Jalpaiguri News: বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো অতীত! বন্যপ্রাণ বাঁচাতে এবার গতি নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি, বন দফতরের বড় পদক্ষেপ
- Published by:Sneha Paul
- hyperlocal
- Reported by:SUROJIT DEY
Last Updated:
Jalpaiguri News: জঙ্গলপথে তাড়াহুড়োই হয়ে উঠছে বহু নিরীহ বন্যপ্রাণের মৃত্যুর কারণ। গরুমারা, চাপড়ামারি, জলদাপাড়া- এই অঞ্চলের জঙ্গলের ভিতর দিয়ে চলে যাওয়া সড়কপথে প্রতিদিনই গাড়ি যাতায়াত করে। এই দ্রুতগতির যানবাহনই বারবার হরিণ, লেপার্ডের মতো বন্যপ্রাণীর প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে।
advertisement
1/5

ডুয়ার্সে জঙ্গলপথে এপার-ওপার করতে গেলেই নিরীহ বন্যপ্রাণীদের প্রাণ যাচ্ছে! পরিসংখ্যান বলছে, গত কয়েকদিনেই গরুমারা সংলগ্ন ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে উদ্ধার হয়েছে দু’টি হরিণ এবং একটি চিতাবাঘের নিথর দেহ। কিন্তু নিরীহ বন্যপ্রাণীদের এমন মৃত্যুর কারণ কী? বন দফতর কী জানাচ্ছে জানুন। (ছবি ও তথ্যঃ সুরজিৎ দে)
advertisement
2/5
জঙ্গলপথে তাড়াহুড়োই হয়ে উঠছে বহু নিরীহ বন্যপ্রাণের মৃত্যুর কারণ। গরুমারা, চাপড়ামারি, জলদাপাড়া- এই অঞ্চলের জঙ্গলের ভিতর দিয়ে চলে যাওয়া সড়কপথে প্রতিদিনই গাড়ি যাতায়াত করে। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের মতো ব্যস্ত রাস্তাও এর মধ্যেই পড়ে। এই দ্রুতগতির যানবাহনই বারবার হরিণ, লেপার্ডের মতো বন্যপ্রাণীর প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে।
advertisement
3/5
বন দফতরের দাবি, এইসব মৃত্যুর মূল কারণ গাড়ির অতিরিক্ত গতি ও অসচেতনতা। এই পরিস্থিতি ঠেকাতে এবার সচেতনতা অভিযানে নেমেছে বন দফতর ও পরিবেশ সংস্থা। তাঁদের স্পষ্ট বার্তা, জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যাওয়া সব সড়কে গাড়ির গতি ৩০ কিমির মধ্যে রাখতে হবে।
advertisement
4/5
জঙ্গলে রাস্তা দিয়ে চলাচলের ক্ষেত্রে ৩০ কিমির মধ্যে গতি বাধ্যতামূলক। বন্যপ্রাণ বাঁচাতে সচেতনতা অভিযানে বন দফতর। এই অভিযানের অংশ হিসেবে গরুমারার বিভিন্ন চেকপোস্টে চালকদের হাতে বিশেষ স্টিকার তুলে দেওয়া হচ্ছে। স্টিকারে লেখা, 'Slow Down, Save Wildlife'। এগুলি গাড়ির সামনে লাগিয়ে চালকদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের সামান্য অসাবধানতা একটি প্রাণের মৃত্যু ডেকে আনতে পারে।
advertisement
5/5
বনদফতরের এক আধিকারিক জানান, “জঙ্গল শুধুই আমাদের পথ নয়, এটি হাজার প্রাণীর বাড়ি। গতি নিয়ন্ত্রণে রাখলে শুধু আপনার জীবনই নয়, বন্যপ্রাণীর জীবনও রক্ষা পাবে।” পরিবেশ সংস্থাগুলির মতে, মানুষের এক মুহূর্তের তাড়াহুড়োয় বন্যপ্রাণীরা বারবার বলি হচ্ছে। তাই শুধুমাত্র প্রচার নয়, ভবিষ্যতে স্পিড মনিটরিং, সাইনেজ বৃদ্ধি এবং নজরদারি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। সব মিলিয়ে, বার্তাটি খুবই স্পষ্ট, গতি কমান, প্রাণ বাঁচান! (ছবি ও তথ্যঃ সুরজিৎ দে)