Python Rescue: তিস্তার বন্যায় পাহাড়পুর যেন 'অজগর জোন', একমাসে উদ্ধার চার! সাপের ভয়ে ঘর ছাড়তে চায় পরিবার
- Published by:Nayan Ghosh
- hyperlocal
- Reported by:SUROJIT DEY
Last Updated:
Jalpaiguri Python Rescue: ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে আবারও উদ্ধার লেজকাটা অজগর! এক মাসে চার অজগর চাঞ্চল্য পাহাড়পুর এলাকায়।
advertisement
1/5

মৃত অজগর উদ্ধারের পর এবার আবারও লেজ কাটা অজগর! পর পর এত অজগর উদ্ধারের ঘটনায় ভয়ের পরিবেশ! ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে আবারও উদ্ধার লেজকাটা অজগর! এক মাসে চার অজগর চাঞ্চল্য পাহাড়পুর এলাকায়। (ছবি ও তথ্য - সুরজিৎ দে)
advertisement
2/5
তিস্তা নদী সংলগ্ন পাহাড়পুরের ডাম্পিং গ্রাউন্ড যেন রাতারাতি অজগরের নতুন আড্ডাস্থল হয়ে উঠেছে। মাত্র এক মাসে একই এলাকা থেকে উদ্ধার হল ৪টি বিশাল আকারের অজগর। গতকাল একটি মৃত অজগর উদ্ধারের পর শনিবার সকালেই ফের মিলল দু’টি জীবিত বিশালাকৃতি সাপ। একটি প্রায় ১২ ফুট লম্বা। ঘটনায় আতঙ্কে দিশেহারা এলাকার বাসিন্দারা।
advertisement
3/5
স্থানীয় পরিবেশপ্রেমী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা সাপ দুটিকে উদ্ধার করেন। সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অঙ্কুর দাস জানান, বিগত অক্টোবরের ভয়াবহ বন্যার পর থেকেই তিস্তা সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায় অজগরের আনাগোনা বেড়েছে। জলের স্রোতে ভেসে বা তীরবর্তী স্রোত বদলের ফলে এসব সরীসৃপ মানুষের বসতি এলাকায় চলে আসছে বলেই প্রাথমিক অনুমান।
advertisement
4/5
সবচেয়ে ভীত অবস্থায় রয়েছে সেই পরিবার, যাদের বাড়ির সামনে থেকেই বারবার অজগর উদ্ধার করা হচ্ছে। পরিবারের এক সদস্য বলেন, “প্রতিদিন রাতে ঘুম হয় না। না জানি আবার কখন সাপ বেরিয়ে আসে। এলাকা ছেড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। না হলে প্রাণ নিয়ে টানাটানি হবে। তাদের দাবি, বনদফতরের জরুরি হস্তক্ষেপ ছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন। ইতিমধ্যে বনদফতর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির সাহায্য চেয়ে যৌথ নজরদারির কাজ শুরু করেছে। এলাকায় আরও অজগর রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
advertisement
5/5
উদ্ধার হওয়া দুটি অজগরকে বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হবে। প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাদের গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলেই জানা গিয়েছে। অজগরের টানা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে পাহাড়পুরে একদিকে আতঙ্ক বাড়লেও, অন্যদিকে পরিবেশপ্রেমীদের উদ্যোগে স্বস্তি ফিরছে বলে মত স্থানীয়দের। তবে প্রশ্ন রয়ে গেল এলাকায় অজগরের এই বাড়তি আনাগোনার শেষ কোথায়। (ছবি ও তথ্য - সুরজিৎ দে)