও জীবনের কঠিন লড়াই ভুলে, এই মেয়েরাই হয়ে উঠলেন অন্যের আশ্রয়। <strong>(ছবি ও তথ্য - সুরজিৎ দে)</strong>
advertisement
2/5
নাগরাকাটার বামনডাঙা ও টুন্ডুর বন্যাবিধ্বস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ালেন মিনগ্লাস ও মেটেলি এলাকার চা বাগানের ছাত্রীদের একটি দল। ট্রাক্টরে চেপে, ডায়না ও গাঠিয়া নদী পেরিয়ে পৌঁছে গেলেন তাঁরা দুর্গত গ্রামে। হাতে ছিল চাল-ডাল, জামাকাপড়, দুধ, বিস্কুট, চকলেট-যতটুকু তাঁদের সামর্থ্য।
advertisement
3/5
মিনগ্লাস চা বাগানের মেয়ে অনুরাধা মিনজ, ২০২০ সালে মাল পরিমল স্মৃতি কলেজ থেকে বিএ পাশ করেছেন। বর্তমানে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করছেন। অনুরাধা বলেন, “বাবা নেই, মা বাগানে কাজ করেন। এত বড় বিপর্যয়ে চুপ করে থাকা যায় না। ঘরে যা ছিল, তাই নিয়েই এসেছি।”
advertisement
4/5
তাঁর পাশেই ছিলেন মেটেলির স্নেহা রাজভর। বাবা ছেড়ে চলে গেছেন, মা বেঙ্গালুরুতে রান্নার কাজ করেন। মামা-মামির কাছে থেকে পড়াশোনা করছেন স্নেহা। বলেন, “আজ নাগরাকাটা বিপর্যস্ত, কাল হয়তো আমাদের গ্রাম হবে। তাই মানুষ হিসেবে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোই দায়িত্ব।”
advertisement
5/5
প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “চা বাগানের মেয়েদের এই মানবিক উদ্যোগ সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।” নিজেদের অভাব ভুলে অন্যের কষ্টে সাড়া।এই মানবিকতার পাঠ যেন নাগরাকাটার বন্যার ভেতর থেকেও আশার আলো জ্বেলে দিল। এই মেয়েরাই প্রমাণ করলেন, সহানুভূতি কখনও দারিদ্র্যে থেমে থাকে না। <strong>(ছবি ও তথ্য - সুরজিৎ দে)</strong>