Jalpaiguri News: কলেজ পড়ুয়া কুসুমই আজ বনবস্তির ‘মা দুর্গা’! কাহিনি জানলে চোখে জল আসবে
- Published by:Riya Das
- news18 bangla
- Reported by:SUROJIT DEY
Last Updated:
Jalpaiguri News: টিনের চালা ঘর থেকে পড়ে বৃষ্টির জল। তাঁর স্বপ্ন, টিনের চালা সংস্কার হলে আরও ভালভাবে পড়ানো। পাশের জঙ্গল থেকে মাঝেমধ্যেই বেরোয় হাতির দল, ভেঙে দেয় ফসল ও ঘরবাড়ি।
advertisement
1/5

বন্যপ্রাণ অধ্যুষিত গরুমারার শেষ সীমান্তে ভেলোরডাঙ্গা বন বস্তির কলেজ ছাত্রী কুসুম মুন্ডা বন বস্তির কচিকাচাদের কাছে দেবী দুর্গা! হাতি, লেপার্ড-সহ বন্যপ্রাণের ভয়েই স্কুল বন্ধ হওয়ার জোগাড় ভেলোরডাঙ্গায়! বনবস্তির খুদেরা স্কুলের বদলে তাই কুসুমদিদির পাঠশালায় ভরসা খুঁজে পেয়েছে। কুসুম তাদের পড়াশুনো জারি রাখতে বারান্দায় পাটি পেতে চালু করেছেন কুসুমের পাঠশালা।
advertisement
2/5
তাদের কাছে কুসুম দিদি শিক্ষক নয়, মা দুর্গা। কুসুম ময়নাগুড়ি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। বনবস্তির ২০টি ঘরের মধ্যে কুসুমই একমাত্র মেয়ে, যিনি কিনা কলেজে পড়ছেন।
advertisement
3/5
প্রতিদিন বিকেলে ৪টে থেকে কুসুমের বাড়িতে দলবেঁধে পড়তে আসে সঞ্জনা, পরি, উদ্দীপরা। সকলেই প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। এখানকার খুদে ছেলেমেয়েরা দু’-তিন কিমি দূরের মধ্যে রামশাই বা কালীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ে। জঙ্গলের পথে হাতি-চিতাবাঘের ভয়ে স্কুলে যাওয়া প্রায় হয় না।
advertisement
4/5
অনেক সময় পথেই দাঁড়িয়ে থাকে হাতি কিংবা কখনও দেখা মেলে চিতা বাঘের! কুসুম নিজে কলেজে পড়েন, আবার চা-বাগানে পাতা তুলে চালান নিজের খরচ ও পড়ুয়াদের ছোট আনন্দ। ময়নাগুড়ি সিঙ্গিমারি বিএড কলেজের শিক্ষক মনোজ দাসের অনুপ্রেরণায় কুসুম আরও মনে জোর পান। কিছু আর্থিক সাহায্যও তাঁর কাছ থেকে পেয়েছেন কুসুম।
advertisement
5/5
টিনের চালা ঘর থেকে পড়ে বৃষ্টির জল। তাঁর স্বপ্ন, টিনের চালা সংস্কার হলে আরও ভালভাবে পড়ানো। পাশের জঙ্গল থেকে মাঝেমধ্যেই বেরোয় হাতির দল, ভেঙে দেয় ফসল ও ঘরবাড়ি। তবু দুর্গাপুজোতে মা-কে দেখতে যেতে চান কুসুম, সঙ্গে নিতে চান তাঁর খুদেদেরও। এদিকে, কচিকাঁচাদের মনে ঘুরপাক খায় গোপন প্রার্থনা, 'মা, কুসুমদিদির যাতায়াতের পথে যেন কোনও বিপদ না হয়'!