Durga Puja 2025: দার্জিলিংয়ে দুর্গাপুজোয় আলাদা মাত্রা এনে দিলেন 'ওঁরা'! 'আগে কখনও দেখেনি' বলছেন সবাই
- Published by:Madhab Das
- hyperlocal
- Reported by:Ricktik Bhattacharjee
Last Updated:
সমতলের পাশাপাশি পাহাড়ের বাঙালি সমাজও দেবী দুর্গার আরাধনায় মাতোয়ারা। আর দার্জিলিং মানেই মন ছুঁয়ে যাওয়া ঐতিহ্য, যার কেন্দ্রে দাঁড়ায় নৃপেন্দ্র নারায়ণ হিন্দু হলের দুর্গাপুজো।
advertisement
1/7

সমতলের পাশাপাশি পাহাড়ের বাঙালি সমাজও দেবী দুর্গার আরাধনায় মাতোয়ারা। আর দার্জিলিং মানেই মন ছুঁয়ে যাওয়া ঐতিহ্য, যার কেন্দ্রে দাঁড়ায় নৃপেন্দ্র নারায়ণ হিন্দু হলের দুর্গাপুজো। এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে এই পুজো শুধু ধর্মীয় আয়োজন নয়, পাহাড়ের সংস্কৃতির এক অমূল্য অংশ। ১৯৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই হল দার্জিলিংয়ের বাঙালি সমাজের সাংস্কৃতিক প্রাণকেন্দ্র। স্বাধীনতার অনেক আগে, এখানে ভাষণ দিয়েছেন স্বামী বিবেকানন্দ, সিস্টার নিবেদিতা এবং দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ—যার ফলে এই মঞ্চ ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবেও খ্যাত। (ছবি ও তথ্য : ঋত্বিক ভট্টাচার্য)
advertisement
2/7
এ বছর পুজো পদার্পণ করেছে ১১১ বছরে। বিশেষ আকর্ষণ যোগ করেছে পুরস্কৃত প্রতিমা—বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মানে এ বছরের শ্রেষ্ঠ প্রতিমায় ভূষিত হয়েছে হলের দুর্গা। তবে সবচেয়ে আলোচ্য বিষয় হল এই বছরের নতুন অতিথি: পাহাড়ে প্রথমবারের মতো মহিলা ঢাকিদের দল।
advertisement
3/7
উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গা থেকে আসা এই ঢাকির দল ষষ্ঠী থেকেই পুজোর তালে তালে ঢাকের সুরে পুরো দার্জিলিং মাতিয়ে তুলেছে। দলের অন্যতম সদস্য, ২৪ বছর বয়সী সুপার্ণা মন্ডল জানালেন, “আমি অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালেই ঢাক বাজানো শুরু করি। তখন প্রায় কোনও মেয়ে ঢাক বাজাতো না। এখনও বাজাই এবং বিয়ের পরও বাজিয়ে যেতে চাই, পরিবার থেকে অনেক সমর্থন পাই।”
advertisement
4/7
দলে চারজন নারী ঢাকি এবং একজন পুরুষ সদস্য রয়েছেন। সুপার্ণার মা, শরমা মণ্ডল বলেন, “আমি সবসময় মেয়েকে উৎসাহিত করেছি। ঢাক বাজানো তার জীবন পরিবর্তন করেছে। সে অনেক আত্মবিশ্বাসী ও দৃঢ়সংকল্পী হয়ে উঠেছে।”
advertisement
5/7
১৮ বছর বয়সী সঞ্চিতা রায়, হায়ার সেকেন্ডারি তৃতীয় সেমিস্টারের ছাত্রী, জানালেন, “ঢাক বাজানো খুব ভাল লাগে। এতে পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তাও করতে পারি এবং বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণের সুযোগ পাই।” সংগীতা রায়, ব্যাচেলর অফ আর্টস ছাত্রী, জানান, “আমরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বাজিয়েছি—দিল্লি, লখনউ, আসাম, ত্রিপুরা। প্রতিটি স্থানে প্রতিক্রিয়া অসাধারণ হয়েছে।” দুজনই ভবিষ্যতে ভারতীয় সেনায় যোগ দিতে চায়। সঞ্চিতা যোগ করেন, “আমরা আমাদের দেশের সেবা করতে চাই।”
advertisement
6/7
পুজো কমিটির সেক্রেটারি ড. প্রতাপ আদিত্য গুহ বলেন, “দুর্গাপুজো হল শক্তির-পুজো, নারী শক্তির উদযাপন। তাই সকল নারী ঢাকিদের এই দল অনুষ্ঠানকে আরও প্রাসঙ্গিক করেছে। দার্জিলিংয়ে এটি প্রথমবারের মতো।”
advertisement
7/7
অষ্টমীর সকাল থেকে শুরু হয়েছে অঞ্জলি, নিয়ম-বিধি মেনে সাজানো হয়েছে প্রাচীন এই পুজো। ঢাকের তালে তালে পাহাড়ের বাঙালি সমাজ আবারও জীবন্ত রেখে চলেছে তাদের ধর্ম ও সংস্কৃতির ঐতিহ্য। (ছবি ও তথ্য : ঋত্বিক ভট্টাচার্য)