'দুয়ারে সরকার' ফিরিয়ে দিল জীবন! পড়ুয়া পেল 'পা', সামনে অনেক পথ... চমকে দেবে মোকসেদ-কাহিনি!
- Published by:Tias Banerjee
- news18 bangla
Last Updated:
Bangla News: চাকুলিয়া ব্লকের কাহালাগাঁওয়ের বাসিন্দা মোকসেদ। পা হারানোর পর তার চলাফেরার একমাত্র ভরসা হয়ে ওঠে ক্রাচ বা লাঠি। স্বাভাবিক জীবন থেকে ছিটকে পড়ে সে। বন্ধুরা যখন সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যেত বা খেলাধুলায় মেতে উঠত, তখন একপাশে বসে থাকা ছাড়া উপায় থাকত না মোকসেদের।
advertisement
1/7

<strong> চঞ্চল মোদক, চাকুলিয়া: </strong>মাত্র ৬ মাস বয়স তখন। জীবন বদলে দিয়েছিল ভয়ঙ্কর এক দুর্ঘটনা! বাড়ির সামনের রাস্তায় খোয়া গিয়েছিল একটা পা! বাঁ পা হারিয়ে অন্ধকার নেমে এসেছিল মোকসেদ আলমের জীবনে। তার পর এতদিনে তাঁকে নতুন জীবন দিল দুয়ারে সরকার!
advertisement
2/7
দুর্ঘটনায় হারানো স্বপ্ন---চাকুলিয়া ব্লকের কাহালাগাঁওয়ের বাসিন্দা মোকসেদ। পা হারানোর পর তার চলাফেরার একমাত্র ভরসা হয়ে ওঠে ক্রাচ বা লাঠি। স্বাভাবিক জীবন থেকে ছিটকে পড়ে সে। বন্ধুরা যখন সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যেত বা খেলাধুলায় মেতে উঠত, তখন একপাশে বসে থাকা ছাড়া উপায় থাকত না মোকসেদের।
advertisement
3/7
পরিবারের দুঃখ-দুর্দশা--- মোকসেদের পরিবার অত্যন্ত সাধারণ। বাবা মুজলু হক, মা জৈনগন বিবি, পাঁচ বোন ও এক ভাই নিয়ে তাঁদের সংসার। ছেলের এমন দুর্দশা দেখে চোখের জল আটকাতে পারতেন না বাবা-মা। কিন্তু নিম্নবিত্ত পরিবারের পক্ষে কৃত্রিম পায়ের ব্যবস্থা করা একেবারেই সম্ভব ছিল না। কীভাবে ছেলেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরানো যাবে, তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় কাটত তাঁদের দিন।
advertisement
4/7
দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে নতুন আশা--- পরিবারের অসহায় অবস্থার কথা ভেবে সরকারি সাহায্যের আশায় তাঁরা সম্প্রতি দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে যান। রাজ্য সরকারের বিশেষ উদ্যোগে ৯-১১ ফেব্রুয়ারি গোয়ালপোখর ২ নম্বর ব্লকে বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই মোকসেদের কৃত্রিম পায়ের ব্যবস্থা করে দেন সরকারি আধিকারিকরা।
advertisement
5/7
সরকারের দেওয়া প্লাস্টিকের কৃত্রিম পায়ের সাহায্যে এখন দিব্যি হাঁটাচলা করতে পারে মোকসেদ। শুধু তাই নয়, সে এখন সাইকেল চালাতে পারে, খেলাধুলায় অংশ নিতে পারে, এমনকি ছুটে দৌড়াতেও পারে। বন্ধুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাইকেল চালিয়ে স্কুল যাওয়া—এখন তার কাছে আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব।
advertisement
6/7
সরকারি সাহায্য পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মোকসেদ ও তাঁর পরিবার। তাঁদের মতে, এই সহায়তা না পেলে ছেলের স্বপ্ন হয়তো আজীবন স্বপ্নই থেকে যেত। এখন মোকসেদ নতুন উদ্যমে ভবিষ্যতের পথচলার স্বপ্ন দেখছে।
advertisement
7/7
কৃত্রিম পায়ের সাহায্যে মোকসেদ আবার নতুন করে জীবন শুরু করেছে, যা শুধু তাঁর পরিবার নয়, স্থানীয়দের কাছেও এক অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।