TRENDING:

রাজনৈতিক দলগুলির উপর আস্থা হারিয়েছেন নকশাল বাড়ির মানুষ

Last Updated:
শান্তিদেবীর মতে, ‘‘ দুই ভিন্ন মতাদর্শের দল আজ এক ‘পরিবর্তন’-এর লক্ষ্যে আজ এক হয়েছে ৷ কিন্তু কোনও পরিবর্তন আসবে বলে আমার মনে হয় না ৷ ভারতের সংবিধান ‘দালাল-বুর্জোয়া’দের সংবিধান ৷ সেই সংবিধান যতোদিন থাকবে, ভারতবর্ষ ওইভাবেই চলবে ৷ সিপিএম বলে ওরা কমিউনিস্ট ৷ কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ওরা কতটা কমিউনিস্ট তা প্রমাণ করেছে ৷ এখনও কংগ্রেস জিতলেও সিপিএম থাকবে ৷ সিপিএম জিতলেও কংগ্রেস থাকবে ৷ দু’দল মিলেই রাজ করবে ৷’’
advertisement
1/5
রাজনৈতিক দলগুলির উপর আস্থা হারিয়েছেন নকশাল বাড়ির মানুষ
নকশাল বাড়ি আন্দোলন ৷ কৃষকদের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ের যে আন্দোলন গোটা দেশেই একসময় আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল ৷ সেই নকশাল বাড়ির আন্দোলনের প্রধান কানু স্যান্যালের জন্মভূমি নকশাল বাড়ির হাতিঘিসা অঞ্চল এখন অনেকাংশেই বদলে গিয়েছে ৷ কানুবাবুর বাড়ি হয়তো এখনও সেজায়গাতেই রয়েছে , কিন্তু ২০১০ সালের ২৩ মার্চ কানুবাবু মারা যাওয়ার পর ওই অঞ্চলের কৃষক সমাজেও যেন আগের সেই তেজটা আর নেই ৷ অধিকাংশ মানুষই কর্মহীন ৷ চাষাবাদ প্রায় বন্ধ ৷ কারণ পয়সার অভাবে এলাকার অধিকাংশ মানুষই নিজের চাষের জমি বিক্রি করে দিয়েছেন ৷ গ্রামে বিদ্যুৎ থেকেও প্রায় না থাকার মতোই ৷ কানু সান্যালের বাড়ির সামনেই দেখা মিলল ৭৩ বছর বয়সের শান্তি মুণ্ডার ৷ যিনি এখন এই বাড়ি প্রায় আগলে রেখেছেন ৷ কারণ বছরের অধিকাংশ সময়েই এই বাড়ি এখন তালাবন্ধ থাকে ৷ সিপিআই (এমএল)-এর দলীয় কার্যালয় ৷ বাড়ির সামনে দলের পতাকা ৷ সবই রয়েছে কিন্তু কেউ দেখতে এলে বা সিপিআইএম (এল)-এর রাজ্য সম্পাদক সুব্রত বসু দলের কোনও কর্মসূচীর জন্য এলে তবেই ‘কানু সান্যাল মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ভবন’-এর তালা খোলে ৷ ( ছবি ও প্রতিবেদন- সিদ্ধার্থ সরকার)
advertisement
2/5
কানু সান্যালের মতো সৎ একজন নেতার মৃত্যুর পর এলাকার মানুষও কেমন যেন মুষড়ে পড়েছেন ৷ সিপিএম-কংগ্রেসের সম্প্রতি ‘হাতে হাত ধরে চলা’-র নীতিকে ধিক্কার জানাচ্ছেন শান্তিদেবী ৷ সত্যিকারের একজন মার্কসিস্টের পক্ষে কখনই এটা মেনে নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তিনি৷ শান্তিদেবীর মতে, ‘‘ দুই ভিন্ন মতাদর্শের দল আজ এক ‘পরিবর্তন’-এর লক্ষ্যে আজ এক হয়েছে ৷ কিন্তু কোনও পরিবর্তন আসবে বলে আমার মনে হয় না ৷ ভারতের সংবিধান ‘দালাল-বুর্জোয়া’দের সংবিধান ৷ সেই সংবিধান যতোদিন থাকবে, ভারতবর্ষ ওইভাবেই চলবে ৷ সিপিএম বলে ওরা কমিউনিস্ট ৷ কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ওরা কতটা কমিউনিস্ট তা প্রমাণ করেছে ৷ এখনও কংগ্রেস জিতলেও সিপিএম থাকবে ৷ সিপিএম জিতলেও কংগ্রেস থাকবে ৷ দু’দল মিলেই রাজ করবে ৷’’
advertisement
3/5
চাষের জন্য জমি নেই ৷ রয়েছে জলের অভাব ৷ তাই বিকল্প কাজের সন্ধানে অসৎ উপায় অবলম্বন করেছেন অনেক নকশালবাড়ির বাসিন্দারাই ৷ কারণ ভারত-নেপাল সীমান্ত ঘেষা এলাকা বলে গরুপাচার এখন বিকল্প জীবিকা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই অঞ্চলের মানুষদের ৷ চাষের জমি অনেকাংশেই এখন জমি মাফিয়াদের হাতে ৷ তাই গরু , সুপারি ইত্যাদি পাচার করেই সংসার চালাচ্ছেন অনেক মানুষ ৷ বিএসএফের কাছে ধরা পড়লেও তার থেকে বেরিয়ে আসার কৌশল জেনে গিয়েছেন এই অঞ্চলের চাষীরা ৷
advertisement
4/5
কানু সান্যালের বাড়ির ঠিক পাশের বাড়িতেই থাকেন শুক্রা মুণ্ডা ৷ তাঁর বাড়িতে নেই বিদ্যুৎ ৷ পেশায় চাষী হলেও ‘দিন আনা দিন খাওয়া’র মতোই অবস্থা তাঁর ৷ রবিবার ভোট দিতে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হলেও তাঁরও আস্থা নেই কোনও রাজনৈতিক দলগুলির উপরেই ৷ স্থানীয় নেতাদের তরফে হয়তো তাঁর ভাঙা চালের বাড়ি আবার নতুন করে গড়ে দেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু ব্যস ওইটুকুই ৷ কাজ না জুটলে প্রায় অনাহারে মারা যাওয়ার মতোই অবস্থা শুক্রা মুণ্ডার মতো এলাকার অধিকাংশ মানুষেরই ৷
advertisement
5/5
শান্তি মুণ্ডার মতে ‘‘ ভারতের কৃষকসমাজ এখন বিপন্ন ৷ অধিকাংশ চাষীদের হাত থেকেই জমি চলে যাচ্ছে ৷ চা বাগানের কথা ধরলেই দেখা যাবে ডুয়ার্সের অন্তত ১৬টা বাগান বন্ধ ৷ এই অঞ্চলেরও তিন-চারটে চা বাগান বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ ভোট আসার আগে হয়তো দু’টাকা কেজি দরে চাল দিচ্ছে ৷ কিন্তু ওই দু’টাকাই বা কোথা থেকে আসবে বলুন ৷ যারা বিপিএলের আওতায় তারাই এই চাল পাচ্ছে ৷ এপিএলদের কেরোসিন তেল এবং চিনি দেওয়া হচ্ছে রাজ্যসরকারের তরফে ৷ আমরা বিপিএলের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বলে সপ্তাহে পাই দু’কেজি চাল ৷ আমার পরিবার পাঁচজনের ৷ মাত্র দু’কেজি চালে কি সারা সপ্তাহ চলে ? আপনিই বলুন !’’
বাংলা খবর/ছবি/উত্তরবঙ্গ/
রাজনৈতিক দলগুলির উপর আস্থা হারিয়েছেন নকশাল বাড়ির মানুষ
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল